পাহাড়ে ট্রেকিং

North 24 Parganas News:পাহাড় ছিল স্বপ্ন! ট্রেকিং করতে গিয়েই না ফেরার দেশে জগদ্দলের পর্বতারোহী

উত্তর ২৪ পরগনা: পাহাড়ই ছিল স্বপ্ন, আর সেই পাহাড়ই কাড়ল প্রাণ। ট্রেকিং করতে গিয়েই না ফেরার দেশে গেলেন ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরির কর্মী বছর আটচল্লিশের সুব্রত প্রামাণিক। জগদ্দলের পঞ্চাননতলার বাসিন্দা সুব্রতবাবু কাজের ফাঁকে প্রতি বছরই পাহাড়ে ট্রেকিং করতে যেতেন। এ বার তাঁর গন্তব্য ছিল হিমাচলপ্রদেশের মাউন্ট সিন্ধুন ওয়েস্ট পাহাড়।

সঙ্গে ছিলেন তাঁর আরও পাঁচ সহযাত্রী। প্রত্যেকেই ইছাপুর ট্রেকার্স ক্লাবের সদস্য। ১৩ অগস্ট বাড়ি থেকে রওনা দেন তাঁরা। বেস ক্যাম্পে পৌঁছন ১৮ অগাস্ট। পৌঁছে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা সহ পরিবারের বাকিদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেন পাহাড় প্রেমী সুব্রত প্রামানিক। বেস ক্যাম্প থেকে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য মোবাইলে সকলকে দেখান তিনি।

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

১৯ অগাস্ট বেস ক্যাম্প থেকে সামিট করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানা যায়, ২১ তারিখ ট্রেকিং করে পাহাড়ে ওঠার সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর পরই শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে, চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাঁকে নিচে নামানোর চেষ্টা করা হলেও, শেষরক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুন- বিরাট আবিষ্কার! বোটও চলবে, দূষণও হবে না! জলপথে বিপ্লব আনল দুর্গাপুর

এর পর, কেলংয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সুব্রতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুপুরেই সেই মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে এসে পৌঁছয়। এমন দুঃসংবাদে এলাকায় নামে শোকের ছায়া। ১১ বছরের মেয়ে অন্বেষা কাঁদতে কাঁদতেই বলে, “এমন হবে জানলে বাবাকে যেতেই দিতাম না।” স্ত্রী শর্মিষ্ঠা প্রামাণিক জানান, “পাহাড়ই ছিল ওর স্বপ্ন। প্রত্যেক বছরেই ট্রেকিংয়ে যেত। বারণ করলেও শোনেনি। সেই পাহাড়ই ওকে টেনে নিল।”  রাতেই  তাঁর দেহ ফেরে বাড়িতে।

রুদ্র নারায়ণ রায়