বাংলার ঘরে ঘরে সজনে খুবই পরিচিত একটি নাম। সজনের পাতা, ফুল এবং ডাঁটা সবই নানা রকম পদে খাওয়া হয় বাঙালি পরিবারে।ফাল্গুন চৈত্র মানেই গাছ জুড়ে সজনেডাঁটার বাহার৷ দক্ষিণের সম্বরই হোক, বা বাংলার চচ্চড়ি, এই গাছের পাতা, ফুল বা ডাঁটার জুড়ি নেই৷ স্বাদে গুণে সজনেগাছের নানা অংশ অদ্বিতীয়৷খাদ্যগুণে ভরা সজনে ডাঁটার উপকারিতার শেষ নেই৷ ঋতু বদলের সময় ডায়েটে রাখতেই হবে সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল, সজনে পাতা৷ মাছের ঝোল থেকে পাঁচমিশালি তরকারি সবেতেই দেওয়া হয় এই ডাঁটা।সজনে ডাঁটায় আছে প্রাকৃতিক শীতল উপাদান। এই ন্যাচারাল কুলিং বৈশিষ্ট্য গরমে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম, ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষাকবচ দেয় এই সবজি।নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেলে আর্থ্রাইটিস ও অ্যালার্জির মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয়।তবে সমস্যাও আছে। ডায়ারিয়া, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথার মতো সমস্যায় এড়িয়ে চলতে হবে সজনে ডাঁটা ও সজনেপাতা৷ অ্যালার্জি এবং ত্বকে অন্য সংক্রমণও দেখা দিতে পারে৷মহিলাদের যৌনরোগ প্রশমিত করতে এবং তাঁদের সুস্থ রাখতে নিয়মিত সজনেডাঁটা খেতে ভুলবেন না৷সজনেডাঁটার খাদ্যগুণ আমাদের মরশুম পরিবর্তনের অসুস্থতায় নানাভাবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে৷ বলছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর৷অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও ডায়েটে রাখুন সজনে ডাঁটা৷ ভাবী মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এই সবজি৷সজনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজনে পাতা খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ এই চা।সজনে ডাঁটায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই ঠান্ডা জ্বর এবং কাশি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
