বেশি টাকা রোজগার করতে কে না চায়! কিন্তু কাজটা সহজ নয় মোটেই। চাকরিজীবীদের ১০টা-৫টা অফিস করতে হয়। বাকি সময়ে অন্য কোনও কাজ বা ব্যবসা করার অধিকার তাঁদের নেই। নিয়মে আটকাবে। তাহলে বেশি টাকা আয় হবে কীভাবে?যে সব ব্যক্তি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের কথা ভাবছেন, তাঁরা চাকরি করার পাশাপাশি এই কাজও অনায়াসে করতে পারেন। এতে কোনও সমস্যা হবে না। বাধা দেবে না কোম্পানি বা এইচআর-ও। এই তিনটি পদ্ধতিতে যে কেউ প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন অনায়াসে।অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট: বর্তমানে গোটা দেশেই স্টার্টআপ কালচার বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সবাই স্টার্টআপ শুরু করতে পারে না। কারণ ব্যবসা করতে গেলে পুঁজি লাগে। টাকা যোগাড় করাটাই আসল। এখন যাঁরা পুঁজির কারণে স্টার্টআপ শুরু করতে পারছেন না, তাঁদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যায়। তবে ব্যবসা আদৌ চলবে কি না দেখে নিতে হবে।ব্যবসা বাড়লে হাতে আসবে লাভের একটা অংশ। একেই বলে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট। আর যাঁরা এই বিনিয়োগ করেন, তাঁরা হলেন অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর। এভাবে বিনিয়োগ করে অনেকেই মোটা টাকা আয় করছেন।বন্ধু এবং আত্মীয়দের ঋণ: অনেক সময় বন্ধু বা আত্মীয়দের টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কে আজ বললেই কাল ঋণ মেলে না। অপেক্ষা করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বন্ধু বা আত্মীয়দের ঋণ দিয়ে, তার সুদ থেকে মোটা টাকা আয় করা যায়।তবে তাঁরা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করবেন, এই নিশ্চয়তা থাকলে তবেই ঋণ দেওয়া উচিত। বর্তমানে ফিক্সড ডিপোজিটে সর্বাধিক ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ১০ থেকে ১১ শতাংশ। এই হারে সুদ নিলে উভয়েরই লাভ। কারণ প্রসেসিং ফি-ও দিতে হবে না।শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ড: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ প্যাসিভ ইনকামের সবচেয়ে ভাল উপায়। তবে এর জন্য রীতিমতো গবেষণা প্রয়োজন। নাহলে লোকসান ছাড়া আর কিছু হবে না। আর হ্যাঁ, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে তবেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা উচিত। আর ঝুঁকি নিতে না চাইলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। স্টক মার্কেট এবং মিউচুয়াল ফান্ড থেকে গড়ে ১২-১৩ শতাংশ হারে রিটার্ন মেলে। ভাল শেয়ার বাছতে পারলে লাভ আরও বেশি হবে।
