আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা

RG Kar Doctor Death: স্ত্রীকেও ছাড়েনি সঞ্জয়! কী কী করেছিল তাঁর অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে? মুখ খুললেন শাশুড়ি

কলকাতা: এই প্রথম নয়। আগেও কলকাতা পুলিশের কাছে কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয় আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের নামে। বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ছিল এই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের শশুরবাড়ির সদস্যরা চান,  কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হোক তার।

সঞ্জয়ের শাশুড়ির কথায়, “যে (চিকিৎসক) মারা গিয়েছে সে তো আমার মেয়ের মতোই। আমার মেয়েকেও চরম অত্যাচার করত।” সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী ক্যানসারে মারা যায়। একাধিক বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত। প্রতিবেশীদের দাবি ৫ টি। সঞ্জয়ের শাশুড়ির দাবি, তাঁর কন্যার ক্যানসার ধরা পড়ার পর কোনও চিকিৎসা করায়নি সঞ্জয়। মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, “বিয়ের ৬ মাস পরে মেয়ে আমার বাড়ি চলে আসে। একটা টাকাও দেয়নি চিকিৎসা জন্য। কালীঘাট থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।”

আরও জানান, বিয়ের সময় গোপন করেছিল সঞ্জয় তার প্রথম বিয়ের কথা। সঞ্জয়ের শাশুড়ির দাবি, ২০২২ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্জয় বিয়ে করে তাঁর মেয়েকে। ২০২৩ সালে ১০ অগাস্ট ব্লাড ক্যানসারে মারা যান তাঁদের আদরের কন্যা। সঞ্জয়ের স্ত্রীরা ছিলেন ৩ বোন। যিনি ক্যানসারে ভুগে চলে গেলেন, তিনি ছিলেন মেজো। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে চরম অত্যাচার করত সঞ্জয়। তাঁরাই কোনও মতে ক্যানসারের চিকিৎসা করিয়েছিলেন মেয়েকে।

আরও পড়ুন- ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

কালীঘাট থানায় ২০২২ সালের ৪ অগাস্ট অভিযোগ করেছিলেন। সঞ্জয়ের শালির কথায়, “কিন্তু পুলিশ কিছু ব্যবস্থা নেয়নি। হয়তো সঞ্জয় পুলিশ তাই নেয়নি ব্যবস্থা। যে ভাবে মেয়েটিকে মেরেছে আমরা কঠিন শাস্তি চাই।”

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়রের চাকরি পেয়েছিল। সঞ্জয়ের পোস্টিং ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তবে সেখান থেকে তার কীর্তি শুরু। এরপরে নাকি সঞ্জয় প্রভাব খাটিয়ে একদিনও সেখানে কাজ না করে চলে যায় ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে পুলিশের ব্যারাকে থাকত আরজি কর নির্যাতনকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তবে মহিলা সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগেও নাম জড়িয়েছে তার। আগে নিজের সহকর্মীদের উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা তুলে ধরার পর যখন সঞ্জয় বুঝতে পরে যে সে ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।