Indian Railways: স্বাধীনতা দিবসে রোমন্থন দেশভাগের স্মৃতি! বিভাজন, বৈষম্যতা দূর করে প্রচার ভারতীয় রেলে

নয়াদিল্লি:  দেশ বিভাজনের সময় জনগণ যে কষ্ট ও  যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়েছিলেন তা ভারতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে  ১৪ আগস্টের দিনটিকে ভারত সরকারের দ্বারা বিভাজনের বিভীষিকা স্মৃতি দিবস হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। ভারত বিভাজনের কাহিনি হল মানুষের নজিরবিহীন স্থানান্তরণ ও বল প্রয়োগ করে মানুষকে দেশান্তর করার কাহিনি।

কীভাবে একটি জীবনশৈলি ও সহাবস্থানের একটি যুগ আকস্মিকভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে তারও কাহিনি এই দেশ বিভাজনের ঘটনা, অপরিচিত ও বিভিন্ন বাধায় পরিপূর্ণ স্থানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নতুন বাড়ি খুঁজতে বাধ্য করেছিল।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও মোদির মুখে নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গ! লাল কেল্লা থেকে বার্তা রাজ্য সরকারদের

প্রকৃতপক্ষে, এই বিভাজনের জন্য যে সমস্ত ব্যক্তির জীবন সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল, সেই সমস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের যন্ত্রণা, দুর্ভোগ, দুখ-কষ্টের কাহিনি প্রকাশ্যে নিয়ে আসে এই দিনটি। ভারতের মানুষ আজকের দিনে দেশের যে সমস্ত পুত্র-কন্যা দেশ বিভাজনের সময় নিজেদের পৈত্রিক বাড়ি ত্যাগ করার পাশাপাশি নিজেদের জীবনও উৎসর্গ করেছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।

সমগ্র দেশের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েও তার অধিক্ষেত্রের অধীনে বিভিন্ন স্টেশনে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের বিভাজনের সময় ভারতীয়দের দুর্ভোগ-যন্ত্রণা, দুঃখ-কষ্টের চিত্র সম্বলিত প্রদর্শনী স্টল, হোর্ডিং ও ফটোগ্রাফের মাধ্যমে দেশের কালো অধ্যায়ের অংশ হিসেবে দেশভাগের বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন করেছে।

আরও পড়ুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য কার্যালয় মালিগাঁওয়ে এবং কাটিহার, কিষানগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি জং., বালুরঘাট, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার, ফালাকাটা, নিউ মাল জং., কোকরাঝাড়, রঙিয়া জং., বরপেটা রোড, নিউ বঙাইগাঁও জং., গোয়ালপাড়া টাউন, রাঙাপাড়া নর্থ, গহপুর, গুয়াহাটি, লামডিং, শিলচর, আগরতলা, ডিমাপুর, যোরহাট টাউন, মরিয়নি জং., নর্থ লখিমপুর, ডিব্রুগড় এবং নিউ তিনসুকিয়া স্টেশনে বিভিন্ন কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়।

​বিভাজনের দুঃখ কখনই ভোলা সম্ভব নয়। লক্ষাধিক ভারতীয়কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে হয়েছিল এবং বিবেকহীন ঘৃণা ও হিংসায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই দিবস পালনের ফলে প্রত্যেককে,  বিশেষত প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা স্কুল পড়ুয়াদের সামাজিক বিভাজন, বৈষম্যতা দূর করা এবং ঐক্যতার চেতনাকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়টি মনে করিয়ে দিতে সাহায্য করবে।