ক্যানসারে সদ্য মৃত স্ত্রী, একাধিক বিয়ে! নিজেকে পুলিশকর্মী পরিচয় দিত আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়

RG Kar Hospital Junior Doctor rape and murder case: খুন ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। সঞ্জয়কে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা তুলে ধরার পর যখন সঞ্জয় বুঝতে পরে যে সে ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।

সূত্রের খবর, খুন ও ধর্ষণ করে নিজের জুতো ও জামাকাপড়ে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল সঞ্জয়। পরে নিজের জুতোর নীচে লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলেছিল সে। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিজের পরনে থাকা টি-শার্ট ও বারমুডায় লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে প্রমান লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন সঞ্জয়। ইতিমধ্যে সেই জুতো ও পরনের পোশাক সবকিছু উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের জেরার মুখে পড়ে সঞ্জয় বলে, “আমায় ফাঁসি দেন বরং”।

প্রসঙ্গত, আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

আরও পড়ুন-সরকারি জমিই বর্ষায় সাক্ষাৎ যম! ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই পড়ুয়ার

সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়রের চাকরি পেয়েছিল। সঞ্জয়ের পোস্টিং ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তবে সেখান থেকে তার কীর্তি শুরু। এরপরে নাকি সঞ্জয় প্রভাব খাটিয়ে একদিনও সেখানে কাজ না করে চলে যায় ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে পুলিশের ব্যারাকে থাকত আরজি কর নির্যাতনকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তবে মহিলা সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগেও নাম জড়িয়েছে তার। আগে নিজের সহকর্মীদের উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।