দুর্ঘটনায় মৃত্যু!

স্কুটারে বসেছিলেন… আচমকাই মাথায় এসে পড়ল এসির আউটডোর ইউনিট, সব শেষ! শিউরে ওঠা পরিণতি

নয়াদিল্লি: দোতলা থেকে এসি-র আউটডোর ইউনিট মাথায় পড়ে মৃত্যু হল ১৮ বছরের এক যুবকের। গুরুতর জখম তাঁর বন্ধু। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্য দিল্লির দোরিওয়ালান এলাকায়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম জীতেশ। দোরিওয়ালান এলাকারই বাসিন্দা তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃতের বন্ধু তথা প্যাটেল নগরের বাসিন্দা প্রাণশু।

আরও পড়ুন:  আরজি কর তদন্তে সিবিআই-কে সাহায্য করতে সিজিও-তে কুণাল, কী তথ্য দেবেন তৃণমূল নেতা?

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি দোতলা বাড়ি সামনে স্কুটারে বসে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন জীতেশ। উপর থেকে এসি-র আউটডোর ইউনিট আচমকাই ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়। মুহূর্তে ছিটকে যান জীতেশ। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর বন্ধু প্রাণশু। তাঁরও মাথায় লাগে। দু’জনেই রাস্তায় পড়ে যান। ঘটনা দেখে ছুটে আসেন আশপাশের লোক। ভিড় জমে যায়।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেশবন্ধু রোড থানা এলাকার পুলিশ। দোতলা বাড়ির দেওয়াল থেকে এসির আউটডোর ইউনিট কোনওরকমভাবে খুলে গিয়েছিল। সেটাই আচমকা পড়ে যায়। ঘটনার ভিডিও দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। তাঁরা বলছেন, মৃত্যু কীভাবে আসবে কেই জানে না। পাশাপাশি বাড়ির মালিকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

অন্য দিকে, দিল্লির এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ দেশবন্ধু রোড থানা এলাকার একটি দোতলা বাড়ির এসির আউটডোর ইউনিট ভেঙে যায়। নিচে দুই যুবক ছিলেন, তাঁদের মাথায় গিয়ে লাগে। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন হাসপাতালে ভর্তি।’’

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই জীতেশ এবং প্রাণশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জীতেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাণশুর চিকিৎসা চলছে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই অফিসার। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেছে। মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১২৫(এ) (অন্যের জীবন বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করে এমন কাজ) এবং ধারা ১০৬ (অবহেলার কারণে মৃত্যু)-এর আওতায় বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।