কলকাতা: ‘আন্দোলন যেখান থেকে শুরু হোক শেষটা হোক সিজিও কমপ্লেক্সে, সেটা নবান্ন হতে পারে না।’ এবার আরজি করের আন্দোলন প্রসঙ্গে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তাঁর আর্জি, “আন্দোলনকারীদের অনুরোধ, আবেগ যুক্তিসঙ্গত। তবু বলব, দয়া করে কর্মবিরতি তুলে নিন। আন্দোলন চালান, প্রতিবাদ চালান। কিন্তু কর্মবিরতি রাখবেন না।” একইসঙ্গে গোটা দেশে নারী নির্যাতনের প্রেক্ষিত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা। ছাড়লেন না দলের ‘বিশেষ’ পদধারী নেতাদেরও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে কুণাল ঘোষের আক্রমণ, “গোটা দেশে দৈনিক ৯০টি ধর্ষন, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। আপনার দেশ নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত।’ আরজি কর কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এদিন সকালেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি চড়াও হন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া, “সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে কারা গিয়েছে, কেন গিয়েছে তিনি বলতে পারবেন, তিনি দোষী হলে শাস্তি হবে। তাঁর আইনজীবী উত্তর দেবে।” কুণালের পাল্টা তোপ, “অনেক বিজেপি নেতা আছে যাঁদের বাড়ি সিবিআই খুঁজে পায় না।”
একইসঙ্গে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের ডিজিটাল সৈনিকের ভূমিকা নেওয়ায় শ্লথ মনোভাবকেও বিঁধতে ছাড়েননি কুণাল। তাঁর সাফ কথা, “সাধারণ তৃণমূল কর্মী হিসেবে ডিজিটাল সৈনিকরা যত সক্রিয় ভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন, আমাদের দলের অনেককেই তেমন দেখা যাচ্ছে না। ভোট এলে প্রার্থী হওয়ার জন্য যতজনকে দেখা যায়,কমিটি গঠনের সময় দেখা যায় না! এই সময় দেখা পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। ট্যুইটকে রি-ট্যুইট করবেন যে সেটাও মনে থাকে না। কুম্ভকর্ণের ভূমিকা পালন করছেন তাঁরা। দল কবে প্রোগ্রাম দেবে তার জন্য বসে আছেন। কমিটি গঠনের সময় মনে থাকে না? হাতে স্মার্ট ফোন কেন আছে সেটা কি লোককে দেখানোর জন্য? কেন প্রতিবাদ করবে না?
কুণাল ঘোষের কথায়, “আমাদের ভুল পদক্ষেপে যদি কিছু মানুষ ভুল বুঝে থাকেন সবিনয়ে এই ভুল ভাঙানোর কাজ আমাদেরই করতে হবে।আমাদের কয়েকজন মুখের রক্ত তুলবে। আমরা বিষ পান করব আর জন প্রতিনিধি পদে বসে থেকে কিছু বলবেন না সেটা হতে পারে না। সবাই নজর রাখুন আপনার এলাকায় যে তৃণমূল নেতা আছেন…!” একইসঙ্গে কুণাল ঘোষ যোগ করেন, “সকলকে মাথা উঁচু করে বলতে হবে অপরাধ অন্যায় দোষীর শাস্তি হোক। যারা দোষী উচ্ছন্নে যাক, তাদের মৃত্যুদণ্ড হোক, কিন্তু সেটা নিয়ে রাজনীতি হতে পারে না।”