Tag Archives: Supreme Court

SSC Scam: SSC কাণ্ডে আসলে অযোগ্য প্রার্থী কতজন? ৫২৫০ নাকি ৮৮৬১? আদালতে যা জানাল কমিশন, চমকে উঠবেন

নয়াদিল্লি: গত ২২ এপ্রিল এসএসসি কাণ্ডে ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, মঙ্গলবারই তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ যার অর্থ, আপাতত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে৷ তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল সেই শিক্ষকদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে ভবিষ্যতে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হলে তাঁদের হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ফেরত দিতে হবে৷ আর এরই পরিপ্রেক্ষিতেই উঠে এসেছে, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে কতজন অযোগ্য প্রার্থী আছেন? এসএসসি ইতিমধ্যেই ৫২৫০ জনের বেআইনি নিয়োগের কথা বলেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-কে উদ্ধৃত করে এসএসসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৮৮৬১টি। আর এই সংখ্যা আলাদা হওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। অযোগ্যদের আসল সংখ্যা কত, তা নিয়ে দ্বিধায় অনেকেই।

বুধবার অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অযোগ্য বলে চিহ্নিত চাকরি প্রাপকদেরও আপাতত ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না৷ আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ওই দিনই এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান করবে শীর্ষ আদালত৷

আরও পড়ুন: আপাতত চাকরি বহাল ২৬ হাজার শিক্ষকের, জুলাই মাসে চূড়ান্ত শুনানি! বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট বুধবার নির্দেশ দিতে গিয়ে জানিয়েছে, এসএসসি যদি যোগ্য অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারে, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল ন্যায্য নয়৷ পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে তার অভিঘাত অনস্বীকার্য বলেও স্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মধ্যেই বড় ধাক্কা বিজেপির, হরিয়ানায় সঙ্কটে নায়েব সিং সরকার

মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি পদাধিকারিকদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে হবে সিবিআই-কে৷ শীর্ষ আদালত এ দিন জানিয়েছে, সিবিআই এসএসসি সমস্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিত তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা। তিন মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

নির্দেশ দেওয়ার আগে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন , এখানে আমরা সবাই বিচার ব্যবস্থার অঙ্গ। ফলে আমাদের সেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে শুনানি সম্ভব হচ্ছে না।’

কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার৷ এ দিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে এসএসসি-র আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলের মধ্যে ১৯ হাজার নিয়োগই বৈধ ছিল৷ তার স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য এসএসসির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসএসসি-র আইনজীবী৷

ফলে কয়েক হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে এসএসসি৷ একই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের হয়ে কোনও সওয়াল এসএসসি আদালতে করবে না৷ এসএসসি দাবি করে, নাইসা-র থেকে পাওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷

এ দিনের শুনানির আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পৃথকীকরণ সম্ভব কি না৷ এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, তাদেরকাছে সেই তথ্য রয়েছে৷ সেই মতো এ দিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে জমা দেয় এসএসসি৷

এ দিন শুনানি পর্বে বার বারই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি-কে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করে, ‘এমনিতেই সরকারি চাকরি খুব কম৷ তার উপরে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতি হলে মানুষের ভরসা উঠে যাবে৷ প্রচুর গরিব মানুষ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকেন৷’

Supreme court order in SSC case: আপাতত চাকরি বহাল ২৬ হাজার শিক্ষকের, জুলাই মাসে চূড়ান্ত শুনানি! বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট গত ২২ এপ্রিল দিয়েছিল, তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ যার অর্থ, আপাতত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে৷ তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল সেই শিক্ষকদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে ভবিষ্যতে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হলে তাঁদের হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ফেরত দিতে হবে৷

এমন কি, অযোগ্য বলে চিহ্নিত চাকরি প্রাপকদেরও আপাতত ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না৷ আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ওই দিনই এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান করবে শীর্ষ আদালত৷

সুপ্রিম কোর্ট এ দিন নির্দেশ দিতে গিয়ে জানিয়েছে, এসএসসি যদি যোগ্য অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারে, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল ন্যায্য নয়৷ পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে তার অভিঘাত অনস্বীকার্য বলেও স্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি পদাধিকারিকদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে হবে সিবিআই-কে৷ শীর্ষ আদালত এ দিন জানিয়েছে, সিবিআই এসএসসি সমস্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিত তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা। তিন মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

নির্দেশ দেওয়ার আগে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন , এখানে আমরা সবাই বিচার ব্যবস্থার অঙ্গ। ফলে আমাদের সেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে শুনানি সম্ভব হচ্ছে না।’

কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার৷ এ দিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে এসএসসি-র আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলের মধ্যে ১৯ হাজার নিয়োগই বৈধ ছিল৷ তার স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য এসএসসির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসএসসি-র আইনজীবী৷

আরও পড়ুন: আইসিইউ-তে ভর্তি স্ত্রী, হাসপাতালের বেডেই নৃশংস কাণ্ড স্বামীর! কারণ শুনলে শিউরে উঠতে হয়

ফলে কয়েক হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে এসএসসি৷ একই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের হয়ে কোনও সওয়াল এসএসসি আদালতে করবে না৷ এসএসসি দাবি করে, নাইসা-র থেকে পাওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷

এ দিনের শুনানির আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পৃথকীকরণ সম্ভব কি না৷ এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, তাদেরকাছে সেই তথ্য রয়েছে৷ সেই মতো এ দিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে জমা দেয় এসএসসি৷

এ দিন শুনানি পর্বে বার বারই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি-কে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করে, ‘এমনিতেই সরকারি চাকরি খুব কম৷ তার উপরে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতি হলে মানুষের ভরসা উঠে যাবে৷ প্রচুর গরিব মানুষ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকেন৷’

SSC Case in Supreme Court: ‘রাজ্যকে শূন্যপদ তৈরি করতে হল কেন?’ SSC মামলায় বড় প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে!

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানিতে নিজেদের যুক্তি সাজাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, রাজ্য নিয়োগের শূন্যপদ তৈরি করে এবং শূন্যপদে নিয়োগের জন্য এসএসসি-র কাছে পাঠায়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম থাকলে সেটা নিয়ে এসএসসি বিস্তারিত জানাতে পারবে।

অতিরিক্ত শূন্যপদ ৬৮৬১ তৈরি করে রাজ্য, ওয়েটিং লিস্টের যোগ্য বঞ্চিতদের জন্য।

রাজ্যের সওয়াল, এসএসসি মাধ্যমে ওই অতিরিক্ত শূন্যপদের জন্য হাইকোর্টের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। হাইকোর্ট অনুমতি দেয়নি। রাজ্য ওই অতিরিক্ত শূন্যপদে কোনও নিয়োগ করেনি। কেউ অতিরিক্ত শূন্যপদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেনি। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! ঝড়-বৃষ্টির রাতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে সায়নী ঘোষ! অল্পের জন্য পেলেন রক্ষা

এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ”রাজ্যকে শূন্যপদ তৈরি করতে হল কেন? ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০২২ সালে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হবে? ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে থাকে, চ্যালেঞ্জের মুখে থাকে, তাহলে সেই একই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদে পূরণ করার কোনও প্রশ্নই নেই।” প্রধান বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ”২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলে কীভাবে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে?”

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ সালে শুরু হলে নিয়োগ হয় ২০১৮ বা আরও পরে। সেই সময় একাধিক মামলায় রাঙ্ক জাম্প চাকরির তথ্য উঠে আসে। অযোগ্যদের তালিকা থেকে সরিয়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্যদের চাকরির প্রসঙ্গ আসে, তখনই রাজ্য প্রস্তাব দেয় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির এবং তা এসএসসি’র মাধ্যমে হাইকোর্টে অনুমতির জন্য পৌঁছায়। হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। বিষয়টি সমাপ্ত ওখানেই। কারণ রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদে সিদ্ধান্ত অনুসারে কোনও নিয়োগ করেনি। হাইকোর্ট এই উদ্যোগের মধ্যে এসএসসি আবেদনকে বেনামি আবেদন বলে, তার মধ্যে ক্রিমিনালিটি খুঁজতে তদন্তের নির্দেশ দেয়।”

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু শুনানি একদিনের জন্য পিছিয়ে যায়।

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। গত সোমবার মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’ ৬ মে, সোমবার ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল এই মামলার।

গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। সরকারের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন হল হাইকোর্ট কীভাবে একজন সরকারি কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে? তাঁরা তো কমপিটেন্ট অথরিটি নয়। ২৪ হাজার মানুষ কর্মহীন হলে তাঁদের পরিবারের কী হবে?’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ওএমআর শিট না পেলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীর বিচার হবে? সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টের বাকি রায়ে ওইদিন স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

West Bengal SSC Recruitment Case: SSC চাকরিহারাদের হল না সুরাহা, সুপ্রিম কোর্টে পিছোল শুনানি! ফের শুরু অপেক্ষা, পরবর্তী শুনানি কবে?

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা। একাধিকবার সময় পিছিয়ে গিয়েও সোমবারে শুনানি হলই না এই মামলার। মঙ্গলবার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে। কাল একটি আগাম জামিন মামলার শুনানি করার পর এসএসসি মামলা ধরবে শীর্ষ আদালত।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না।

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। গত সোমবার মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’ ৬ মে, সোমবার ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল এই মামলার।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। সরকারের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন হল হাইকোর্ট কীভাবে একজন সরকারি কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে? তাঁরা তো কমপিটেন্ট অথরিটি নয়। ২৪ হাজার মানুষ কর্মহীন হলে তাঁদের পরিবারের কী হবে?’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ওএমআর শিট না পেলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীর বিচার হবে? সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টের বাকি রায়ে ওইদিন স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার, ৬ মে ২০২৪। ততদিন চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে। কিন্তু এদিন সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল ৭ মে, মঙ্গলবার।

অর্ণব হাজরা

SSC Scam Case: ‘কারা যোগ্য, জানি’, সুপ্রিম কোর্টে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের হিসেব দেবে SSC! সবার নজর সোমবার

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয় সম্প্রতি। আদালত জানিয়েছিল, যোগ্যদের তালিকা এসএসসি দেয়নি। তাই এই ব্যবস্থা নিতে হয়। প্রথমে সেই দাবি খণ্ডন করেছিল এসএসসি। পরে কমিশন প্রধান কার্যত সেই অভিযোগ মেনেও নিয়েছিলেন। শুক্রবার যোগ্য প্রার্থী বলে দাবি করা একদল চাকরিহারারা দেখা করলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে। এরপরেই তাঁর দাবি, যোগ্য ও অযোগ্যদের জট খোলা সম্ভব। সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য শিক্ষকদের নাম জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

বৈঠকের পর এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আমরা হলফনামা দিয়ে জমা দিয়েছিলাম যারা অযোগ্য প্রার্থী তাঁদের নাম দিয়ে। যারা যোগ্য প্রার্থী তাঁরা আজ এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। যাঁদের সম্পর্কে কোনও অভিযোগ নেই। এসএসসি অবশ্যই রয়েছে যোগ্যদের সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করে বলব এই তালিকা থেকে যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই সেই পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে দেব। আমরা কিন্তু যাঁরা দোষী নয়,তাঁদের পাশে আছি। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ মোতাবেক আমরা যা করার করব। এই বার্তাটা আপনাদের মাধ্যমে আমরা পৌঁছে দিতে চাই। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই সেই পরিসংখ্যান আমরা সুপ্রিম কোর্টে দেব।’

আরও পড়ুন: বড় খবর! ভারতে ২ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল WhatsApp! এবার কি আপনার পালা? কী করতে হবে?

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। ২৯ এপ্রিল, সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ।

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

ওইদিন মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’ সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। শীর্ষ আদালত জানাল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। ততদিন চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Supreme Court On Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি রাজ্যের, সিবিআই তদন্ত নিয়ে বড় নির্দেশ

নয়াদিল্লি: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে অবশেষে সাময়িক স্বস্তি। বৃহস্পতিবার অন্তর্বতীকালিন স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। সব পক্ষকে নোটিস সার্ভ করার নির্দেশ বিচারপতি বি.আর.গাভাই এর ডিভিশন বেঞ্চ এর। মামলায় দু’সপ্তাহে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। মামলায় দু’সপ্তাহ পরে আগামী শুনানি।

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ এর আগে বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। সিবিআই অনুসন্ধানে রাজ্যের স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ইলেক্ট্রোলাইট থাকবে কন্ট্রোলে…! ডিহাইড্রেশন ছুঁতে পারবে না….! জলে মিশিয়ে দিন একচিমটি ‘ছোট্ট’ জিনিস! এক ‘ড্রিঙ্কে’ গরম জব্দ

উল্লেখ্য, ছদ্মনাম চিঠিতে পাহাড়ে নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই-কে ৯ এপ্রিল অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারই বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায় গত ১৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন।

আরও পড়ুন: ইস্তেহার ‘আউটসোর্স করছে’ কংগ্রেস, ‘সংখ্যালঘু ও বামেদের থেকে….’ `বড় দাবি অমিত শাহের!

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখার পরেই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সঙ্গে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদও। এর আগে সোমবার প্রধান বিচারপতির এজলাসেই হয় মামলার শুনানি। কিন্তু চাকরি বাতিলে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

Supreme Court on Hindu Marriage: ‘সাত পাকে বাঁধা পড়ে নিয়ম মেনে বিয়ে না করলে হিন্দু বিয়ে বৈধ নয়’, বলল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: শুধু মাত্র রেজিস্ট্রি করলেই হিন্দু বিয়ে বৈধ নয়, হিন্দু বিয়ে মানে সাত পাকে বাঁধা পড়া। সেই সঙ্গে শাস্ত্র মতে একাধিক রীতিনীতি এবং সংস্কার মেনে পবিত্র এক সামাজিক অনুষ্ঠান। বিবাহ নিয়ে এক মামলার রায়ে এমনই জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: সরকারকে কর দেননি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৫ লাখের উপর সিম কার্ড, কড়া পদক্ষেপ পাকিস্তান সরকারের

বিবাহ সংক্রান্ত এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হিন্দু বিয়ে শুধুমাত্র নাচগান বা খাওয়াদাওয়ার অনুষ্ঠান নয়। পণ বা উপহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করার কোনও রীতিও নয়, যা আইনত অপরাধ। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী হিন্দু বিবাহের সংজ্ঞাও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের দিনেই শাস্তি হার্দিকের, বাঁচলেন না রোহিত-বুমরাও, কী করেছিলেন?

সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চের নিয়ম অনুযায়ী, যত ক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত রীতি এবং সংস্কারের মাধ্যমে বিবাহের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হচ্ছে তত ক্ষণ পর্যন্ত তাকে বিয়ে বলা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “যখন বিয়েতে সপ্তপদী অর্থা‍ৎ বর-কনে মিলে অগ্নিসাক্ষী করে সাত পাক ঘোরা হয়, তখনই বিয়ে সম্পন্ন হয়। যেই বিয়েতে নিয়ম এবং সংস্কার সঠিক ভাবে মানা হয় না তাকে হিন্দু বিবাহ হিসাবে মানা যায় না। শুধু তাই নয়।”

এখানেই না থেমে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ধর্মীয় সংস্কার এবং নিয়ম পালনের যথেষ্ট প্রমাণও রাখা উচিত, যাতে হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ে নিয়ে কোনও সন্দেহ না জন্মায়। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, হিন্দু বিবাহ আইনের সপ্তম অনুচ্ছেদ মতে, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে বিয়ে না হলে সেই বিয়ে বৈধ নয়।

SSC Scam Case: SSC কাণ্ডে নয়া মোড়, এবার CBI তদন্তের মুখে মমতার মন্ত্রিসভা? বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরিহারাদের ভাগ্য ঝুলেই রইল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সুপ্রিম নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গোটা বিষয়টিকে সম্পূর্ণ জালিয়াতি বলেই মনে করছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। শুনানিতে প্রশ্ন তোলা হল, কীভাবে এবং কেন তৈরি করা হল সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ। এ দিনের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে, হাইকোর্টের বাকি রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতি’, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরিহারাদের ভাগ্য! আগামী সোমবার বড় কোনও রায়?

রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, এই সময় নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, যা কার্যকর করা সম্ভব নয়। ওই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। এর পরেই সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: ফ্যানের হাওয়া গায়েই লাগছে না? গতি কমে ঠান্ডা হাওয়া উধাও? এই এক টিপসে আবার ফুল স্পিডে ঘুরবে পাখা

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি গিয়েছে বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না।

অর্ণব হাজরা

SSC Recruitment Scam Case in Supreme Court: ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতি’, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরিহারাদের ভাগ্য! আগামী সোমবার বড় কোনও রায়?

নয়াদিল্লি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি গিয়েছে বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না।

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’

আরও পড়ুন: প্রথম ছবিতে ৫০০ কোটির ব্যবসা, তারপর? থ্রি ইডিয়টস-এর ‘সাইলেন্সর চতুর’ ওমি এখন কী করেন জানেন?

সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। সরকারের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন হল হাইকোর্ট কীভাবে একজন সরকারি কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে? তাঁরা তো কমপিটেন্ট অথরিটি নয়। ২৪ হাজার মানুষ কর্মহীন হলে তাঁদের পরিবারের কী হবে?’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’

আরও পড়ুন: ফ্যানের হাওয়া গায়েই লাগছে না? গতি কমে ঠান্ডা হাওয়া উধাও? এই এক টিপসে আবার ফুল স্পিডে ঘুরবে পাখা

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ওএমআর শিট না পেলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীর বিচার হবে? সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টের বাকি রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানাল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। ততদিন চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে।

অর্ণব হাজরা
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য

Sandeshkhali Case: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! ভোটের মাঝে আরও অস্বস্তিতে শাসক দল

কলকাতা: সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই সিট তদন্ত চলবে। হাইকোর্টের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। জরুরি হস্তক্ষেপের কোনও পরিস্থিতি নেই, এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। জুলাই দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি।

বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে শুনানি ছিল এই মামলার। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন দেখিয়ে, হাইকোর্ট চলা মামলায় কোনও বাধা নয়। এমনটাই জানাল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: মে মাসের শুরুতেই মোদি-মমতার জোড়া সভা! তৃতীয় দফার আগে উত্তাপ বাড়ছে বর্ধমানে

সন্দেশখালি কাণ্ডে সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল এনএসজি তল্লাশিতে। সিবিআই-এর তদন্তের ভিত্তিতেই সেই তল্লাশি অভিযানে নামে এনএসজি। এরপরই এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টেও যায় রাজ্য সরকার।

তবে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও লোকসভা ভোটের মাঝে কোনও রকম স্বস্তি পেল না তৃণমূল। এই মামলায় রাজ্যের দায়ের করা মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। ফের জুলাইতে হবে এই মামলার শুনানি। তবে এই সময়কালে সিবিআই-এর তদন্তপ্রক্রিয়া ব্যাহত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা। এই আবহে ভোটের সময় সন্দেশখালি তদন্ত সিবিআই-এর কাছেই থাকছে। ভোটের ফল প্রকাশের প্রায় ১ মাস পরে এই মামলার শুনানি হবে ফের।