Tag Archives: cpim

কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী)

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই (এম), সিপিআইএম বা সিপিএম নামে পরিচিত। মার্ক্সবাদী, লেনিনবাদী কমিউনিস্ট দল। সদস্যপদ এবং নির্বাচনী আসনের দিক থেকে এরাই ভারতের বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভারতের প্রধান জাতীয় দলগুলির অন্যতম। ১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর সিপিআই ভেঙে তৈরি হয় সিপিআই (এম)। ২০২২ সালের হিসেবে সিপিআই(এম) তিনটি রাজ্যে ক্ষমতাসীন জোটের একটি অংশ – কেরলে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বিহারে মহাগঠবন্ধন এবং তামিলনাড়ুতে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল জোট। ৯টি রাজ্যের বিধানসভায় সিপিআইএমের বিধায়ক রয়েছে।

সর্বভারতীয় পার্টি কংগ্রেস হল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। দুই কংগ্রেসের মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি হল সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বডি। কেন্দ্রীয় কমিটি তার সদস্যদের মধ্য থেকে সাধারণ সম্পাদক-সহ পলিটব্যুরো নির্বাচন করে। পলিটব্যুরো তার দুটি অধিবেশনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ পরিচালনা করে। কেন্দ্রীয় কমিটি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এঁরা ত্রিপুরা তেলঙ্গানা এবং কেরলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তবে খুব শীঘ্রই সশস্ত্র পথ ছেড়ে তারা সংসদীয় কাঠামোয় কাজ শুরু করে। স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ঘনিষ্ঠ এবং কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলে ভারত। এর ফলে সোভিয়েত সরকার মনে করেছিল, ভারতের কমিউনিস্টরা তাঁদের পক্ষ নেবে এবং কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করবে। কিন্তু সিপিআই-এর একটি বড় অংশের দাবি ছিল, ভারত এখনও আধা সামন্ততান্ত্রিক দেশ, তাই সোভিয়েতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিদেশনীতির স্বার্থে শ্রেণী সংগ্রামকে পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।

সিপিআইএম-এর ব্যুৎপত্তি: সিপিআই-এর সঙ্গে সিপিআইএম-এর সংঘাত মূলত মতাদর্শগত। সোভিয়েত না কি চিন, কার মতাদর্শে পার্টি চলবে এই নিয়েই বিবাদ। পার্টির অভ্যন্তরে কথিত ‘ডানপন্থীরা’ সোভিয়েতের পথ অনুসরণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ‘বামপন্থী’দের মত ছিল চিনা নীতি অনুসরণ করার পক্ষে। এই মতাদর্শগত পার্থক্যই ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে। এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সোভিয়েত-চিনা বিভক্তির সঙ্গে মিলে শেষ পর্যন্ত সিপিআইএম-এর জন্ম দেয়।

১৯৬২ সালে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর এসএ ডাঙ্গেকে পার্টির চেয়ারম্যান এবং ইএমএস নাম্বুদিরিপদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এভাবে দুপক্ষকে শীর্ষপদ দিয়ে একটা সমঝোতা অর্জনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু টেকেনি। ১৯৬৪ সালের ১১ এপ্রিল সিপিআই-এর জাতীয় কাউন্সিলের সভা থেকে ৩২ জন কাউন্সিল সদস্য ওয়াকআউট করেন।

৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার ত্যাগরাজ হলে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা কংগ্রেস। সেই সময়ই বম্বেতে পার্টি কংগ্রেসের আয়োজন করে সিপিআই। সিপিআইএম তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। পি সুন্দরাইয়া দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কলকাতা কংগ্রেসে মোট ৪২২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। অন্য দিকে, সিপিআইএম দাবি করে, তারা ১০৪,৪২১ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। যা মোট পার্টি সদস্যতার ৪০ শতাংশ।

কলকাতা কংগ্রেসে ভারতের রাষ্ট্র চরিত্রের শ্রেণী বিশ্লেষণ করা হয়। বলা হয়, ভারতের বুর্জোয়ারা সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতা করছে। পরিমল দাসগুপ্তের বিকল্প খসড়া কর্মসূচি কলকাতা সম্মেলনে প্রচার করা হয়নি। দার্জিলিংয়ের অতিবাম সৌরেন বসু প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য কমিউনিস্ট নেতাদের সঙ্গে কেন মাও সে তুংয়ের প্রতিকৃতি রাখা হল না? বিপুল করতালি দিয়ে তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন উপস্থিত কমরেডরা।

Lok Sabha Elections 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রাপ্তি যোগ সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, আপ্লুত তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী

তমলুক: সকাল সকাল ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভালোবাসার বড় উপহার পেলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে পাশাপাশি প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের মন জয় করতে একাধিক পন্থা অবলম্বন করছেন। কেউ সকাল সকাল হাটে বাজারে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন। কোথাও আবার ক্রিকেট খেলা কোথাও আবার শরীর চর্চা কোনও কিছুই বাদ রাখেননি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল সকাল ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ভালবাসার উপহার পেলেন তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী।

এবার লোকসভা নির্বাচনের হট সিট তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। হাই প্রোফাইল এই কেন্দ্রে বামেরা বাজি রেখেছে হাইকোর্টের আইনজীবী তথা যুব নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। আর প্রথম দিন থেকে মানুষের মন জয় করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নন্দীগ্রাম থেকে কোলাঘাট, ময়না থেকে হলদিয়া সর্বত্রই চষে বেড়াচ্ছেন। তীব্র গরম ও দাবদহ উপেক্ষা করে দিনভর প্রচারে ব্যস্ত তিনি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের রাধামনি বাজার এলাকায় সোমবার সকাল সকাল মাছের আড়তে পৌঁছে যান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মাছের আড়তে পৌঁছে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন তিনি।

সোমবার সকাল সকাল রাধামনি মাঠ আড়তে জনসংযোগ প্রচার চলাকালীন সায়নকে কাছে পেয়ে এক মৎস্য ব্যবসায়ী খুশি হয়ে সায়নের হাতে তুলে দেন প্রায় ৫ কেজি ওজনের একটি মাছ। মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই উপহার পেয়ে আপ্লুত সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাধামনি বাজারের সকাল সকাল জনসংযোগ প্রচার শেষ করে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেনভোট প্রচারে।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: কে থাকল দলে আর কে পড়ল বাদ? টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে মহাচমক! জানুন বিস্তারিত

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রটি এবার লোকসভা নির্বাচনে হাই প্রোফাইল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সিপিআইএম বিজেপি ও শাসক দল তৃণমূল থেকে তিন পরিচিত মুখের লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধীদের পাশাপাশি ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছে সিপিআইএম প্রার্থী। ভোটের ফলাফল সময়ই বলবে কিন্তু তার আগে প্রচারে বিন্দুমাত্র খামতি রাখছে না তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী।

সৈকত শী

Lok Sabha Election 2024: মাত্র ৫ ঘণ্টায়…! বামেদের ভোট তহবিলে অনুদানের আবেদন, কত টাকা উঠল? জানলে চমকে যাবেন

বামেদের ভোট তহবিলে অনুদানের আবেদন, অভূতপূর্ব সাড়া সাধারণ মানুষের। বামেদের ভোট তহবিলে আবেদন, ঘণ্টায় কত টাকা উঠল জানলে অবাক হবেন, নিশ্চিত। এলাকার মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া দেখে চোখ কপালে বাম কর্মী-সমর্থকদেরও।

লোকসভা নির্বাচন চলছে। নির্বাচনী খরচ তুলতে বামেরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাজার হাটে বাজারে মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থী হয়েছে। তবে এবার অভিনব পন্থায় সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাল নির্বাচনী খরচের অনুদানের জন্য। আর সেই আবেদনে সাধারণ মানুষ অভূতপূর্বভাবে সাড়া দিল। মাত্র ৫ ঘণ্টায় উঠে এল প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

গরমকে থোরাই কেয়ার, সাইকেলে করে প্রচারে ঝড় তুললেন সৃজন

রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। এদিন তিনি প্রচারে এসে বলেন আমরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুণ হবে, প্রচারে লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুণের প্রতিশ্রুতি।

CPIM: ভরসা মজবুত সংগঠন! যাদবপুর নিয়ে আশায় সিপিএম, প্রচারে বৃন্দা

কলকাতা: শহরে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। শনিবার কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম এবং যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের  সমর্থনে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। তার আগে শনিবার বিকেলে কলকাতা দক্ষিণের অন্তর্গত গোলপার্ক থেকে হাজরা একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। বৃন্দা কারাত ছাড়াও তাতে অংশ গ্রহণ করেন এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ, আরএসপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, জাতীয় কংগ্রেসের নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় সহ প্রমুখ।

মিছিল শেষে হাজরা মোড়ে একটি জনসভাতেও বক্তব্য পেশ করেন বৃন্দা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর যাদবপুরে এইটবি থেকে নেতাজি নগর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন বৃন্দা। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন ঐশী ঘোষ।

আরও পড়ুন: শূন্যের গেঁড়ো কাটবে সিপিএমের? জবাব দিলেন সেলিম, দেখুন ভিডিও

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলছে জোর কদমে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের দু’দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যত দিন যাচ্ছে পরবর্তী দফার নির্বাচনের প্রচারের ঝাঁজ আরও বেড়ে চলেছে। সব রাজনৈতিক দলই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচার করে চলেছে। প্রার্থীদের দম খেলার ফুতসত নেই। তাই প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করেও প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। পিছিয়ে নেই বামেরাও৷

একসময়ের শক্ত ঘাঁটি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বামেদের হাতছাড়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেখানে সংগঠন মজবুত বলে দাবি নেতৃত্বের। তাই সেই আসনটি পুনরায় ফিরে পেতে চাইছে বামেরা। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে সামনে রেখে। অন্যদিকে তুলনামূলক দুর্বল সংগঠন কলকাতা দক্ষিণ। তবে বালিগঞ্জে বিধানসভা উপ নির্বাচনে জোরদার লড়াই দিয়েছিলেন সায়রা শাহ হালিম। এবার তাঁকেই সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে। সায়রা শাহ হালিমকে সামনে রেখেও লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বামেরা।

কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়াতে এই আসন দুটিতে দল ভাল লড়াইয়ে হতে পারে বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আর সেই কারণেই প্রচারকে আরো ঊর্ধ্বমুখী করে তুলতে চাইছে সিপিএম। অন্য রাজ্য থেকেও উড়িয়ে আনা হচ্ছে নেতাদের। শনিবারের কর্মসূচিতে বৃন্দা কারাত এবং ঐশী ঘোষের উপস্থিতি তারই ইঙ্গিত বলে মত বাম কর্মী,সমর্থকদের।

CPIM: শনিবার গভীর রাত, CPIM পার্টি অফিসের ভিতরে ঘটল মারাত্মক কাণ্ড! এক যুবককে ধরল পুলিশ

রঞ্জিত সরকার, নদিয়া: রাতের অন্ধকারে সিপিএমের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও সেখানে থাকা দলীয় পতাকা অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। নদিয়ার তাহেরপুরের এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

রাতের অন্ধকারে সিপিএমের নির্বাচনী অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই কার্যালয়ে থাকা সিপিএমের পতাকা ও অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তাহেরপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

আরও পড়ুন: ‘১৫ দিনে দু’বার প্রার্থী বদল, মানুষ জানে না এদের প্রার্থী কে’! বীরভূম নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা অভিষেকের

নির্বাচনী কাজ করার জন্য পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার পাশে একটি অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করেছিল সিপিএম। সেখানে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য নথিপত্র রাখা ছিল। বিষয়টি নিয়ে তাহেরপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

CPIM: শূন্যের গেঁড়ো কাটবে সিপিএমের? জবাব দিলেন সেলিম, দেখুন ভিডিও

বাংলায় শূন্যের গেঁড়ো কি কাটিয়ে উঠতে পারবে সিপিএম? দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, সিপিএম বিধানসভা এবং লোকসভা- দুই জায়গাতেই খাতা খুলবে সিপিএম৷ মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নিজের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি৷ সেলিম জানিয়েছেন, মানুষের দাবিতেই তিনি মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি৷

জ্যোতি বসু না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে? জবাব দিলেন সেলিম, দেখুন ভিডিও

তাঁর কাছে সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে? জবাবে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানালেন, তাঁর চোখে সেরার সেরা মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন৷ নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি৷ এবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন মহম্মদ সেলিম৷ রাজনীতির বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের পছন্দ অপছন্দের কথা জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক৷

Job Scam-Salim: নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে খড়্গহস্ত! আসল দোষী কে বা কারা? একান্ত সাক্ষাৎকারে সেলিমের কটাক্ষ

কলকাতাঃ ‘যারা বঞ্চিত হয়েছে, যাদের চাকরি পাওয়ার কথা ছিল, উপযুক্ত ছিল, যোগ্যতা ছিল, মেরিট লিস্টে নাম ছিল’, তাঁদের আন্দোলনের সপক্ষে দাঁড়ালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। নিউজ১৮ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, যারা চোখের সামনে দেখেছে গোটা ঘটনা অর্থাৎ সিপিএমের আইনজীবীরা আদালতে এ বিষয়ে নানা সময়ে সওয়াল করেছে। বিভিন্ন সময়ে চাকরীপ্রার্থীরা যখন আন্দোলন করেছে, তাঁদের সেই আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বলপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল আইনজীবীরা। কিন্তু সিস্টেমেই সমস্যা।

বিচারপতি যিনি নানা সময়ে প্রার্থীদের চাকরি এবং প্যানেল বাতিল করেছেন তাঁর পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থীও হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি তুলে দিয়েছেন সময়ে সময়ে। বিচারক সেই সমস্ত নথি দেখে রায় দিয়েছে। কিন্তু কোনও চাকরির লিস্ট দেখাতে পারেনি শাসকেরা।

আরও পড়ুনঃ গরমে তারাপীঠ যেতে ভয় পাচ্ছেন! এসি রুমে বিরাট ছাড় চলছে সব হোটেলে! ভাড়া কত জেনে নিন

সেলিম বলেন, আসলে পুরো সিস্টেমই ভুল। ওএমআর শিট দেখাতে পারেনি, তাই বহু মানুষ যারা যোগ্য তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ দিন মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেলিম, ট্রাজেডি বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

উল্লেখ্য, সেলিম এ দিন তৃণমূল ও বিজেপি-কে কার্যত একই মঞ্চে রেখেছেন৷ তুলে এনেছেন রামনবমী প্রসঙ্গও৷ সেখানে দুই দল একই ভাবে যুক্ত বলে দুই দলকেই সাম্প্রদায়িক বলেন সেলিম৷ কিন্তু একেবারে তৃণমূল স্তরে কংগ্রেস ও বামেদের জোট হয়েছে কি? সেলিম বলছেন, হয়েছে৷ কার্যত মুর্শিদাবাদের নীচুতলার কংগ্রেস সমর্থকদের কথাতেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের উৎসাহেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন৷ এই জোটের দাবি উঠে এসেছে একেবারে নীচুতলা থেকে৷ উপরের তলার নেতৃত্ব সেটি মেনে নিতে পেরেছে৷

Gautam Deb ৷৷ CPIM: ফের ভোটের ময়দানে গৌতম দেব! প্রাক্তন মন্ত্রীর কামব্যাকে চাঙ্গা সিপিএম, মিলবে ফল?

কলকাতা: রাজনীতির আসরে ফিরছেন গৌতম দেব। উচ্ছসিত সিপিএমের নেতা কর্মী সমর্থকরা। গৌতম দেব ভোটের ময়দানে থাকলে নির্বাচনে দলের মনোবল আরও বাড়বে বলেই মনে করছে সিপিএম নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলতি লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বেশকিছু কর্মসূচিতে আনা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে দমদম লোকসভার বাইরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ সিপিএমের প্রবীণ নেতা গৌতম দেব। তবুও ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের আগে দলকে ভোকাল টনিক দিয়ে জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এমন কি, বাম জমানার বদলের পর বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চরম আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। তবে পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকটাই অন্তরালে চলে যান তিনি। এবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করেই ময়দানে স্বমহিমায় গৌতম দেব। তাঁকে দেখামাত্রই যেন নতুন অক্সিজেন এল দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। প্রার্থীদের সমর্থনে বক্তব্য রাখতেও দেখা যায় গৌতম দেবকে। এককথায় জনসংযোগের মধ্যমণি যেন হয়ে ওঠেন তিনিই।

আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারে উঠতে গিয়ে কীভাবে পড়ে গেলেন মমতা? দেখুন ভিডিও

লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ আগামী ১ জুন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। পাশাপাশি বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রেও রয়েছে উপনির্বাচন। গত রবিবার একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ভোটের প্রচার সারতে দেখা দেখা যায় প্রবীণ এই বাম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী ও বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে ভোট প্রচার সারেন তিনি। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতির বাইরে। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেও প্রচারে নামলেন সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী ও বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যর সমর্থনে প্রচার করলেন তিনি। আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা যদি চাকরি না পায়, তাহলে কী করে কী হবে? কিছুই হবে না। মোদি ও মমতা যদি বক্তৃতা দেয়, শুনতে পারবেন সেসব কথাবার্তা? কী কথা বলছেন তাঁরা? লাগামহীন যে সমস্ত খিস্তি খেউর করছে, ভোটের সময় এরা বেরোয় এবং এসব প্রচার করেছে। কী করবেন তাঁরা, সেটা আপনারা বুঝতে পারছেন না। কী তাঁদের অভিসন্ধি আছে, সেটাও বলতে পারছেন না। ফলে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন তাঁরা, আরও হবেন। দমদমে সুজনকে আর বরানগরে তন্ময়কে পাঠাতে হবে, এই কাজ আপনারা করবেন।’

সিপিএমের দুই প্রার্থীর সমর্থনে গত রবিবার সিঁথির মোড় থেকে আলমবাজার বিএসএফ ক্যাম্প পর্যন্ত মিছিল হয়। সেখানে অশক্ত শরীর নিয়েও হাজির হলেন বামফ্রন্টের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁদের সমর্থনে গৌতম দেব প্রচারে নামায় উজ্জীবিত হলেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ তাঁদের কাছে বার্তা, বাংলাকে যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে বামপন্থার বিকল্প নেই। গৌতমদার এই বার্তাটা রাজ্যের মানুষ সমার্থক ভাবেই নেবেন। উনি তো যা যা বলেছিলেন, সব মিলে গেছে। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের কথায়, ‘পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে ওঁর চাইতে ভাল পারেন, এমন মানুষ খুব কম আছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ যে বামপন্থা সে সম্পর্কে প্রত্যেক দিন সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন।’

সিপিএম সূত্রে খবর, শারীরিক সমস্যা না হলে অন্যান্য আরও কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রেও প্রচারে যেতে পারেন গৌতম দেব৷

Lok Sabha Election 2024: গরমে শরবৎ বিলি, মহুয়া-অমৃতার লড়াইয়ে কৃষ্ণনগরে ছাপ রাখতে পারবে সিপিএম?

কৃষ্ণনগর: কাঠফাঁটা রোদে হুডখোলা জিপে লাল টুপি পরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। এবং তার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষকে গরমের থেকে কিছুটা রেহাই দিতে তাঁর কর্মী সমর্থকেরা বিতরণ করছেন শরবত ও ঠান্ডা পানীয়।

দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে নদিয়া জেলার লোকসভা নির্বাচন। কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাট- দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যেক দলের প্রার্থীরা। কৃষ্ণনগরে অবশ্য তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপির অমৃতার রায়ের মধ্যেই মূল লড়াই হিসেবে দাবি করছে রাজনৈতিক মহল৷ তবু হাল ছাড়ছেন না বাম কর্মী সমর্থকরা৷

তপ্ত গরমেই লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হুডখোলা জিপে প্রচার চালাচ্ছেন বাম প্রার্থী এস এম সাদি। এ দিন সকালে কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীন বিক্রমপুর, হরনগর, বিলকুমারী, ধনঞ্জয়পুর ইত্যাদি গ্রামগুলিতে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার চালান তিনি।

আরও পড়ুন:গরমে কাজ করছে না পুরনো ফ্রিজ? এই পাঁচ টিপসেই হবে নতুনের মতো ঠান্ডা

প্রচারের রাস্তাতেই পথ চলতি মানুষকে গরমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই দিতে ঠান্ডা পানীয় ও শরবত বিতরণ করছেন তাঁর দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। এস এম সাদি জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি খুবই ভাল, পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে। নতুন নতুন মানুষ বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেক্ট্রোরাল বন্ডের দুর্নীতি এবং আমাদের রাজ্যের চাকরি নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি  সমাজের সর্বস্তরে নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও কাজ নেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে চলে যাচ্ছে, কৃষকেরা মজুরি পাচ্ছেন না, পেট্রোলের দাম সারের দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি মানুষের মধ্যে সাড়া দিয়েছে।

সিপিএমকে সেভাবে গুরুত্ব দিতেই নারাজ তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরই৷ এ বিষয়ে এফএম সাদি জানান, “মানুষের মনের রসায়ন কখনও অঙ্ক শাস্ত্রে হয় না। মানুষ কারও কেনা গোলাম নয়। পরিস্থিতির পরিবর্তন সবসময় ঘটে। তার জীবন জীবিকা কাজ যন্ত্রণা নিরাপত্তা তার বেকারত্ব ইত্যাদি সবই নির্বাচনের আগে মানুষ ভাবেন। এবং তারই সঙ্গে তারা ভাবেন অন্য দলগুলি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকবে! যা আজও হয়নি, এগুলি মানুষ সবই দেখছে। এছাড়াও রাজ্যে কোন শিল্প কলকারখানা নেই, সব ক্ষেত্রেই চলছে একটি চরম দুর্নীতি।”

রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েই মানুষ এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে সিপিআইএমকেই ভোট দেবেন বলে মনে করছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী এস এম সাদি। আপাতত নির্বাচনী প্রচারে রাত দিন ব্যস্ত তিনি।

Mainak Debnath