R G Kar Case CBI: কে রটিয়েছিল আত্মহত্যার খবর? জানুক CBI, এমন একশো প্রশ্নের উত্তর চান সুখেন্দুশেখর

কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দ শেখর রায়৷ পোস্টে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কে আত্মহত্যার কাহিনি রটাল? কার নির্দেশে ঘটনাস্থল সংলগ্ন দেওয়াল ভাঙা হল, এর উত্তর জানা খুব জরুরি৷ তাই সিবিআইয়ের উচিত স্বচ্ছভাবে তদন্ত করা৷

এদিনের পোস্টে সুখেন্দু শেখর লেখেন, ‘সিবিআইয়ের উচিত স্বচ্ছ ভাবে কাজ করা৷ প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পুলিশ কমিশনারকে ডেকে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত৷ জানতে হবে কে আত্মহত্যার কাহিনিটা হাওয়ায় ভাসিয়েছিল৷ কেন দেওয়াল ভাঙা হয়েছিল, কোন প্রভাবশালীর প্রভাবে রাইয়ের এত দৌরাত্ম্য ছিল৷ কেন ঘটনার ৩ দিন পরে স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হয়৷ এরকম আরও ১০০টা প্রশ্ন আছে৷ ওদের কথা বলাতেই হবে৷’

আরও পড়ুন: শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় সহ আরজি কর চত্বরে নিষিদ্ধ মিটিং, মিছিল! নির্দেশিকা জারি পুলিশের  

অন্যদিকে, শুক্রবারের পরে শনিবারও দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে৷ শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে গিয়েছিলেন সন্দীপ৷ এদিন তাঁকে কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল৷ তবে সিজিও থেকে ছাড়া পেতে রাত ১১টা ১৫ মিনিট বেজে যায় সন্দীপের৷

আরও পড়ুন: আরজি কর ভাঙচুর কাণ্ডে তলব মীনাক্ষী সহ ৭ জনকে! লালবাজারে যাবেন? জবাব দিলেন ডিওয়াএফআই নেত্রী

শনিবার সন্দীপ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের তিন কর্মীকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ তার মধ্যে আরজি কর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ওসি-ও ছিলেন৷

গত পরশুই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন সুখেন্দু শেখর৷ চিঠিতে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আগামী শীতকালীন অধিবেশনে যেন নারী নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে আরও কোনও কড়া আইন প্রণয়নের প্রস্তাব আনা হয়৷

পাশাপাশি সাংসদের দাবি ছিল, ‘কোনও সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব না নিলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‍তে হবে। সারা দেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, সিনেমা হল, সহ জনবহুল জায়গায় সশস্ত্র নারী সুরক্ষা বাহিনী গড়তে হবে’।

চিঠিতে সুখেন্দুশেখর জানিয়েছেন, ‘দেশের সব জেলায় অন্তত তিনটে ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট করতে হবে। সেখানে যেন ছয় মাসের মধ্যে এই ধরণের অত্যাচারের সাজা ঘোষণা হয়। যদি আদালত সেই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতের সাথে কথা বলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।’