কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে রবিবার ঘটল নয়া মোড়। ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই আলাদা মামলাও রুজু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সিট তৈরি করা হলেও সেই তদন্তের ভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই দায়িত্ব হাতে পেয়েই এফআইআর রুজু করে সিবিআই। আর এরপরই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় হানা দিল সিবিআই। কিন্তু সকাল ৬.৪৫ মিনিটে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপের বাড়িতে গেলেও তাঁদের গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হল প্রায় ৭৫ মিনিট। এতক্ষণ কেন সময় লাগল সন্দীপের দরজা খুলতে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
সাত-সকালে সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই হানা দিলেও বারবার কলিং বেল বাজানো সত্ত্বেও কেউ দরজা খুলছিলেন না। অবশেষে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে বাইরে বেরিয়ে এসে দরজা খোলেন সন্দীপ। তারপর ভিতরে যান সিবিআই অফিসাররা। এরপর প্রায় ৮.৫০ মিনিটে আরও এক সিবিআই আধিকারিক আসেন সন্দীপের বাড়িতে। তখনও সন্দীপ এসেই তাঁকে ভিতরে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় সিবিআই হানা! তোলপাড় বাংলা
সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ছাড়াও আরজি করের ফরেন্সির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোমের বাড়ি, এন্টালিতে রয়েছে আরজি হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের ফ্ল্যাট। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এ ছাড়া, হাওড়ার একটি জায়গায় বিপ্লব সিং নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। মোট ১৫ জায়গায় তাঁরা হানা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করেন। আরজি করে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি, তাতে এঁদের নাম রয়েছে।
আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপের নাম প্রকাশ্যে আসার পরই নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। বেলেঘাটা থানার ওসির নজরদারিতে সন্দীপের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে। সেই পুলিশকর্মীরাও বাড়ির সামনে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।