‘বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়াবেন না’!

RG Kar Rape and Murder Case: ‘বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়াবেন না’! আরজি কর কাণ্ডে নেটিজেনদের কাতর আর্তি কলকাতা পুলিশের

কলকাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলা থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। বৃহস্পতিবার অনকল ডিউটিতে ছিলেন ওই চিকিৎসক। শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় গ্রফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামের ব‍্যক্তিতে। শুক্রবার, থেকেই সোশ‍্যাল মিডিয়াতে তোলপাড়। রাজ‍্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। নানারকম খবর ছড়াচ্ছে সোশ‍্যাল মিডিয়াতে সেটাই দাবি কলকাতা পুলিশের।

আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক ডাক্তারদের! ১৪ অগাস্টে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদে মেয়েরা

কলকাতা পুলিশের তাদের সোশ‍্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ‘ আর. জি কর মেডিক্যাল কলেজে যে চিকিৎসক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে, এই কঠিন সময়ে আমরা সর্বান্তঃকরণে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ, শোক, রাগ অত্যন্ত স্বাভাবিক, বিশেষ করে চিকিৎসক সমাজের এবং মৃতার পরিজনদের। এই ক্ষোভ-শোক-ক্রোধের নতমস্তক শরিক আমরাও। এই যন্ত্রণা বর্ণনাতীত।’

তারা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের তদন্ত চলছে আন্তরিক সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই নারকীয় ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি তথ্যপ্রমাণসহ। আরও কেউ ঘটনায় জড়িত ছিল কী না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, এবং তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁদের জানাচ্ছি আমরা। একটি কথা সবিনয়ে বলার। সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষত ফেসবুকে ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন অসত্য, অনুমাননির্ভর এবং বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ। আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, না-যাচাই-করা এই ধরণের তত্ত্ব, তথ্য বা গুজবে কান দেবেন না। এতে তদন্তের ক্ষতি হয়, ন্যায়ের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এবং সর্বোপরি শোকগ্রস্ত পরিবারটি আরও বেশি করে যন্ত্রণাদগ্ধ হয়। আবার বলি, সততা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চলছে। কাল্পনিক তত্ত্ব এবং গুজব ছড়ালে সেই তদন্তেরই গতি ব্যাহত হয়।’

সেই পোস্টে আরও লেখা আছে, ‘বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের বলি, আমরা বুঝতে পারছি আপনাদের শোক, সমর্থন করছি আপনাদের ন্যায়বিচারের দাবি। আপনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। রাজ্যের মানুষকে জানাই, আমাদের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। কলকাতা পুলিশ যথাসাধ্য দ্রুততায় চার্জশিট জমা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। ন্যায়বিচার হবেই। দ্রুতই হবে। না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। ভরসা রাখুন।’