'সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে...বিচার দেবে' ধন্যবাদ জানালেন নির্যাতিতার বাবা-মা

RG Kar Doctor Murder Case: ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

সুবীর দে,পানিহাটী: রাজ্য, দেশ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানালেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা জানালেন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। সব সময়ের জন্য ডিপার্টমেন্ট দায়ী। তাঁদের কথায়, “আমরা সিবিআইকে সমস্ত তথ্য দিয়েছি। রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেছেন বিচার আমরা পাব। সিবিআই আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। দোষীরা ধরা পড়বে আর তারা আমাদের মেয়ের মৃত্যুর বিচার দেবে…”

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারের মধ্যে এই ঘটনায় তদন্ত শেষ করে মূল অভিযুক্তকে চরম শাস্তি দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে সিবিআই জেরা করলেও রবিবার পর্যন্ত তারা নতুন কাউকে গ্রেফতার করেনি।

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল, তাকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে আরজি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সুয়োমোটো মামলা গ্রহণ করেছে। রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে সোমবার ছিল সরকারি ছুটি। এই মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আইনজ্ঞদের একাংশের মত, তদন্তের গতিপ্রকৃতি থেকে শুরু করে সার্বিক ভাবে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত। এ দিনই আবার পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বিষয়টি তাঁরা সিবিআইয়ের কাছেও জানাবেন বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন- আমাশা কিংবা প্রস্রাবে জ্বালা? সর্বরোগহরা এই শাকেই জব্দ হবে রোগ

নিহত তরুণী চিকিৎসক যে নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন এবং আরজি করের সেমিনার রুমের কাছেই যে সেই ডায়েরিটি পাওয়া গিয়েছিল— শনিবারই তা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল সেই ডায়েরিটি তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। ওই ডায়েরির তিন-চারটি পাতা ছেঁড়া ছিল বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রবিবার মৃত তরুণীর বাবা বলেন, ‘মেয়ের ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল ক্লাস নাইন থেকেই। কখন বাড়ি আসবে, কখন কী বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে— সবকিছুই লিখে রাখত। ওই ডায়েরির তিন-চারটি পাতা নেই।’

এতে তাঁদের সন্দেহ, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে সেটা ছিঁড়ে ফেলতে পারে। তবে ওই ছেঁড়া পাতার একটির ছবি তাঁদের কাছে রয়েছে বলে এ দিন জানিয়েছেন তরুণীর বাবা। সেটা তাঁরা কী ভাবে পেলেন, তা অবশ্য তাঁরা স্পষ্ট করেননি। তরুণীর মায়ের অভিযোগ, ‘একটা কথা শুনেছি, মেয়ের দেহ যে অবস্থায় পড়েছিল আর যেটা আমাদের বলা হয়েছে, সেটা এক নয়। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। সেটা আমরা সিবিআইকে জানাব।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে যারা প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিল, তা-ও কম বড় অপরাধ নয়। আমরা চাই, তারও তদন্ত হোক।’