বিশেষ স্বীকৃতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের।

Indian Railways: রেলের প্রতি বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি, বড় সিদ্ধান্ত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের

শিলিগুড়ি: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে সাধারণ মানুষ ও রেলওয়ে কর্মীদের বীরত্ব এবং পরিষেবার স্বীকৃতি দিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে ‘কর্মবীর পুরস্কার’।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এই বছরের ‘কর্মবীর পুরস্কার’ প্রাপকদের প্রশংসাপত্র ও নগদ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন। জেনারেল ম্যানেজার পুরস্কার প্রাপকদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি এমন সাহসী কাজকে স্বীকৃতি দেওয়ার গুরুত্ব জানান। তিনি রেলের কর্মী এবং নাগরিকদের নিষ্ঠা ও সাহসিকতার প্রশংসা করে জানান যে তাঁদের এমন কাজ ভারতীয় রেলওয়ের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।

আরও পড়ুন: ‘হাসপাতাল ভাঙচুরের সময় পুলিশ কোথায় ছিল?’ আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয় উত্তর ত্রিপুরার বিলথাইয়ের বাসিন্দা শ্রীমতি সুপ্রীতি আচার্যকে। ০৭ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে রেল কর্মচারী না হওয়া সত্ত্বেও শ্রীমতি সুপ্রীতি আচার্য ধর্মনগর ও পানিসাগর স্টেশনের মধ্যে রেল ফ্র্যাকচার লক্ষ্য করে  রেলকে বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিক সহায়তার অভাব সত্ত্বেও তিনি হেল্পলাইন নং ১৩৯-এ কল করে প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় মানুষদের একত্রিত করেন। তাঁর এই অবদানের জন্যই তাঁকে নগদ টাকা-সহ ‘কর্মবীর পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘আরজি করে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী’, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

‘কর্মবীর পুরস্কার’ লাভ করা অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মী রজক, তিনি নিউ জলপাইগুড়ি ইয়ার্ডের কাছে একটি রেল ফ্র্যাকসার প্রত্যক্ষ করেন এবং একটি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করেন। সেই সঙ্গে অজয় কুমার মৌর্য তিনি চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে একটি ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করেন। শেখ শরিফুল, তিনি ট্র্যাক ওয়াশআউটের সময় একটি ট্রেন সুরক্ষিতভাবে দাঁড় করিয়ে দুর্যোগ প্রতিরোধ করেছিলেন। সেই সঙ্গে আরও অনেকে।