কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সব রাজনৈতিক দলই বিভিন্ন ভাবে শাসকদলকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। প্রথম থেকেই এই আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকেছে সিপিএমের ছাত্রযুব, মহিলা সংগঠন। আর এতেই আশার আলো দেখছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
এই আন্দোলনে থাকার জন্য নদিয়ার কল্যাণীতে তিন দিনের রাজ্য কমিটির অধিবেশন স্থগিত করেছে দল। তার বদলে শুক্রবার একদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক করেছে নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেও আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত আন্দোলন পৌঁছে দেওয়ার রণকৌশল তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবার নতুন ফ্যাসাদে সন্দীপ, এফআইআর দায়ের করেই কাজে লেগে গেল সিবিআই
সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকের নির্যাস, ঘরে বসে নয়, আরজিকর কাণ্ডকে সামনে রেখে লাগাতারভাবে রাস্তায় থেকে আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “প্রতিবাদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই পাল্টা অভিযোগ দায়ের হবে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ১ সেপ্টেম্বর বরাবরের মতো হয়ে আসা বামফ্রন্টের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিলকেও এবার আরজিকরকাণ্ড যুক্ত করা হবে। তা নিয়ে বামফ্রন্টের শরিক দল ও অন্য বাম দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করবে সিপিএম। ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মিছিল ও বড় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিনের তরফে।” সেলিম জানিয়েছেন, ‘‘এবার ১ সেপ্টেম্বরকে আমরা রাজ্য এবং দেশে শান্তির জন্য পালন করতে চাই। আরজি করের বিচারের দাবিই মূখ্য হওয়া উচিত। সেই মর্মেই আমরা বামফ্রন্টে আলোচনা করব।’’
মাসকয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ফের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের। প্রচারে আশা জাগিয়েও জিততে পারেননি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতো দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। দলীয় স্তরে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দুর্বল সংগঠনের কথাই বারবার উঠে এসেছে। তাই হাতের কাছে আরজিকর কাণ্ড পেয়ে সেটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।