Tag Archives: Nabanna Abhijan

RG Kar Case Protest: ‘সায়নের জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’, রাজ্যের মামলা খারিজ করে হাইকোর্টের নির্দেশে ‘সুপ্রিম’ সহমত

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীর। রাজ্যের মামলা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের মুক্তি নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ওই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’।

নবান্ন অভিযান মামলায় সায়ন লাহিড়ীর জামিন বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আবেদন খারিজ করা দেওয়া হয় সোমবারের শুনানিতে। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চের এই পর্যবেক্ষণ। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন, বিক্ষোভের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতে হবে। কিন্তু হিংসাত্মক আন্দোলনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পদক্ষেপ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব শেষ! কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! আক্রমণে ঋত্বিক, কী এমন ঘটল?

এদিনের শুনানিতে রাজ্য সরকার জানায়, ‘সায়ন লাহিড়ী ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচির আয়োজকদের মধ্যে একজন। এই কর্মসূচিতে ৪১ জন পুলিশ জখম হয়েছেন। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, অভিযুক্ত কী সরাসরি এই ঘটনায় যুক্ত? রাজ্য বলে, না। কিন্তু তিনি অন্যতম আহ্বায়ক। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, জামিন পাওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

পাল্টা বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা আদালতে প্রশ্ন করেন, একজন ছাত্র কীভাবে ৪১ জন পুলিশকে আহত করতে পারে? এই আবেদন জামিন সংক্রান্ত, এর বাইরে কিছু নয়। রাজ্য জানায়, সায়নের মা বলেছেন ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সেটাই তো পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে৷ গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ হেফাজতে পাঠালেও হাইকোর্ট মুক্ত করে দিচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য

Calcutta High Court: ‘কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার, কেনই বা ছেড়ে দেওয়া!’ নবান্ন অভিযানে চার ছাত্রকে নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতির

কলকাতা: ছাত্রসমাজের ৪ প্রতিনিধিকে গ্রেফতারের বিষয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রে গ্রেফতার হলে ২৪ ঘন্টায় মুক্ত কেন? জঘন্যতম অপরাধ এমন পদক্ষেপ কেন পুলিশের? প্রশ্ন বিচারপতির। এ বিষয়ে কেস ডায়েরি বা যাবতীয় নথি তলব করেছেন বিচারপতি। মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি।

প্রসঙ্গত, ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানের আগের দিনই ৪ জন ছাত্রনেতাকে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। গত ২৭ অগাস্ট রাত ১২:০৫ নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। রাজ্য জানায়, ২৬ আগস্ট রাত ৯ :৫৫ টা নাগাদ গোলাবাড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে যে হাওড়া স্টেশনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে কিছুজন, গোলমাল পাকাচ্ছে এবং খুনের চেষ্টার ছক কষছিল তারা। তাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন আজ, মঙ্গলে বিল পেশ, আরজি কর ইস্যুতে উত্তালের আশঙ্কা

নবান্ন অভিযানের আগের রাতেই হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই চার ছাত্রকে। পরের দিনই আবার থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ”কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করল পুলিশ? আর কীসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিল? এভাবে চললে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেফতার করবে আর ২৪ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেবে!”

রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, ”পুলিশের কাছে খবর ছিল যে এই চারজন গণ্ডগোল পাকাতে পারে, তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।” পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ”পুলিশ কোথা থেকে এদের বিরুদ্ধে তথ্য পেল? কী অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ? এদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের নিদর্শন আছে? আবার এদের সম্পর্কে যদি গুরুতর অভিযোগ থাকে, তাহলে ছেড়েই বা দিল কী করে? আর যদি পুলিশের কাছে তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টা আটকেই বা রাখা হল কেন?” মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি।

Sayan Lahiri release: মুক্তি পেলেন সায়ন, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আজ জেল থেকে মুক্তি পেলেন ছাত্র সমাজ নেতা সায়ন লাহিড়ি৷ এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পান সায়ন৷ যদিও ছাত্র সমাজের নেতা সায়ন লাহিড়ির মুক্তির বিরোধিতা করে এ দিনই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার৷

নবান্ন অভিযানে অশান্তির পরের দিন গত ২৮ অগাস্ট সায়ন লাহিড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ যদিও গতকালই সায়ন লাহিড়িকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ আজ বেলা দুটোর মধ্যে সায়ন লাহিড়ির মুক্তি নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই এ দিন সায়নের মুক্তির নির্দেশ জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত৷

মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর পাশে থাকার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানান সায়ন৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিচারের দাবিতে লড়াই চলবে৷ আমাদের যে সঙ্গীরা এখনও জেলবন্দি রয়েছেন, তাঁদেরকে ছাড়াতেও লড়াই চালিয়ে যাব আমরা৷ সঞ্জয়ের মুক্তির সময় এ দিন আদালত চত্বরে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকেও৷

আরও পড়ুন: সিভিক মানেই সঞ্জয় নয়, প্রমাণ করলেন আলি! সাক্ষী থাকল সেই রাতের কলকাতা

যদিও আজই সায়নের জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য সরকার৷ জরুরি শুনানির জন্য মামলাটি সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে৷

নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত মামলায় সঞ্জয়কে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনও এফআইআর থাকলেও তা নিয়ে পদক্ষেপ করা যাবে না৷ এবিষয়ে রাজ্যকে হলফনামার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে এই হলফনামা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

Nabanna Abhijan: কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়, ছাত্রসমাজের নেতা সায়ন লাহিড়ীকে দ্রুত মুক্তি! স্পষ্ট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা: গত সোমবার নবান্ন চলো অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের’ নেতা সায়ন লাহিড়ীকে পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রনেতাকে মুক্ত করার জন্য পুলিশকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত৷ জানানো হয়েছে, আগামিকাল, শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে মুক্ত করতে হবে সায়ন লাহিড়ীকে৷ পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনও এফআইআর থাকলেও তা নিয়ে পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

এবিষয়ে রাজ্যকে হলফনামার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে এই হলফনামা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার শুনানি চলাকালীন ছাত্রসমাজের নেতা সায়নের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট৷ প্রশ্ন করা হয়, সায়ন কি এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁর ডাকে এত মানুষ বিক্ষোভে শামিল হতে পারেন?

আরও পড়ুন: আরজি করের সেমিনার রুমে মৃতদেহের কাছে কারা, বিতর্ক থামাতে চিনিয়ে দিল লালবাজার

রাজ্যের বক্তব্য ছিল, পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রনেতা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন৷ আর সেইদিনেক কর্মসূচি মোটেই শান্তিপূর্ণ ছিল না৷ সেই সময় আদালত প্রশ্ন করে, সায়ন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা? রাজ্যের তরফে উত্তর আসে, ছাত্রনেতা৷

আরও পড়ুন: তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় আসনা…? সাইক্লোন নিয়ে চরম সতর্কতা! কোথায় কোথায় ধ্বংসলীলার আশঙ্কা? কী হবে বাংলায়? জানিয়ে দিল আইএমডি

হাইকোর্ট জানায়, এদিনের অভিযানের আগে সায়নের কোনও অতীত নেই, ওই ছাত্রনেতাও প্রভাবশালী নন বলে মন্তব্য করে আদালত৷ সায়নকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়৷

Kolkata Police Commissioner: আরজি কর কাণ্ডে নয়, নবান্ন অভিযান নিয়ে এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

কলকাতা: গত ২৭ অগাস্টের নবান্ন অভিযান নিয়ে এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের।

প্রসঙ্গত, ২৭ তারিখের নবান্ন অভিযানে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে সামিল পড়ুয়াদের উপর পুলিশি অত্যাচার করা হয়েছে, নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভারতীয় হিউম্যান রাইটস ইনিসিয়েটিভ নামক সংস্থার তরফে ওপি ব্যাস নামের এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগ গ্রহণ করে এই নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

আরও পড়ুন: সুখবর! এবার টাকা ফেরত পাবেন রোজভ্যালির আমানতকারীরা! কত টাকা পাবেন, কীভাবে আবেদন জানুন

নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতা তো বটেই, হাওড়াতেও আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। সাংবাদিক সম্মলনে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘যেরকম প্রমাণ পাব, সেরকম ব্যবস্থা নেব’। জানানো হল, ‘আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমরা দেখছি, কোথায় কী আছে’?

আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে শহরে। গঙ্গার দুপাড়েই বিক্ষোভকারীদের নিশানায় ছিল পুলিশ। ভিড়ের মধ্যে থেকে ইটের আঘাতে চোখে গুরুতর আঘাত পান কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। হেস্টিংস মোড়ে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার সেই ঘটনাতেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সার্জেন্ট-এর চোখে আঘাতের ঘটনায় গ্রেফতার ২, পুলিশের অ্যাকশন শুরু

পুলিশের উপর হামলায় গ্রেফতার। নবান্ন অভিযানে হামলায় রক্তাক্ত পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর বাঁ চোখ নষ্টের আশঙ্কা। হামলার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার পুলিশের। রিঙ্কু সিং ও সুব্রত দাসকে গ্রেফতার পুলিশের। সোশাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে অভিযুক্তদের হদিশ।

Nabanna Abhijan update: হামলার ঘটনায় গ্রেফতার এক মহিলা, দৃষ্টিশক্তি ফিরবে দেবাশিসের? বড় আপডেট দিল হাসপাতাল

কলকাতা: ধীরে ধীরে ফিরে আসছে নবান্ন অভিযানের দিন আহত পুলিশকর্মী দেবাশিস চক্রবর্তীর দৃষ্টিশক্তি৷ কলকাতা পুলিশের ওই সার্জেন্টের চিকিৎসা যেখানে চলছে, ইএম বাইপাস লাগোয়া সেই বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকেই এ কথা জানানো হয়েছে৷ দু সপ্তাহের মধ্যেই দেবাশিসবাবুর আঘাতপ্রাপ্ত চোখের দৃষ্টিশক্তি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷

এ দিনই ওই আহত সার্জেন্টকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা৷ আজই সার্জেন্টের উপরে হামলার ঘটনায় মহেশতলার বাসিন্দা এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ বাকিদেরও খোঁজ চলছে৷

গত ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযানের সময় হেস্টিংসের কাছে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইট এসে লাগে পুলিশের গাড়িতে থাকা দেবাশিস চক্রবর্তীর চোখে৷ সঙ্গে সঙ্গেই দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি৷ তাঁকে ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি চোখের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷

আরও পড়ুন: মৃতদেহ নিয়ে সত্যিই এই কেলেঙ্কারি চালাতেন সন্দীপ? আরজি করের মর্গে হানা দিল সিবিআই

ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে এ দিন জানানো হয়েছে, আহত ওই সার্জেন্টের চোখে একাধিক অস্ত্রোপচার করা হয়েছে৷ তাঁর চোখের দৃষ্টিশক্তি কিছুটা হলেও ফিরে এসেছে৷ আলো ফেললে চোখের সামনে হাত অথবা আঙুলের নড়াচড়া বুঝতে পারছেন দেবাশিস৷

তবে এখনও ওই পুলিশকর্মীর চোখের ভিতরে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশা, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে নিজে থেকেই ওই জমাট বাঁধা রক্ত সরে যাবে৷ তখন ওই সার্জেন্টের দৃষ্টিশক্তি আরও অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা৷ তিনি আগের মতোই কাজেও ফিরতে পারবেন বলেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে৷

দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কি না সংশয়, আহত সার্জেন্টকে হায়দ্রাবাদে পাঠাচ্ছে রাজ্য! দেখুন ভিডিও

নবান্ন অভিযানে ইটের আঘাতে গুরুতর জখম কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী কি আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন? মঙ্গলবার রাতে চোখে অস্ত্রোপচারের পরেও তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা৷ ইতিমধ্যেই আহত ওই সার্জেন্টের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই সার্জেন্টকে হায়দ্রাবাদেও পাঠান হচ্ছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর৷  ২০১৫ ব্যাচের ওই সার্জেন্ট বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেলের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন৷

Kolkata Police injured sergeant: দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কি না সংশয়, নবান্ন অভিযানে আহত সার্জেন্টের বাঁ চোখের কী অবস্থা?

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে ইটের আঘাতে গুরুতর জখম কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী কি আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন? মঙ্গলবার রাতে চোখে অস্ত্রোপচারের পরেও তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা৷ কলবকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, দেবাশিসবাবু আঘাতপ্রাপ্ত বাঁ চোখে আরও একবার অস্ত্রোপচার হবে৷ তিনি ওই চোখে আর দেখতে পারবেন কি না, তা আরও এক সপ্তাহ পরে জানা যাবে৷ সূত্রের খবর, উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত সার্জেন্টকে হায়দ্রাবাদ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার৷

গতকাল নবান্ন অভিযান চলাকালীন খিদিরপুরের কাছে ফারলাঙ্গ গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী নামে ওই সার্জেন্ট৷ ২০১৫ ব্যাচের ওই সার্জেন্ট বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেলের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন৷

আরও পড়ুন: ‘আপনার চেয়ার টলমল করে দেব!’ সরাসরি মোদিকেই হুঁশিয়ারি মমতার

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় একটি গাড়ির ভিতরেই ছিলেন দেবাশিস এবং অন্যান্য কয়েকজন পুলিশকর্মী৷ সেই সময় কিংগস ওয়ে ধরে একদল বিক্ষোভকারী এগিয়ে আসছিলেন৷ আচমকাই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে তারা৷ তখনই একটি ইটের টুকরো এসে সরাসরি গাড়ির ভিতরে বসে থাকা ওই সার্জেন্টের বাঁ চোখে লাগে৷ সঙ্গে সঙ্গেই দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি৷ রক্তাক্ত ওই সার্জেন্টের ছবি সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে৷

রাতেই কলকাতার একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে ওই সার্জেন্টের বাঁ চোখের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু সেই অস্ত্রোপচারের পরেও দেবাশিসবাবুর দৃষ্টিশক্তি ফেরা নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকরা৷ আহত সার্জেন্টের পরিবারকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেবাশিসবাবুর বাঁ চোখের রেটিনা এবং কর্নিয়ায় গুরুতর আঘাত লেগেছে৷ তাঁর চোখের আরও একটি অস্ত্রোপচার হবে৷ তার পরই জানা যাবে দেবাশিসবাবু দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না৷

দেবাশিস চক্রবর্তী ছাড়াও গতকালের নবান্ন অভিযানে আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে দেবাশিসবাবুর আঘাতই সবথেকে গুরুতর৷

Sayan Lahiri arrest: নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজের সায়ন লাহিড়ি গ্রেফতার, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

কলকাতা: নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজ সংগঠনের অন্যতম প্রধান মুখ সায়ন লাহিড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ গতকালই তাঁকে আটক করা হয়৷ আজ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আজই সায়নকে আদালতে পেশ করা হবে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযানের নামে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই সায়ন লাহিড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

গতকাল নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ কলকাতা, হাওড়ার একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে৷

আরও পড়ুন: ডাঙায় পুলিশ, জলেও পুলিশ! নবান্ন অভিযানে এসে গঙ্গায় নেমে বেকায়দায় যুবক, দেখুন ভিডিও

নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজ সংগঠন নিজেদেরকে অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছিল৷ যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, এই সায়ন লাহিড়ির সঙ্গে বিজেপি, আরএসএস-এর সক্রিয় যোগ রয়েছে৷ সায়নের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে পুলিশও৷ নবান্ন অভিযানের আগে এই সায়ন লাহিড়ি শহরের একটি পাঁচ তারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সায়ন গোপন বৈঠকও করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ৷

নবান্ন অভিযানে তুমুল অশান্তির পরেই  পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, আদৌ এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্ররা যুক্ত কি না৷ পুলিশের পক্ষ থেকে দেড়শোর কাছাকাছি বিক্ষোভকারীকে আটকও করা হয়৷ কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানায় ১১টি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করা হয়৷ তার পরেই আটক করা হয় সায়ন লাহিড়িকে৷