Bengaluru: ফল কিনতে গিয়ে সমস্যা, ভাষা-বিতর্ক বেঙ্গালুরুতে

বেঙ্গালুরু:  ভাষা নিয়ে দক্ষিণ ভারত বরাবরই আবেগপ্রবণ। হিন্দি ‘চাপিয়ে দেওয়ার’ বিরুদ্ধেও সোচ্চার। এর মধ্যেই সামনে এল এক অন্যরকমের ছবি। হিন্দি ভাষাভাষীদের প্রতি ‘সদয়’ হওয়ার আহ্বান জানালেন এক বেঙ্গালুরুবাসী।

উত্তর ভারতের এক বাসিন্দা ফলের দোকান দিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। আনারস বিক্রি করছেন তিনি। এক মহিলা এসে দাম জিজ্ঞেস করলেন। বিক্রেতা হিন্দিতে বললেন, “একটা নিলে ৪০ টাকা, তিনটে নিলে ১০০ টাকা।’’

হিন্দি কথা কিছুই বুঝতে পারছেন না মহিলা। বারবার জিজ্ঞেস করছেন। বিক্রেতাও একই কথা বারবার বলে যাচ্ছে হিন্দিতে। তাঁদের অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন আরেক বেঙ্গালুরুবাসী। তিনি কন্নড় ভাষায় মহিলাকে বিষয়টা বুঝিয়ে দেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিক্রেতা।

আরও পড়ুনKolkata Metro: অবশেষে চালু মেট্রো পরিষেবা! দুর্ভোগ থেকে মুক্তি নিত‍্যযাত্রীদের

কিন্তু মহিলা এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। দোকানদার কেন কন্নড় না শিখে বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করতে এসেছেন? এই নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন তিনি। আশপাশের লোক জড়ো হয়ে যায়। তাঁরাও মহিলার সঙ্গে একমত, ঠিকই তো, কন্নড় না জেনে কেন এখানে ব্যবসা করতে আসবে?

বিক্রেতার তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। তিনি সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান। কোনওরকমে জানান, মাত্র এক সপ্তাহ হল এসেছেন। খুব তাড়াতাড়িই তিনি কন্নড় শিখে নেবেন। এরপর রেডিট-এর বেঙ্গালুরু কমিউনিটিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন, “আমরা কী হিন্দি ভাষাভাষীদের প্রতি একটু সদয় হতে পারি না?’’

আরও পড়ুনঃ ফের গাফিলতি! অল্পের জন‍্য বড় বিপদ থেকে বাঁচল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের মেয়েরা

এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর অনেক বাসিন্দাই। তাঁরা লিখেছেন, “আজকাল বেঙ্গালুরুর সবাই কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। একজন গরিব ফল বিক্রেতা। সে বেচারা এখন নতুন একটা ভাষা শিখবে কী করে! এগুলো ‘টিপিক্যাল হাই ক্লাস অয়াটিচিউড’।’’

আরেক রেডিট ইউজার লিখেছেন, “কন্নড় শিখুন’ বললেই কি কন্নড় শেখা যায়? শিখবে কোথা থেকে? আমি নিজে বেশ কয়েকটা বইয়ের দোকান ঘুরেছি, কিন্তু কন্নড় ভাষাশিক্ষার কোনও বই পাইনি। অথচ ইংরেজি শেখার প্রচুর বই ছিল। হ্যাঁ, এখন ইন্টারনেটে সবই পাওয়া যায়। ই-কোর্সও করা যায়। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে শিখবে যে ইংরেজিটাও জানে না?’’

এখানেই না থেমে তিনি আরও লিখেছেন, “স্থানীয়দের দাবি হল, এই রাজ্যে আসা সবাই কন্নড় ভাষায় কথা বলুক। যেন তারা এখানেই জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে। এ তো অবাস্তব দাবি। সহকর্মীদের সঙ্গেও এই নিয়ে কথা হয়েছিল একবার। তাদের বক্তব্য, ইংরেজি জানলেই যথেষ্ট। তাহলে কন্নড়টা শিখবে কী করে?’’