লাইফস্টাইল Sugar Control tips: এক ফলের ১০০ গুণ, বলা হয় ‘মহৌষধি’… ২৩% ঝুঁকি কমায় ডায়বেটিসের, একমাসে কমে ওজন! নাম জানেন? Gallery August 9, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান যুগে মানুষের দুটি ভয়ঙ্কর সমস্যা ডায়বেটিস এবং স্থূলতা। আর এই দুয়েই কাজ করতে পারে একটি ফল। নাম তার নাশপাতি। খেতে সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ঠাসা এই ফলের উপকারিতার কথা শুনলে অবাক হবেন। সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নাশপাতি। তবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং ওজন কমাতে এর কার্যকরীতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেও নাশপাতি অত্যন্ত উপকারী। বহু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে নাশপাতি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাশপাতি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম সহ পুষ্টিতে ভরপুর। রসাল, মিষ্টি স্বাদের নাশপাতিতে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার আছে। এই ফাইবার হজমে সাহায্য করে। ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। ওজন বশে থাকে। হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাশপাতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস। এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের অবশ্যই নাশপাতি খাওয়া উচিত। একটি নাশপাতিতে প্রায় ৬ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা দৈনিক চাহিদার ২১ শতাংশ। নাশপাতি পেকটিন সমৃদ্ধ, যা অন্ত্র ভাল রাখে। এই ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। নাশপাতির খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে, তাই এই ফলটির খোসা না খাওয়াই ভাল। নাশপাতি খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন নাশপাতির মতো অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৩% কমাতে পারে। হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাসপাতি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই ফল। নাশপাতিতে থাকা প্রোসায়ানিডিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়। নাশপাতির খোসায় রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে পারে৷ একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন একটি নাশপাতি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি ৬ থেকে ৭শতাংশ কমাতে পারে৷ ২০০৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মহিলারা ১০ সপ্তাহের জন্য তাদের স্বাভাবিক খাবারের তালিকায় প্রতিদিন তিনটি নাশপাতি অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাদের গড় ১ কেজি করে ওজন হ্রাস পেয়েছে।