দু’দিনের অবিরামের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে খড়গপুর পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দা নিউ টাউন এলাকা৷ আনন্দনগর এলাকায় স্থানীয় পুকুরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে রাস্তা৷ এর ফলে যে কোনও সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয়দের অভিযোগ কাউন্সিলরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Malda flood situation: ভোরে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত মালদহের বেশ কিছু এলাকা, মাথায় হাত কৃষকদের

মালদহ: ভোররাতে গঙ্গার বাঁধ ভেঙে বিপত্তি। ক্রমশ জটিল হচ্ছে মালদহের ভূতনির পরিস্থিতি। কৃষিজমির পাশাপাশি একাধিক গ্রামে ঢুকছে গঙ্গার জল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মানিকচক ব্লকে জরুরি বৈঠকে জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া, সেচ দফতরের আধিকারিকেরা, মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক, মানিকচকের বিডিও।

মালদহের ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুরের কাল্টনটোলা গ্রামে অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে রবিবার ভোররাত থেকে ঢুকতে শুরু করে গঙ্গার জল। ইতিমধ্যেই উত্তর চণ্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত এলাকার। প্লাবিত হয়েছে প্রচুর কৃষি জমি। ঘটনায় ভূতনি থানার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।  এদিন যত সময় গড়িয়েছে ততই বাঁধের ফাটল চওড়া হয়ে গঙ্গার জল হু হু করে ঢুকেছে কৃষিজমি এবং ঘরবাড়িতে।

আরও পড়ুন: আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের বৈঠক শেষ, কী বললেন সিপি?

কাল্টনটোলার পাশাপাশি কেশরপুর কলোনি, গোবর্ধনটোলা প্রভৃতি এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।মালদহের মানিকচকের কাল্টনটোলায় নদী বাঁধ বেশ কিছু দিন আগেই দুর্বল হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন আগে বালির বস্তা ফেলে জরুরী ভিত্তিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চেষ্টা চালায় সেচ দফতর। কিন্তু, গঙ্গার জলস্তর আচমকা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন আটকানো যায়নি। ঘটনায় সেচ দফতর এবং প্রশাসনের ভূমিকায় খুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। শাসকদলের ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

অন্যদিকে, মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের পাল্টা দাবি, গঙ্গা ফুলে ফেঁপে ওঠায় চেষ্টা করেও নদী বাঁধ টেকানো যায়নি। মানিকচক আর ভূতনির নদীভাঙন রোধে যা করার তা মুখ্যমন্ত্রীই করেছেন।প্রশাসন সূত্রে খবর, মালদহের ভূতনির কালটনটোলা এলাকায় প্রায় ৪০ মিটার নদী বাঁধের অংশে ধস নেমেছে। গঙ্গার জলস্তর এই মুহূর্তে বিপদসীমার ওপরে থাকায় এখনই আর ভাঙন রোধের কাজ সম্ভব নয়। নদীর জল কমলে ভেঙে যাওয়া বাঁধের পেছনে “কোর (গার্ড) ওয়াল” তৈরি করা হবে। মানিকচকের ভূতনির জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার, পশু খাদ্য, শিশুখাদ্য বিলির সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বৈঠকে।

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের, সিবিআই তদন্তের দাবি

মালদহে দুই অতিরক্ত জেলাশাসক এবং ছয়জন ডাবলুবিসিএস পর্যায়ের আধিকারিককে ভূতনির পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও কাজে লাগানো হয়েছে। ভূতনির পরিস্থিতি নিয়ে মানিকচক ব্লকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া।