ব্যবসা-বাণিজ্য How To Become Crorepati: ঝুঁকি ছাড়াই কোটিপতি হতে চান? আজই পোস্ট অফিসের এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলুন Gallery August 14, 2024 Bangla Digital Desk পোস্ট অফিসের একাধিক ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্কিমে বিনিয়োগ করে কোটিপতি হওয়া যায়। পোস্ট অফিস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। ফলে টাকা থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। নামমাত্র ঝুঁকিও নিতে হবে না। স্কিমের নাম পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। তবে পিপিএফ নামেই এর জনপ্রিয়তা। যাঁরা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম আদর্শ। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়? এখানে রইল তারই হদিশ। যে কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করার আগে সুদের হার দেখতে হয়। কারণ সুদের হার বেশি হলে রিটার্নও বেশি মিলবে। পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে বর্তমানে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। স্কিমের মেয়াদ ১৫ বছর। তবে বিনিয়োগকারী চাইলে মেয়াদ আরও পাঁচ বছর করে মোট ২ বার বাড়াতে পারেন। বিনিয়োগের পরিমাণ: পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। বিনিয়োগের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১.৫ লক্ষ টাকা। তবে এক বছরে সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে এক বছরে ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-এর আওতায় করছাড়ও পাওয়া যায়। এখন যদি পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১৫ বছরে তাঁর মোট জমার পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই বিনিয়োগের উপর বছরে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে। তাহলে সুদ থেকে মিলবে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৭৪০ টাকা। তাহলে সুদ এবং আসল মিলিয়ে ১৫ বছর পর তিনি ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৪০ টাকা রিটার্ন পাবেন। আগেই বলা হয়েছে, এই স্কিমের মেয়াদ পাঁচ বছর করে মোট ২ বার বাড়ানো যায়। অর্থাৎ মোট দশ বছর। অর্থাৎ বিনিয়োগকারী যদি পুরো ২৫ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যান, তাহলে পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তিনি এক কোটি টাকার বেশি রিটার্ন পেতে পারেন।