জারি ১৪৪ ধারা! নাকা চেকিং থেকে ‘নো-এন্ট্রি’, নিরাপত্তার কড়া বলয়ে নবান্ন চত্বরে

Nabanna Abhijan: জারি ১৬৩ ধারা! নাকা চেকিং’, নিরাপত্তার কড়া বলয়ে নবান্ন চত্বর

কলকাতা: আরজি করে চিকিত্‍সক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। এই নবান্ন অভিযান উপলক্ষ্যে হাওড়ায় বিশেষ ব্যবস্থা নিরাপত্তায়। নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। পাশাপাশি, নবান্নের আশপাশে ১৬৩ ধারা জারি হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ রাত আটটা থেকে শালিমার, খিদিরপুর, এফসিআই-সহ এমারজেন্সি সার্ভিস ছাড়া সব লরি নো-এন্ট্রি। আন্দুল রোডের আলমপুর, কোনা রোডের নিবড়া, এখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে নিবেদিতা সেতুর দিকে।

আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যর সঙ্গে এ কী করতেন সলমন! শেষমেশ পরিচালককে দিতে হয় বকা? এই কারণেই কী ভাঙে চর্চিত প্রেম?

নবান্ন এলাকায় ৫০০ বেশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন। সব বাড়িতে নজরদারি। অযাচিত ব্যক্তি প্রবেশ আটকানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মনে হলে। ১৬৩ ধারা এলাকায় যা নবান্ন আশেপাশে।ভারতীয় দণ্ড বিধিতে যা আগে ১৪৪ ধারা ছিল, তা ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতা অনুযায়ী বর্তমানে সেটি ১৬৩ ধারা। জানা গিয়েছে, নতুন গাড়ি ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৈধ কারণ দেখাতে পারলে তবেই প্রবেশের অনুমতি। আন্দুল রোড ও কোনা রোডে যে বাস চলাচল করবে আগামীকাল সেখানেও সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন।

হাওড়ার নবান্নের আশপাশে একাধিক জায়গায় করা হয়েছে নাকা চেকিং পয়েন্ট। আন্দুল রোডের লক্ষ্মী নারায়ণ তলা মোড়, কাজীপাড়া,কোনা রোডের সাঁতরাগাছি ও নিবড়াতে নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। কিউ আর টি, তিন আইপিএস, পাঁচ ডিএসপি ও একাধিক আইসি, ওসির নেতৃত্বে থাকবে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুইয়ের বেশি জল কামান রাখা থাকবে। ব্যারিকেডের মোট তিন স্তর থাকবে।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

ইতিমধ‍্যেই ২৭ অগাস্টের নবান্ন অভিযানের আগে স্টিং অপারেশনে তোলা ভিডিও প্রকাশ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আগামিকালের কর্মসূচিকে রক্তাক্ত করতে এবং হিংসা ছড়িয়ে দিতে বড় চক্রান্ত চলছে৷ এমন কি, পুলিশের পোশাক পরে মিছিলে আসা মানুষের উপর গুলি চালানো হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও অভিযোগ করেন, আগামিকালের কর্মসূচির কোনও অনুমতি এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি৷