বনধ নিয়ে হেল্পলাইন নম্বর।

WB Police on Nabanna Abhijan: ‘পাঁচ তারা হোটেলে মিটিং, অশান্তির ফাঁদ!’ নবান্ন অভিযানে চক্রান্তের অভিযোগ রাজ্য পুলিশের

কলকাতা: নবান্ন অভিযানের নামে ভিড়ে মিশে গিয়ে হিংসা ছড়াতে পারে দুষ্কৃতীরা৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হল রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে৷ এমন কি, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে যে সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷ ওই সংগঠনের এক নেতা শহরের এক পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে৷

রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ কুমার ভর্মাও দাবি করেছেন, আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নামে নবান্ন অভিযানের যে পৃথক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটির জন্যই পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি৷ সাধারণ মানুষ যাতে এই অশান্তির ফাঁদে পা না দেন, সেই অনুরোধও করেছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা৷

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারও বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাই রাজ্য সরকারের কাছে সব থেকে বড় অগ্রাধিকার৷ তাই এই চক্রান্তের ফাঁদে পা দেবেন না৷ নেট পরীক্ষার দিনেই কেন ছাত্র সমাজের নামে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ কর্তারা৷

আরও পড়ুন: ‘একটা দুটো বডি না পড়লে…’, নবান্ন অভিযানের আগে ভিডিও প্রকাশ, বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সুপ্রতিম সরকার বলেন, বলা হচ্ছে এই সংগঠন এবং কর্মসূচি অরাজনৈতিক৷ কিন্ত আমাদের কাছে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এক নেতারা শহরের পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ একজন ছাত্রনেতা কী উদ্দেশ্যে পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন, ওই বৈঠকে বেআইনি কিছু হয়েছে কি না তার তথ্যপ্রমাণ আমরা সংগ্রহ করছি এবং সময়মতো আদালতে পেশ করব৷ পাশাপাশি, ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পেজ থেকে এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ফলো করা হয়, সেই দাবি করেও সংগঠনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ওই পুলিশ কর্তা৷

শুধু তাই নয়, বার বার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দুই সংগঠনকেই জমায়েতের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷

এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও দুটি ভিডিও প্রকাশ করে অভিযোগ করা হয়, নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে৷ পুলিশের পোশাক পরে মিছিলের ভিড়ের মধ্যে থেকে গুলি চালানোও হতে পারে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়৷ যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷