Maharastra Protest: ‘সব বহিরাগত!,’ শিণ্ডে সরকারকে অপমান করতেই বিক্ষোভ, নাবালিকা-শ্লীলতাহানি কাণ্ডে দাবি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর

মহারাষ্ট্র: ঠাণের বদলাপুরের স্কুলে দুই নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘিরে এখন উত্তাল মহারাষ্ট্র৷ রেল রোকো কর্মসূচি থেকে শুরু করে দিকে দিকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ তার উপরে আগুনে ঘি ঢেলেছে ঘটনার ১১ ঘণ্টা পরে এফআইআর দায়ের করার ঘটনা৷ বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘লড়কি বহিন যোজনা’র টাকা নয়, মেয়েদের নিরাপত্তা চাই৷

তবে এই ঘটনায় দানা বাঁধা বিক্ষোভকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিরোধীদের চক্রান্ত এবং বহিরাগতদের তাণ্ডব বলে উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের শিবশেনা (শিণ্ডে)-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে৷

এদিন শিণ্ডে বলেন, ‘‘এই প্রতিবাদ আসলে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কারণ বিক্ষোভকারীদের কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন৷ যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দা এইঈ সমস্ত বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা হাতে গোনা যাবে৷’’

আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের পরিবারকে-বাড়িতে এবার নিরাপত্তা! নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন বিক্ষোভকারীদের সমস্ত দাবি মানতে রাজি হয়েছেন, কিন্তু, তাও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ থামাচ্ছেন না৷ শিণ্ডের মতে, ‘‘এতেই বোঝা যাচ্ছে, এরা শুধু রাজ্য সরকারেরই অসম্মান করতে চাইছে৷’’

ইতিমধ্যেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷ শিবসেনা (ইউবিটি), এনসিপি (এসসিপি) এবং কংগ্রেসের বিরোধী মহা বিকাশ আগাড়ি (এমভিএ) জোট আগামী ২৪ অগাস্ট ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে মহারাষ্ট্রজুড়ে বনধ ডেকেছে৷ বদলাপুরের ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা আলোচনাতেও বসেছে দফায় দফায়৷

আরও পড়ুন: আর মাত্র ৬ বছর, ভয়ঙ্কর বিপদে কলকাতা! ১৭ কোটি মানুষের ‘সব’ শেষ হয়ে যাবে? ভয়াবহ আশঙ্কাবার্তা

গত সপ্তাহে ঠাণের বদলাপুরের একটি স্কুলে কর্মরত সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে স্কুলেরই দুই নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে৷ বছর চব্বিশের ওই সাফাইকর্মীকে তৃতীয় একটি সংস্থা দ্বারা ওখানে কাজ দেওয়া হয়েছিল৷ অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ কর্তব্যে গাফিলতি এবং ব্যবস্থা নেওয়ায় গড়িমসি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও শ্রেণি শিক্ষিকা৷ কিন্তু, তার পরেও পড়ুয়াদের নিরাপত্তা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের আচরণের বিরুদ্ধ গত মঙ্গলবার থেকে পথে নেমেছেন মহারাষ্ট্রের বহু মানুষ৷