লাইফস্টাইল সর্দি-কাশি ধারেকাছে ঘেঁষবে না, ত্বকের সমস্যাও ছু মন্তর! ওষুধের মতো কাজ করবে এই গাছের ছাল Gallery August 18, 2024 Bangla Digital Desk আয়ুর্বেদে গাছের পাতা, শিকড়, ছাল-বাকল, ফুল, ফল, আঠা ইত্যাদি ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এই তালিকায় রয়েছে খয়ের গাছও। আসলে এই গাছে রয়েছে শীতল প্রভাব। ফলে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এই গাছ দারুণ উপযোগী। এখানেই শেষ নয়, খয়ের গাছ আমাদের ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। প্রাক্তন আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশুতোষ পন্ত Local18-কে বলেন যে, কাশি এবং সর্দির মতো সমস্যা উপশম করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে খয়ের গাছের ছাল। আসলে এই গাছের ছাল বা বাকল গুঁড়ো করে নিয়ে তা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাশির সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। ডা. পন্ত আরও বলেন, খয়ের গাছের পাতায় এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায়, যা ফোলা ভাব ও লালচে ভাব দূর করতে সহায়ক। আর মুখের ভিতরে শীতলতা প্রদান করতেও সাহায্য করে এই ভেষজ উপাদান। ফলে যাঁরা ঘন ঘন মুখের আলসারে ভোগেন, তাঁদের সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। ডা. পন্ত বলেন, চর্মজনিত রোগ সারানোর জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক উপাদান খয়ের ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খয়ের ব্যবহার করলে নানা ধরনের ত্বকের সংক্রমণ, অ্যালার্জি, প্রদাহ এবং ফোলা ভাবের মতো একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি ফোঁড়া, দাদ এবং চুলকানির মতো সমস্যা হলে সেই স্থানে লাগাতে হবে খয়েরের পেস্ট। এতে সমস্যা নিমেষে দূর হবে। ডা. পন্ত আরও বলেন যে, খয়েরের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রোগের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হয়ে ওঠে। কোনও ক্ষতস্থানের উপর খয়ের গাছের ছাল বেটে নিয়ে লাগালে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে যাবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকাংশে দূর হবে।