স্বাস্থ্য ও জীবনের সুস্থ ও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে যেমন প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম ও খাওয়া দাওয়া, তেমনই দৈনন্দিন জীবনের সুস্থতা নিশ্চিত করতে দরকার কিছু সাধারণ জ্ঞান। সে জ্ঞান যেমন আশেপাশের নানা বিষয়ে সমৃদ্ধ করে, তেমনই সুস্থ ও সুন্দর থাকতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়।আজ এমনই একটি বিষয়ে আলোচনা করব যা আমরা প্রায় সবাই নানা ভাবে প্রতিদিন সেবন করি। এমন কী শরীরে নানা রোগ ব্যাধি থাকলেও এই একটি পথ্য কম বেশি সকলেই খান। কিন্তু কী ভাবে এর ব্যবহার আপনার জন্য আরও বেশি কার্যকরী করা যায়?এই খাবারটি বা পানীয়টি হল দুধ। নিঃসন্দেহে এটি একটি পুষ্টিকর খাবার। প্রায় সবাই কম-বেশি দুধ বিভিন্ন উপায়ে খান। আমরা সবাই কি জানি কী ভাবে দুধ খেতে হয়?অনেকেই যদিও জানেন না দুধ পানের আসল উপকারিতা এবং এর নানাবিধ ক্ষতির কথা। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু বিষয়ে আলোকপাত করব।আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনও না কোনওভাবে জুড়ে থাকে দুধ, আর এই দুধ নিয়ে নানা অবাক করা কিছু সাধারণ জ্ঞান শেয়ার করব যা জানলে আপনিও চমকে যাবেন।দুধকে পূর্ণাঙ্গ খাদ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হল দুধ বেশ পুষ্টিকর। দুধ কীভাবে খাওয়া উচিত এবং কীভাবে খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে খুব কম লোকেরই সম্যক জ্ঞান রয়েছে।প্রশ্ন হল, আপনি কী আদৌ জানেন ডায়াবেটিস রোগীর পথ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ এই দুধ। কারণ বিশেষ ভাবে এই দুধের সেবন ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেও দাবি করছে গবেষণা!দুধের সঙ্গে বলুন দেখি কী খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে? জানলে আকাশ থেকে পড়বেন যে আসলে, দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকে।যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁদের জন্য বাসি রুটি হল চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবচেয়ে ভাল ঘরোয়া প্রতিকার। বাসি রুটি ঠাণ্ডা দুধে ভিজিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন এবং দিনের যে কোনও সময় খান।বাস্তবে বাসি খাবার খাওয়া সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাখা বাসি খাবার অ্যাসিডিটি, ফুড পয়জনিং, গ্যাস এবং পেট খারাপের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।একইসঙ্গে কিন্তু এমনটাও বলা হয়, ঠান্ডা দুধে প্রতিদিন বাসি রুটি খেলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ সন্ধ্যা গুগনানির মতে, “রুটিতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। এটি ভিটামিন বি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি সম্পূর্ণ গমের আটাতে জল মিশিয়ে তৈরি করা হয়, তাই যখন এটি ভাজা হয়, তখন এটি ডিহাইড্রেটেড হয় যা রক্তশূন্যতা বাড়ায়।যাঁদের গ্লুটেনে অ্যালার্জি আছে তাঁদের অবশ্য বাজরা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বাসি রুটি এটি ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাওয়ার জন্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলির মধ্যে একটি’।গরম দুধ পানের উপকারিতা কী? প্রতি রাতে এক গ্লাস গরম দুধ পান করা ভাল। এভাবে দুধ পান করলে তা পরের দিনের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধ পান করলে মাংসপেশির বিকাশেও সাহায্য করে।কোন রোগে দুধ পান করা উচিত নয়? জন্ডিস, ডায়রিয়া এবং আমাশয়ের মতো সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের দুধ পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।হলুদের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? দুধ ও হলুদ একসঙ্গে খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এটি হাত ও পায়ের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, এটি জ্বর এবং সর্দি কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক।শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
