গাড়ির মালিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর, ‘এই’ কাজটি না করলে সমস্যা হতে পারে

কলকাতা– বিহারের বাসিন্দা গাড়ির মালিক এবং গাড়ির চালকদের জন্য রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আসলে প্রত্যেককেই ৩০ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর আপডেট করতে হবে।

পরিবহণ দফতরের তরফে এই বিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর এই কাজ করার সময়সীমাও আগামী ৩০ অগাস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- ভারতের পরবর্তী বুমরাহ কে? জানিয়ে দিলেন বুমরাহ নিজেই, অবাক করা উত্তর

যাঁরা এই নির্দেশিকা মানবেন না, তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট স্থগিত করা হতে পারে। এমনকী তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হতে পারে।

বিহারের জামুই জেলার পরিবহণ কর্মকর্তা মহাম্মদ ইরফান আলম এই নির্দেশিকার সত্যতায় সীলমোহর দিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা বা জরুরি পরিস্থিতিতে গাড়ির চালক কিংবা মালিককে শনাক্ত করার জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অনেক সময় মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে যানবাহন মালিকদের চিহ্নিত করা যায় না। যা বেশ সমস্যার উদ্রেক করে। আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা আপডেট করা হচ্ছে না বলে বেশ কিছু দিন ধরেই ক্রমাগত অভিযোগ আসছিল। বিষয়টি মাথায় রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে অধিদফতর।

পরিবহণ দফতরের এই নির্দেশে বলা হয়েছে, সমস্ত দুচাকার গাড়ি বা টু-হুইলার এবং চার চাকার গাড়ি বা ফোর-হুইলার মালিকদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, তাঁদের নথিতে নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা সঠিক ও আপডেট করা আছে কি না। গাড়ির মালিক বা চালক এই নির্দেশিকা না মানলে শুধু তাঁদের নথিপত্রই স্থগিত করা হবে না, সেই সঙ্গে জরিমানাও করা হবে।

আরও পড়ুন- ভারতের পরবর্তী বুমরাহ কে? জানিয়ে দিলেন বুমরাহ নিজেই, অবাক করা উত্তর

তবে এ-ও জানানো হয়েছে যে, যানবাহন মালিকদের নথি আপডেট করার বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। তাঁরা বাড়িতে বসে সহজেই নিজেদের মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের সাহায্যে সরাসরি পরিবহণ বিভাগের পোর্টালে গিয়ে নিজেদের বিবরণ আপডেট করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি খুব সহজ এবং সুবিধাজনক। এর জন্য কোনও বিশেষ প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রয়োজন হবে না।

ডিটিও-র তরফে বলা হয়েছে যে, এই নির্দেশিকাটি রাজ্য সরকারের নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের অংশ। যা নাগরিকদের সুরক্ষা এবং পরিচয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি কেবল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সহায়তাই দেবে না, সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে নাগরিকদের যে কোনও ধরনের আইনি ঝামেলা থেকেও রক্ষা করবে।

জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনার শিকার কোনও ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক ভাবে শনাক্ত করা যাবে এবং তাঁর পরিবারকেও খবর দেওয়া যেতে পারে। ফলে সমস্ত গাড়ির মালিক এবং চালকদের জন্য এই নির্দেশটি অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।