রচনার কান্না নিয়ে কটাক্ষ দীপ্সিতার 

আরজি করের ঘটনায় পোস্ট রচনার… ‘চোখে কাজল, চোখে গ্লিসারিন…’ কটাক্ষ করলেন দীপ্সিতা

হুগলি: আরজি করের ঘটনার নৃশংস পরিণতি নিয়ে  কেঁদে ফেললেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারবার গলা বুজে আসে তাঁর। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান রচনা। এবার সেই নিয়েই কটাক্ষ দীপ্সিতার।

শ্রীরামপুর বটতলায় জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র যুবরা। হাতে মশাল নিয়ে শুরু হয় মিছিল। সেই মিছিলেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর। সেখানেই একযোগে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,  শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ যায়নি রচনা বন্দোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।

ভিডিওতে দেখা যায় জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী- সাংসদ। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  কান্নাকে কটাক্ষ করেন দীপ্সিতা। বলেন, ‘চোখে কাজল ও গ্লিসারিন দিয়ে ভাল অভিনয় করছেন অভিনেত্রী।’

দীপ্সিতা বলেন, ‘কিছুদিন আগেও যিনি ধোঁয়া ছাড়া কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না, সেই ধোঁয়া বোধহয় তাঁর চোখে এসে লেগেছে। আজকে দেখলাম উনি কাঁদছেন। চোখে কাজল, চোখে গ্লিসারিন। আগামী বছর মহানায়ক পুরষ্কার নেওয়ার  প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মনে হল। এতদিন পরে কেন ওনার মনে হল? স্ক্রিপ্টের অপেক্ষায় ছিলেন?’

সোশ্যাল মিডিয়ায় রচনা বলেন, “আমি আপনাদের সকলের সামনে এসেছি সাধারণ নাগরিক হিসাবে। আমি একজনের মা, একজনের মেয়ে। দেশ আমাদের স্বাধীন হয়েছে। আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি?… দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ,উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর সেখানে একটার পর একটা ঘটনা। আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব? আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমরা রাস্তায় হাঁটছি। সব মহিলাদের আমি স্যালুট জানাই। এই আওয়াজ উঠিয়ে রাখবেন যতক্ষণ না সুবিচার পায়  নির্যাতিতা। দিনের শেষে যখন রাত করে কাজ সেরে গাড়ি করে বাড়ি ফিরি, অনেক মানুষ অনেক মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে ফেরে। মনে হয় আমি বাড়িতে ঠিক ভাবে পৌঁছতে পারব তো? মাথা উঁচু করে বাঁচব, মাথা উঁচু করে চলব। … আমাদের এর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে। তাদের শাস্তি যেন এমন হয় যে তারা ভাববে এটা করব কি না।”