Tag Archives: R G KAR MEDICAL COLLEGE

R G Kar Case: ঘটনার রাতে শহরের নামজাদা হোটেলে এসে ওঠেন এক রহস্যময় ব্যক্তি! কে তিনি? কেন এসেছিলেন ৯ অগাস্ট? এবার হোটেল কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় জট পাকাচ্ছে ক্রমেই। এবার হোটেলের এক কর্মীকে তলব করল সিবিআই। কেন? কীভাবে তিনি যুক্ত ঘটনার সঙ্গে? সন্দেহ দানা বাঁধছে ক্রমশ। সূত্রের খবর, গত ৯ অগাস্ট আশিস পান্ডে নামে এক ব্যক্তি এসে এঁদের হোটেলে ছিলেন। পরের দিন চেক আউট করেন। এই আশিসের পরিচয়,  ঠিকানা ও যাবতীয় ডিটেলস তথ্য জানতেই রেজিস্টার খাতা-সহ তলব করা হয়েছে হোটেল কর্মীকে।

সন্দীপ ঘোষের ডান হাত ছিলেন এই  আশিস পান্ডে। ছিলেন অভীক দেরও ঘনিষ্ঠ। আশিসকে আগ একবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ৯ অগাস্ট বিধাননগর এলাকারই এক  হোটেলে কেন ছিলেন তিনি। তা অনুসন্ধান করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আরও পড়ুন: সুগার, কোলেস্টেরল-সহ ২১ রোগের রামবাণ এই একটি মশলা… ‘মহৌষধি’! আপনার রান্নাঘরেই আছে

আরজি করে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও তলব করেছে সিবিআই। সেই সূত্রেই বুধবার কলকাতা হার্ট ক্লিনিকের দুই চিকিৎসককে তলব করা হয় সিবিআই দফতরে। জানা গিয়েছে, ওই দুই চিকিৎসকের নাম ডাক্তার কিষান প্রধান ও ডাক্তার সুভাষ দাশগুপ্ত। বুধবার তাঁদের তলব করার পর দুজনেরই বয়ান রেকর্ড করা হয়।

শুধু তাই নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারীকেও এদিন তলব করা হয়। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই। ৯ অগাস্ট আরজি করের ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল অঞ্জন অধিকারীর। সেই কল লিস্ট দেখেই তলব করা হয় অঞ্জনবাবুকে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে কী কথা হয়, কতক্ষণ কথা হয়। কবে কবে কথা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অঞ্জন অধিকারী তাঁদের জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে সুদীপ্ত রায় ফোন করেন। কারণ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তিনি। ফলে ফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

OC of Tala PS: এক ঘণ্টা পরে সিজিও থেকে বের হলেন টালা থানার ওসির স্ত্রী! ‘আমাদের তলব করেনি…’ দাবি আইনজীবীর

আরজি করে তরুণী চিকিত্‍সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ইতিমধ‍্যেই সিবিআইয়ের হেফাজতে টালা থানার ওসি। এবার আইনজীবীকে নিয়ে অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে এলেন তাঁর স্ত্রী।
আরজি করে তরুণী চিকিত্‍সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ইতিমধ‍্যেই সিবিআইয়ের হেফাজতে টালা থানার ওসি। এবার আইনজীবীকে নিয়ে অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে এলেন তাঁর স্ত্রী।
সূত্রের খবর, টালা থানার ওসির স্ত্রীকেও তলব করেছে সিবিআই। সোমবার দুপুরে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা সমনে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আইনজীবী শঙ্খজিৎ মিত্রকেও।
সূত্রের খবর, টালা থানার ওসির স্ত্রীকেও তলব করেছে সিবিআই। সোমবার দুপুরে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা সমনে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আইনজীবী শঙ্খজিৎ মিত্রকেও।
তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, 'আমাদের কোনওভাবেই তলব করেনি। অভিজিতের স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন।' প্রায় এক ঘণ্টা পরে সিজিও থেকে বের হন তাঁরা।অভিজিতের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করেন শঙ্খজিৎ মিত্র।
তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘আমাদের কোনওভাবেই তলব করেনি। অভিজিতের স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন।’ প্রায় এক ঘণ্টা পরে সিজিও থেকে বের হন তাঁরা।অভিজিতের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করেন শঙ্খজিৎ মিত্র।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎকে। ঘটনার সময় তিনি টালা থানার ওসি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যেমন, কর্তব্যে গাফিলতি, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎকে। ঘটনার সময় তিনি টালা থানার ওসি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যেমন, কর্তব্যে গাফিলতি, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
৯ অগাস্ট রাতে মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসকের। সেইদিন রাতভর কী চলেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? মৃত্যুর ঘটনা কখন জানতে পারেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? তারপরে কাকে জানান তিনি? কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল? তারপর থেকে দীর্ঘ সময় কী কথা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে?...এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবারে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা। সংগৃহীত ছবি।
*৯ অগাস্ট রাতে মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসকের। সেইদিন রাতভর কী চলেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? মৃত্যুর ঘটনা কখন জানতে পারেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? তারপরে কাকে জানান তিনি? কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল? তারপর থেকে দীর্ঘ সময় কী কথা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে?…এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবারে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা। সংগৃহীত ছবি।
তদন্তকারীদের কথায়, ঘটনাক্রম অনুযায়ী সেমিনার হলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও টালা থানার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি মাত্র সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। তারও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধোঁয়াশা ও অস্পষ্ট। মৃতদেহ দ্রুত দাহ করার ক্ষেত্রেও অভিজিতের অতিসক্রিয়তার নানা ইঙ্গিত মিলেছে বলে অভিযোগ। ফলে সেদিন রাত থেকে কী কী ঘটেছিল, তা জানতে এদিন মুখোমুখি জেরা করা করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সংগৃহীত ছবি।
*তদন্তকারীদের কথায়, ঘটনাক্রম অনুযায়ী সেমিনার হলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও টালা থানার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি মাত্র সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। তারও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধোঁয়াশা ও অস্পষ্ট। মৃতদেহ দ্রুত দাহ করার ক্ষেত্রেও অভিজিতের অতিসক্রিয়তার নানা ইঙ্গিত মিলেছে বলে অভিযোগ। ফলে সেদিন রাত থেকে কী কী ঘটেছিল, তা জানতে এদিন মুখোমুখি জেরা করা করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সংগৃহীত ছবি।
সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' ফাঁস হয়ে যেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। কী ঘটতে চলেছে আজ? কী তথ্য উঠে আসতে পারে মুখোমুখি জেরায়, তা জানতে মুখিয়ে রাজ্যবাসী।
*সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ ফাঁস হয়ে যেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। কী ঘটতে চলেছে আজ? কী তথ্য উঠে আসতে পারে মুখোমুখি জেরায়, তা জানতে মুখিয়ে রাজ্যবাসী।

Sandip Ghosh Abhijit Mandal Hearing: সিজিও-র বাইরে সেই হাতে জুতো, এবার মুখোমুখি অভিজিৎ-সন্দীপ! আরজি কর কাণ্ডে এবার নয়া মোড়

কলকাতা: সন্দীপকে নিয়ে যাওয়ার দিন যেমন চড় পড়েছিল গালে, তেমনই অভিজিৎকে দেখেও শুরু হয়েছে জুতো হাতে বিক্ষোভ। সিজিও-র বাইরে জুতো ছুড়তে দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকে। সিবিআই অভিজিৎকে নিয়ে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য আসে  বি আর সিং হাসপাতালে। অন্য দিকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে আসা হবে শিয়ালদা আদালতে। দু’জনের শুনানি হবে একসঙ্গে।

CM Mamata Banerjee at R G Kar Hospital Protest: ‘যদি কেউ দোষী হয়, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে’, আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা : ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনাদের দিদি হিসেবে এসেছি’’-শনিবার ধরনাস্থলে জুনিয়র ডাক্তারদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে আচমকাই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রতি সমবেদনা, সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন আন্দোলন তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে কেউ যদি দোষী হয়, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। তিনি পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। বলেন,‘‘আপনারা যা ভাবছেন কেউ আমার বন্ধু, আমি তাদের চিনি না, জানি না। আমাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। তারা এসেছেন প্রসেসের মাধ্যমে।’’ পাশাপাশি একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, আন্দোলনরত কোনও ডাক্তারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেব না। আমরা জানি আপনারা অনেক মহৎ কাজ করেন।’’

আরও পড়ুন : আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তিনি নেবেন না, স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনাস্থলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারেন। আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। কর্মবিরতি থেকে আরও একবার কাজে ফেরার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের আমাদের প্রয়োজন। আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। আমি যখন আপনাদের জন্য মঞ্চ পর্যন্ত আসতে পেরেছে আমার উপর ভরসা রাখতে পারেন। আমাকে একটু সময় দিন। সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’’

আরও পড়ুন : ‘সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি আমি ভেঙে দিলাম…’ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চ থেকে বিরাট ঘোষণা মমতার

শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন। পাশাপাশি রাজ্যের সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।

RG Kar Nabanna Update: শেষমেশ নবান্নের পথে জুনিয়র ডাক্তাররা, কিন্তু ‘তিরিশেই’ অনড়! স্পষ্ট বার্তা…

কলকাতা: তিরিশজন প্রতিনিধি নিয়েই নবান্নে যাবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। নবান্নের চিঠির উত্তরে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, “আমরা মনে করি, নবান্নের তরফে  এই বার্তা সদর্থক। আমরা এই সদর্থক বার্তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বৈঠকে যাব। আমরা বাস রেডি করেছি। সেই বাসেই আমরা যাব।”

West Medinipur News: আন্দোলনের মাঝেই নয়া ভাবনা, ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথা ভেবে চিকিৎসকদের ‘বিরাট’ সিদ্ধান্ত

পশ্চিম মেদিনীপুর: আন্দোলনে অনড় চিকিৎসকেরা। পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতে শুরু হয়েছিল অভয়া ক্লিনিক। যেখানে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে এই আন্দোলন থেকে যাতে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণেও অসুবিধা না হয়, এবার সেদিকে নজর দিলেন চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যু ঘিরে দিকে দিকে উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। সুবিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আন্দোলন থেকে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই ভেবে শুরু হয় অভয়া ক্লিনিক। তবে এবার  কলেজে পড়তে আসা পড়ুয়াদের যাতে পড়াশোনায় কোনও ক্ষতি না হয়, তা ভেবে চিকিৎসকেরা আন্দোলনস্থলেই শুরু করলেন পাঠদান প্রক্রিয়া। নাম দিয়েছেন অভয়া পাঠশালা।

আরও পড়ুন: বর্ধমান থেকে সোজা গোপীবল্লভপুর! আর খাটল না প্রভাব, চিকিৎসক অভীক দে-র স্ত্রীকেও বদলি

মেডিক্যাল কলেজের স্নাতক স্তরের ১০০ জন ছাত্রীকে দুটি ব্যাচে ক্লাস করাবেন  সিনিয়র রেসিডেন্ট বা পিজিটিরা। প্রতিদিন বিকাল বা সন্ধ্যায় হবে ক্লাস। ঘটনার পর থেকেই লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে চিকিৎসকেরা। মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালেও চলছে সেই অবস্থান কর্মসূচি। চিকিৎসা পরিষেবা জারি রাখতে প্রতিদিন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের অবস্থান মঞ্চে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে অভয়া ক্লিনিকের সূচনা হয়েছে।

Bratya Basu-Partha Bhowmick: ‘গ্রামের লোকেদের কাছে ডাক্তারেরা ভগবান, তাঁদের কাছে ভগবান থাকুন…’ সুপ্রিম নির্দেশের পরেই বার্তা তৃণমূলের

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এবার এ নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক।

ব্রাত্য বসু  বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আজকে শুনানি করেছে। প্রতিবাদ কখনওই দায়িত্ব অবহেলা করে হয় না, এই কথা বলার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আগামিকাল বিকাল ৫’টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আমরা তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমাদের আবার অনুরোধ, তাঁরা কাজে ফিরুন। ২৩ জন মারা গিয়েছেন বিনা চিকিৎসায়। আমার বিধানসভা এলাকা ডেঙ্গিতে আজ একজন মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ২৪ হয়েছে। এই কর্মবিরতির কারণে লক্ষাধিক মানুষ বিপন্ন হয়েছে।’ একই কথা বলেন ব্য়ারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকও। তাঁর কখায়, ‘মূল ইস্যু থেকে আমরা দূরে সরে গিয়েছি। ধর্ষণ ও খুনের বিচার হোক তাড়াতাড়ি সেটা আমরা চেয়েছিলাম। ২৭ দিন পেরিয়ে গেছে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত। কিন্তু আদালতে তাদের  আইনজীবী অনুপস্থিত থেকেছেন। গ্রামের গরিব মানুষ ডাক্তার বাবুদের ভগবান মনে করেন। তাঁদের প্রতি ভগবানের মতো আচরণ করুন।’

 সিপিএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে পার্থ বলেন, ‘সিপিএমের কাছে একটা মৃতদেহ দরকার ছিল। তারা সেটা পেয়েছেন। দুই বিরোধী দলের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা চলছে। আমাদের নির্যাতিতার খুন ও ধর্ষণের ঘটনা চলে গেছে দ্বিতীয় সারিতে। তবে মানুষ এর জবাব দেবে।’

সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে  আরজি কর কাণ্ডের দ্বিতীয় শুনানি  শেষ হতেই প্রশাসনিক বৈঠকে  পুজো প্রস্তুতিতে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে তিনি বললেন, ‘১ মাস ১ দিন হয়ে গিয়েছে এবার উৎসবে ফিরুন। সিবিআই তদন্ত শেষ করুক দ্রুত।’ এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানান, মুখ্যমন্ত্রী পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া অর্থনীতির কথা বলেছেন। একাংশ এর বিকৃত ব্যাখ্যা করছেন। অনেক মানুষের রুটি রোজগার যুক্ত থাকে।

শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ট্যুইট নিয়ে জলঘোলা করা হয়েছিল। কিন্তু ট্যুইটে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যা বলেছিলেন আজ সেই একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছে প্রধান বিচারপতির গলায়। ফলে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ট্যুইট যথাযথ ছিল। এই কর্মবিরতির কারণে লক্ষাধিক মানুষ বিপন্ন হয়েছে। শল্য চিকিৎসকদের দিকে তাকিয়ে আছেন প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ রোগী। আপনারা আপনাদের বিবেক বিবেচনা করুন।

আরও পড়ুন:  ময়না তদন্তের ‘সময়’ নিয়ে সংশয়! কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ…? কী তাঁর ডেজিগনেশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

প্রসঙ্গত, এর আগে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় লিখেছিলেন, ‘যদি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হয়, তাহলে তা গঠনমূলকভাবে করা উচিত। সহানুভূতি ও মানবতার সঙ্গে করা উচিত। যাতে নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার মাধ্যমে আর কোনও জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। কিন্তু তা বলে আন্দোলনের ফলে চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যুও তো অপরাধযোগ্য হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।’  অভিষেকের ট্যুইট আর সুপ্রিম কোর্টের জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের মিল খুঁজছে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রামের লোকেদের কাছে  ডাক্তারেরা ভগবান। তাঁদের কাছে ভগবান থাকুন, বার্তা তৃণমূলের।

Nabanna: ‘জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন…’ আর্জি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের, বাড়তি নিরাপত্তার ঘোষণাও

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট সকলকে কাজে ফিরতে বলেছে।  কাল পাঁচটার মধ্যে যাতে জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেন তা নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীও অনুরোধ করছেন। আমরা একই কথা বলছি।’’

মুখ্যসচিব আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের অবসেরভেশন যা আছে, তার উপর বলতে এসেছি। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। আমরা চাইছি, বন্ধু বা ভাইবোন হিসাবে ওঁরা যেন আবার কাজ শুরু করেন। দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোকে কনসাল্ট করে আমরা কাজ শুরু করব। সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করব। সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলেছে। আমরা সে কথা মাথায় রেখেই আমরা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।’ ডিজি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা আরও শক্ত করব। যখনই কোনও ঘটনা ঘটবে কুইক রেসপন্স করব।’

 

আরও পড়ুন: ময়না তদন্তের ‘সময়’ নিয়ে সংশয়! কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ…? কী তাঁর ডেজিগনেশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্টতই দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিল, ”আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। আমরা দুদিন দিচ্ছি আপনাদের। তার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে জুনিয়ররা কাজ করবেন না সেটা বলতে পারেন না।” এখানেই শেষ নয়, প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমরা বলছি যদি এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন অবিলম্বে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সরকার। কিন্তু তাঁরা এর পরেও কাজে যোগ না দিলে আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকাতে পারি না।”

অন্যদিকে সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে  আরজি কর কাণ্ডের দ্বিতীয় শুনানি  শেষ হতেই প্রশাসনিক বৈঠকে  পুজো প্রস্তুতিতে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে তিনি বললেন, “১ মাস ১ দিন হয়ে গিয়েছে এবার উৎসবে ফিরুন। সিবিআই তদন্ত শেষ করুক দ্রুত।”

আরজি কর কান্ডে ফের পথে নাগরিক সমাজ, বিচারের দাবিতে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল

কলকাতা: আরজি কর কান্ডে একের পর এক প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে শহর কলকাতার বুকে৷ প্রায় প্রতিদিনই বিচারের দাবিতে পথে নামছে সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্ট জনেরা৷ ৬ অগাস্ট শুক্রবারও ছবিটা বদলালো না৷ বিচারের দাবীতে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হল৷ তাতে পা মেলালেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ৷

R G Kar Case Update: ঘটনার দিন ভোরেই কেন আরজি কর থেকে কুচকাওয়াজের মহড়া? কোন নির্দেশিকা ‘আসল’? প্রশ্ন একাধিক

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা বাংলা। একের পর এক প্রশ্ন, একের পর এক বিতর্ক। ৯ অগস্ট ভোর সাড়ে ৫টায় স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া শুরু নিয়ে একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এ বার সেই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আইএমএ। কেন  প্রকাশ্যে আনা হল সেই নির্দেশিকা?

প্রশ্ন আরও অনেক। নির্দেশিকা অনুযায়ী মহড়ায় যে তিন জন চিকিৎসককে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে তাঁদের এক জন অভীক দে। বৃহস্পতিবার তাঁকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তিনি ছাড়াও সাসপেন্ড করা হয়েছে আইএমএ-র জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক ড. সুশান্ত রায়, ড. তাপস চক্রবর্তী, ড. দীপাঞ্জন হালদার এবং ড. বিরূপাক্ষ বিশ্বাস।

আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য বিরাট সুসংবাদ! পুজোর আগেই বড় ঘোষণা, বহু শিক্ষকের চিন্তা শেষ

 সমাজমাধ্যমে আইএমএ এই নির্দেশিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে।
কী ভাবে আরজি কর হাসপাতাল থেকে মহড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছিল সেদিন দিনের ভোরে?
নির্দেশিকায় নম্বর এবং তারিখ পেনে লেখা কেন ছাপায় লেখা নয় কেন?
আরেকটি নির্দেশিকা সামনে এসেছে যেখানে সই রয়েছে অন্য কারও। দু’টি নির্দেশিকার মধ্যে কোনটি আসল?

কেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরেই প্রকাশ্যে এল সেই নির্দেশিকা? 

ঘটনার পরে সেমিনার রুমে এই অভীকের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নানা মহলে। হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত না-হয়েও তিনি সেখানে কী করছিলেন? সমাজমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ‘‘আশা করি, আপনারা সত্য উদঘাটন করবেন, যা কলকাতা পুলিশ করেনি। অভীক দে যে ঘটনাস্থলে ছিলেন, সেই নিয়ে আমাদের দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি কলকাতা পুলিশ। ’’ প্রসঙ্গত, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় রায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।