Tag Archives: Doctor

Earthen Pot Water: ফ্রিজের জল ছাড়ুন, গরমে মাটির কলসির জল পানে এতগুলো উপকার পাবেন

পূর্ব বর্ধমান: এক সপ্তাহের সাময়িক স্বস্তি শেষে আবারও চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। এই পরিস্থিতিতে একটা বড় অংশের মানুষ স্বস্তি পেতে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে নিয়মিত গলা ভেজান। কিন্ত চিকিৎসকরা ফ্রিজের ঠান্ডা জল বা বাজার চলতি ঠান্ডা সফট ড্রিঙ্ক পান করতে বারণ করছেন। উল্টে পরামর্শ দিয়েছেন এই গরমে মাটির কলসি বা কুঁজোর জল পান করা উচিত। একমাত্র এটাই স্বাস্থ্যসম্মত।

কিন্তু ফ্রিজের জল নিয়ে কেন এমন মত চিকিৎসকদের? মাটির কলসির জল খেলেই বা কী উপকার হবে? চলুন, চিকিৎসকরা এই বিষয়ে ঠিক কী বলছেন সেটা জেনে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুন: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

চিকিৎসক মিলটন বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলছেন, আগেকার দিনের মানুষেরা গরমের সময় মাটির কলসি বা কুঁজোর ঠান্ডা জল পান করত। কিন্তু বর্তমানে সেই অভ্যেসটা কমে গিয়েছে। বদলে ফ্রিজের জলে গলা ভেজাচ্ছে লোকজন। তাতে শরীরে নানান অসুখ দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেলে গলায় সংক্রমণের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। কিন্তু মাটির কলসির জল পান করলে সেই আশঙ্কা নেই।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাটির কলসির জল নিয়মিত পান করলে শরীরের পরিপাকতন্ত্র অনেক বেশি কার্যকরী থাকে এবং পাকস্থলীতে খাবার হজম করার জন্য নানান ধরনের অ্যাসিড তৈরি ভালভাবে হয়। এর ফলে পেটের ভিতরে থাকা অ্যাসিড কিছুটা প্রশমিত হয়ে আমাদের পেটের মধ্যে অম্ল এবং ক্ষারের ভারসাম্যটাকে বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Road Accident: মা ও ভাইকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন, রাস্তাতেই শেষ মেয়ের জীবন!

হুগলি: সাতসকালেই আরামবাগে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। প্রাইভেট কারের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক মহিলার। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিনজন।

শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বলরামপুর এলাকায়। মৃত মহিলার নাম চন্দনা মুখার্জী। তাঁর বাড়ি আরামবাগের সতীতলা এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দনা মুখার্জী ভাই ও মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রাইভেট কারে করে সতীতলা থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়িতে চালক সহ মোট চারজন ছিলেন। বলরামপুরের কাছে আরামবাগের দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে প্রাইভেট কারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে। সংঘর্ষের ফলে রাস্তার নিচে নেমে যায় প্রাইভেট গাড়িটি। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ির পিছনের অংশ।

আর‌ও পড়ুন: ভোর রাতে বাইক দুর্ঘটনায় টলিউড অভিনেতার মর্মান্তিক মৃত্যু!

আহত হন গাড়ি মধ্যে থাকা তিনজন। মৃত চন্দনা মুখার্জী আটকে যান গাড়ির দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অংশের মধ্যে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও আরামবাগ থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর চন্দনা মুখার্জীকে গাড়ির দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অংশ থেকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে।

রাহী হালদার

CCU Unit: জেলার মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আর শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না

দক্ষিণ দিনাজপুর: তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদরে অবস্থিত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ ব্লক। ফলে এই জেলার রোগীদের আর জরুরি পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না। এবার বালুরঘাটেই হবে জটিল পরিস্থিতির চিকিৎসা।

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে গড়ে ওঠা এই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে মোট ৫০ টি শয্যা থাকছে। হাসপাতাল সুপারের অফিস সংলগ্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । জেলা পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। সিসিইউ ব্লক তৈরি হলে নানা কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকৃত হবে জেলার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! এবার ঘুরতে গিয়ে আর‌ও সুবিধা

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রথমে মাত্র ৮ টি হাইব্রিড সিসিইউ বেড ছিল। যার ফলে পর্যাপ্ত বেডের অভাবে গুরুতর রোগীরা চরম সমস্যায় পড়তেন। পরে তা বাড়িয়ে সম্প্রতি ২৪ টি হাইব্রিড সিসিইউ বেড করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও চাহিদা মিটছিল না। ফলে জেলার বহু মানুষকে শিলিগুড়িতে ছুটতে হচ্ছিল।

এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, জেলা হাসপাতালে অত্যাধুনিক সিসিইউ ব্লক তৈরি হচ্ছে। যা অনেকটাই উন্নত বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্লকে ৫০ টি বেড থাকবে, সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে এই নতুন ইউনিটে। এছাড়া সিসিইউ ইউনিটের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকও থাকবে একাধিক।এতে মুমূর্ষু রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে যথেষ্টই উপকৃত হবেন। মোট ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ইউনিটটি তৈরি করা হচ্ছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Locals Protest: দুপুর ২ টো বাজলেই ধাঁ হয়ে যায় চিকিৎসক, এসে ফিরে যেতে হয় অসহায় পশুদের

আলিপুরদুয়ার: বেলা দুটো বাজলেই বীরপাড়ায় পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে আর চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায় না। নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা।

এলাকার একমাত্র পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেলা দু’টোর পর চিকিৎসক বাড়ি চলে যান, ফলে প্রয়োজন থাকলেও বিকেলের দিকে পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তখন অসুস্থ পশুদের কোথায় নিয়ে যাবেন বুঝে পান না তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এই এলাকায় অন্য কোনও প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাসিন্দাদের স্পষ্ট অভিযোগ, বিকেল চারটে অবধি খোলা থাকার কথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির। সেখানে বেলা দুটোর পর প্রাণী চিকৎসা কেন্দ্রে এসে দেখা যায় তালা ঝুলছে।

আরও পড়ুন: একদা গনি গড়ের সব বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগের জবাবে বীরপাড়ার এই বিষয়ে প্রাণী চিকিৎসক সারাভানান ই জানান, দফতরের বিভিন্ন কাজের জন্য তাঁকে মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতে হয়। এছাড়া দফতরের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হয়, এছড়া বিভিন্ন রিপোর্ট পাঠাতে হয়। তাই দুপুর দুটোর পর তিনি আর পোষ্যদের চিকিৎসা করতে পারেন না বলে জানান।

অনন্যা দে

Sundarban: জীবিকার কারণেই স্ত্রীরোগে আক্রান্ত হচ্ছে সুন্দরবনের মেয়েরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মেয়েদের জীবিকাই তাঁদের অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে্ এখানকার মহিলারা নিজেদের জীবিকার কারণে নানান নারী ঘটিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা সুন্দরবনের মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এখানকার বাসিন্দারা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে বা মাছ, মীন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এর মধ্যে মহিলারাই প্রধানত মাছের মীন ধরার কাজটা করেন। আর তা করতে গিয়েই নারী ঘটিত নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।

সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের হানায় পুরুষদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায় জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন। এদিকে মহিলারা দীর্ঘক্ষণ নদীর ও খাড়ির জলে দাঁড়িয়ে মাছের মীন ধরার কারণে চর্মরোগের পাশাপাশি নানান নারী রোগ সংক্রান্ত অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন।

আর‌ও পড়ুন: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

এই বিপদ থেকে তাঁদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে একটি সংগঠন। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ নগেনাবাদের প্রত্যন্ত এলাকায় সারাদিন ধরে বিনা খরচে স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করছে সংস্থাটি। কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসে গ্রামের অসুস্থদের চিকিৎসা করে তাঁদের ওষুধ দেন। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বর্গী, জসমিত সিং অরোরা, বিবেক ভৌমিক প্রমূখ।‌ প্রখর দাবদহকে উপেক্ষা করে এই শিবিরে রোগীদের আগমন ছিলো চোখে পড়ার মতন। সাধারণ ও গাইনো বিভাগ মিলিয়ে ১৩৬ জন রোগীর চিকিৎসা হয়।

সুমন সাহা

Missing Couple: গ্রাম থেকে শহরে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ দম্পতি

কোচবিহার: নিশিগঞ্জের মাঘপালা এলাকার বাসিন্দা দীপক বর্মন ও অঞ্জনা বর্মন। তাঁদের বেশ সুখে-শান্তির সংসার। কিন্তু হঠাৎই গোটা পরিবার ভেসে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। দীপক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তবে অঞ্জনা সম্পূর্ণ সুস্থ সবল। গত ১১ এপ্রিল ডাক্তার দেখানোর জন্য তাঁরা মাঘপালা থেকে কোচবিহার শহরে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ওই দম্পতির আর কোন‌ও খোঁজ মিলছে না।

নিখোঁজ দম্পতির বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, তাঁরা কথামত ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই আর সন্ধান নেই। ওদিকে ওই নিখোঁজ দম্পতির ছেলে দেবাশিস বর্মন বাইরে থাকেন। পড়াশোনা ও কাজ দুই’ই বাইরে। বাবা-মার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র আলোকপাত করতে পারেননি। বিষয়টি জেনে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: নৌকার হাল ধরলেন সন্দেশখালির রেখা, বসিরহাটে বিজেপির হাল ধরতে পারবেন?

এদিকে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু তারা ওই দম্পতির কোন‌ওরকম সন্ধান দিতে পারেনি। এদিকে মা-বাবা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় দেবাশিসবাবু ছোট ভাইকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। বাবা-মা ছাড়া তাঁদের সংসার একপ্রকার ভেসে যাওয়ার অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

Diarrhea Panic: তীব্র গরমে ডায়রিয়া আতঙ্ক আরামবাগের গ্রামে

হুগলি: ডায়রিয়ার আতঙ্কে ভুগছে গোটা গ্রাম। শেষ তিন দিনে একই গ্রামের ৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আরও বেশ কিছু গ্রামবাসী আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। এমন ঘটনায় ঘুম উড়েছে আরামবাগের পাণ্ডু গ্রামের মানুষের। তড়িঘড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গ্রামে বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।

মারাত্মক তপপ্রবাহের মধ্যেই ডায়রিয়া প্রকোপে আরামবাগের পাণ্ডুগ্রাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাত থেকে। প্রথমে একটি শিশু ও পরে এক বৃদ্ধা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এর পরেই পর পর বেশ কয়েকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে ৮ জনকে ভর্তি করতে হয় আরামবাগ মেডিকেল কলেজে। পুরো ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা আছে। তাঁদের অনুমান, পানীয় জলের সমস্যার কারণেই গোটা গ্রামে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ভোট কর্মীদের টিফিনে কিলবিল করছে পোকা! ব্যাপক বিক্ষোভ খাতড়ায়

বিষয়টি জানতে পেরেই পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। গ্রামে চালু করা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। আক্রান্তদের চিকিৎসা করার পাশাপাশি তাঁদের পানীয় জলে ওষুধ মিশিয়ে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি পানীয় জলের পাম্প ও দুটি পুকুরের জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। গোটা বিষয়টির উপর কড়া নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন।

রাহী হালদার

Howrah Doctor: বাবা-মাকে শ্রদ্ধা জানাতে যে কাণ্ড ঘটান পাঁচলার এই চিকিৎসক!

হাওড়া: মানবিক চিকিৎসক। অর্ধেক খরচেই হচ্ছে চিকিৎসা। মানুষের চোখে তিনি যেন সাক্ষাৎ ভগবান। পাঁচলার চিকিৎসক প্রদীপ কোলের ক্লিনিকে গিয়ে যে ছবি দেখা গেল তা আজকের দিনে বিরল।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচলার গঙ্গাধরপুরের চিকিৎসক প্রদীপ কোলের ক্লিনিকে অসংখ্য রোগী ভিড় করেন। রোগীরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসেন। দীর্ঘ প্রায় দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে রোগীদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছেন এই ডাক্তারবাবু। গ্রামের মানুষের কাছে ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি। এমনকি রোদ-ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই কোন‌ও রোগীর পরিবার থেকে ডাক এলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হয়ে যান। তাঁর দৌলতে মাত্র ৫০-১০০ টাকাতেই রোগ সারছে পাঁচলার মানুষের।

আর‌ও পড়ুন: নদী ও জলাশয় বাঁচাতে বিরাট পদক্ষেপ, পা মেলাল এই কলেজের পড়ুয়ারাও

গ্রামের দিনমজুর, কৃষক নিম্ন মধ্যবিত্ত রোগীদের আরও সুবিধা দিতে, গত প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে বাবা যোগেশ চন্দ্র কোলে’র মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে অর্ধেক মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছেন প্রদীপ কোলে। মা সন্ধ্যা কোলের মৃত্যুর দিনেও একইভাবে অর্ধেক মূল্যে পরিষেবা দিচ্ছেন গত প্রায় দু’বছর ধরে।

এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে ডাক্তার প্রদীপ কোলে জানান, বাবার কাছেই চিকিৎসায় হাতেখড়ি হয়। শৈশবে দেখতাম গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে থেকে বাবা চিকিৎসা করেছেন। নিতেন মাত্র ৫-১০ টাকা। প্রায়ই দেখতাম যে রোগীর ওষুধ কেনার সামর্থ্য থাকত না নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে তাঁদের ওষুধ কিনে দিতেন। বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাই এমন উদ্যোগ নিয়ে শুরু করেছেন।

রাকেশ মাইতি

Government Hospital: দু’বছর পর আবারও চিকিৎসক আসবেন এই সরকারি হাসপাতালে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দীর্ঘ দু’বছর পর চিকিৎসক আসছেন মগরাহাটের হাসপাতালে। ফলে খুশি স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাটের গোকর্ণী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরে কোনও চিকিৎসক ছিল না। যার ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরেই এই হাসপাতালের নতুন চিকিৎসক পাঠানোর দাবিও উঠছিল।

বারবার দাবি জানিয়েও ফল না মেলায় স্থানীয়রা মিলে গঠন করেছিলেন মগরাহাট-যুগদিয়া হাসপাতাল জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি। এই কমিটির অধীনে চিকিৎসক আনার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। তাতে অবশেষে মিলল সাফল্য। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফের চিকিৎসক পাঠানো হবে মগরাহাটের হাসপাতালে।

আর‌ও পড়ুন: মালদহের বাজারে দাপাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম! বিক্রি হচ্ছে দেদার

আপাতত সপ্তাহে দু’দিন করে চিকিৎসক আসবেন এই সরকারি হাসপাতালে। এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির সম্পাদক কবীর মোল্লা জানান, চিকিৎসক আসার খবরে তাঁরা খুবই খুশি। স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসক আসার খবরে খুশি স্থানীয়রাও। আগামীদিনে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও ভাল হোক এটাই দাবি তাঁদের। গত দু’বছর চিকিৎসক না থাকায় এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে প্রায় ৮ কিলোমাটার দূরের ব্লক হাসপাতাল অথবা ২৫ কিলোমিটার দূরে ডায়মন্ডহারবারে যেতে হত। এখন সেই সমস্যার কিছুটা সমাধান হওয়ায় স্বস্তিতে গ্রামবাসীরা।

নবাব মল্লিক

Patient Death: সেরে ওঠা রোগীর হঠাৎ মৃত্যু! ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাট হাসপাতালে

দক্ষিণ দিনাজপুর: রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামী (৪২) নামে এক মহিলার বুধবার মৃত্যু হয়। এরপরই তাঁর পরিজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামীর বাড়ি তপন থানার চকভগীরথে। গত ২৭ মার্চ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই থেকেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার সকালে হঠাৎই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিজনদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিবার।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পায়নের ছন্দে নতুন স্লোগান বেঁধে তমলুকে বাজিমাতের লক্ষ্য বাম প্রার্থী সায়নের

মৃতার পরিজনরা জানিয়েছেন, গতকাল চিকিৎসক চন্দনাদেবীকে দেখার পর জানিয়েছিলেন পায়ের ইনফেকশন কমে গেছে। এক-দুদিনের মধ্যে ছুটি দিয়ে দেবেন। শারীরিক অবস্থা ভাল থাকায় মঙ্গলবার রাতে পরিবারের আর কেউ হাসপাতালে ছিলেন না। পরদিন সকালে চন্দনাদেবীর স্বামী হাসপাতালে এসে দেখেন স্ত্রী মারা গেছেন। এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সুস্মিতা গোস্বামী