Tag Archives: Nabanna

শৌচালয় তৈরিতে দুর্নীতি আটকাতে নিয়ম বদলাল পঞ্চায়েত দফতর! স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বড় দায়িত্ব রাজ্যের

কলকাতা: বিতর্ক এড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত স্তরে সঠিকভাবে খরচ করতে রাজ্য পাশে পেতে চাইছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামীণ মহিলাদের। প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীই মহিলা পরিচালিত হওয়ায় এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতদিন এই প্রকল্পের সমস্ত কাজই গ্রাম পঞ্চায়েত দেখত। তারাই স্থির করে দিত কার বাড়িতে শৌচালয়  হবে।  এমনকি গ্রামে গ্রামে কমউনিটি শৌচালয় তৈরির জন্য স্থান নির্বাচন করা থেকে নির্মাণ- সবটাই গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে ছিল। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় সিএজি রিপোর্টে এই অনিয়মের কথা ও বলা হয়েছে।

বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, টাকা পেয়েছে কিন্তু বাড়িতে শৌচালয়  তৈরি করেনি। কমিউনিটি টয়লেট নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। ফলে স্বচ্ছ ভারত মিশনে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরি করার কাজে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই প্রকল্পের কাজ খাতা-কলমে মাত্র ১৫ শতাংশ হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, শিলিগুড়ি ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও একই চিত্র। তবে সব থেকে ভাল কাজ হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ায়। এখানে ১০০ শতাংশ গ্রামীণ বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় তৈরির হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশের কিছু বেশি। স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজে পিছিয়ে পড়ে রাজ্যকে বারবার কেন্দ্রের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

পঞ্চায়েতের এই কাজ না করা ও কাজ করার নামে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বেড়িয়ে আসতে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর এবার সরাসরি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দিল। তারা গ্রাম পঞ্চায়েতকে নয়, কাজের রিপোর্ট দেবে সরাসরি বিডিওকে। এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে থাকা ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৬ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে প্রচারের নামে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য সমীক্ষা চালাবে। যাদের বাড়িতে শৌচালয় নেই তাদের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনকে দিয়ে তা নির্মাণের ব্যবস্থা করবে। ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত এই প্রচারাভিযান চালাবে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের কথায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাহায্যেই গ্রামীণ এলাকার  ১০০ শতাংশ বাড়িতে শৌচালয় নিশ্চিত করা সম্ভব।  এই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ৭৬৪ জন মহিলা। জলবাহিত রোগ প্রতিরোধে মহিলারাই প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় থাকা গুরুত্ব নিয়ে সঠিক প্রচার করতে পারে। যাদের বাড়ি শৌচালয় নেই তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সরকারকে জানাবে। শৌচালয় তৈরির জন্য সরকারি আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ব্যবস্থা করবে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে কীভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কাজ করবে তার রূপরেখা পাঠিয়ে দিয়েছে। তাতে দিনক্ষণও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে প্রতি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির  মহিলারা গ্রামে মানুষের মধ্যে শৌচালয়ের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে সচেতনতার প্রচার চালাবে। সেই সময়ই চিহ্নিত করবে গ্রামের কোন বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে, কার বাড়িতে নেই। না থাকার কারণও জেনে নেবে। এরপরই বিডিওর কাছে তারা  ৮ জুলাইয়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেবে। যা বিডিও সরকারি বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাই করে নেবে।

তালিকার ভিত্তিতে রাজ্য  সরকার টয়লেট তৈরির জন্য সরকারি অনুদানের ছাড়পত্র দেবে। এরপর উপভোক্তাদের ব্লক ভিত্তিক জমায়েত করে শৌচালয়ে কী থাকতে হবে তা বিডিও ও সরকারি আধিকারিকেরা বুঝিয়ে দেবেন। ১৩ আগস্টের মধ্যে টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।

Mob lynching in West Bengal: পর পর গণপিটুনি, ডাকাতি, অস্বস্তিতে নবান্ন! পুলিশের জন্য জারি হল ১১ দফার নির্দেশিকা

কলকাতা: গণপিটুনি, ডাকাতির মতো ঘটনা আটকাতে ফের রাজ্য পুলিশের জন্য ১১ দফা অ্যাডভাইজরি জারি করল নবান্ন। প্রত্যেকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপারদের এই ১১ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা।

গত কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনি, সালিশির নামে হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে৷ মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের৷ সালিশি সভা ডেকে নির্যাতনের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ পর পর এই ধরনের ঘটনায় স্বভাবতই উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা৷ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও৷

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অভিযোগ, হাওড়ায় গ্রেফতার যুবক! বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

নতুন এই ১১ দফা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্লাবগুলিকে আরও সক্রিয় করতে হবে যাতে কোনও ঘটনা ঘটলেই সঠিক সময়ে পুলিশ খবর পায়৷ ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখতে হবে, সিভিক ভলেন্টিয়ার ভিলেজ পুলিশদের আরও বেশি করে স্থানীয় এলাকায় ব্যবহার করতে হবে যাতে সঠিক সময়ে গণপিটুনির মতো ঘটনার খবর থানা পর্যন্ত পৌঁছয়।

এর পাশাপাশি গয়নার দোকানে ডাকাতি রুখতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশের কর্তাদের৷ এই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, ডাকাতির ঘটনা রুখতে গোয়েন্দা দফতরকে আরও সক্রিয় হতে হবে৷ যে ধরনের দুষ্কৃতী দল এই ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের ধরতে আরও সক্রিয় হতে হবে পুলিশ এবং গোয়েন্দা দফতরকে৷ একই সঙ্গে প্রতিবেশী দুই রাজ্য বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের পুলিশের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের অপরাধে যুক্তদের সম্পর্কে আগাম খবর পাওয়া যায়৷ পাশাপাশি সীমান্ত এলাকাগুলিতে নাকা চেকিংও বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে রাজ্যে প্রবেশই না করতে পারে দুষ্কৃতীরা৷

এডিজি আইনশৃঙ্খলার দেওয়া অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, ডাকাতির মতো ঘটনায় যে সমস্ত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে তাদের যাতে সঠিক শাস্তি হয়, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। এতে সাধারণ মানুষের পুলিশের উপর আস্থা তৈরি হবে। অন্যান্য রাজ্য থেকে এই গ্যাং মেম্বাররা ঢুকে পড়ছে, তার জন্য সীমান্ত এলাকায় নাকা চেকিংয়ের প্রক্রিয়া আরও বাড়াতে হবে।

এ ছাড়াও বেআইনি অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারেও অভিযান বাড়ানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নতুন অ্যাডভাইজরিতে৷ মহিলাদের করা যে কোনও অভিযোগকে স্পর্শকাতর হিসেবে ধরে নিয়েই দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

Nandigram: নন্দীগ্রামের থানা ভেঙে আরও দুটি থানা! কতগুলি আউটপোস্ট তৈরি হবে? নন্দীগ্রামের আইনশৃঙ্খলায় আরও জোর নবান্নের

পূর্ব মেদিনীপুর: নবান্নের নজরে এবার নন্দীগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নন্দীগ্রামের থানা ভেঙে আরও দুটি থানা তৈরি করা হবে। নন্দীগ্রামের আইন শৃঙ্খলা আরও জোরদার করা হয়েছে। তৈরি করা হবে আরও দুটি নতুন আউটপোস্ট।

সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের আইনশৃঙ্খলার জন্য থাকবে তিনটি থানা ও দুটি আউটপোস্ট। নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে আরও দুটি নতুন থানা করার উদ্যোগ নবান্নের। রেয়াপাড়া ও তেখালি থানা, দুটি নতুন থানা করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের উদ‍্যোগেই তৈরি হবে এই দুটি নতুন থানা।

আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনের নীচে এই ছোট্ট ছিদ্রটি কেন থাকে বলুন তো? মাইক্রোফোন নয় কিন্তু! ৯৯% লোকজনই জানেন না, কাজ জানলে মাথায় হাত পড়বে

নবান্ন সূত্রে খবর, দুটি নতুন আউটপোস্ট তৈরি করা হবে। রামচক আউটপোস্ট ও সোনাচূড়া আউটপোস্ট করার সিদ্ধান্ত নবান্নের। কোন থানার অধীনে কোন এলাকা থাকবে তাও নির্দিষ্ট করেছে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্র দফতর।

Dengue in West Bengal: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ! জেলা ধরে ধরে সতর্ক করল নবান্ন, বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের

কলকাতা: বর্ষা এসেছে। উত্তরে প্রবল বৃষ্টি চলছে, দক্ষিণেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ না বাড়লে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা থাকবেই। ফলে ফের পুরসভাগুলিকে সতর্ক করল নবান্ন। মশাবাহিত মারণরোগ ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে এদিন সকালে মুখ্যসচিব বৈঠক করেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে। “পুরসভাগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের উপর আরও বেশি নজর দিতে হবে। কোনও পুরসভার ঢিলেমি মানা হবে না।” জেলাশাসকদের কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের।

গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে যে যে এলাকায় গতবার ডেঙ্গি সংক্রমণ সবথেকে বেশি ছিল সেই এলাকার জেলাশাসকদের এদিনের বৈঠকে বিশেষভাবে সতর্ক করল নবান্ন। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করল নবান্ন। মালদহের ইংরেজবাজার, কালিয়াচক, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি চা বাগান এলাকায় বর্তমানে ডেঙ্গি সংক্রমণ রয়েছে। সেই এলাকার জেলাশাসকদের ও পুরসভাগুলিকে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ এদিনের বৈঠকে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: বর্ষায় বিষধরের উপদ্রব বাড়ে, সাপ কামড়ালে প্রথমেই কী করবেন? জেনে রাখুন ডাক্তারের পরামর্শ

গত সপ্তাহেই ১১০০ ছাড়িয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। জুন মাস শেষ হতে চললেও তেমন বৃষ্টি হয়নি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে এই মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গির বাহক মশা এডিস ইজিপ্টাই শুষ্ক শীতল আবহাওয়ায় জন্মায় না। রাজ্যের একাংশে ব্যাপক গরম রয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। তাই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি হচ্ছেই।

আরও পড়ুন: আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই ঘরোয়া টোটকা, জানুন

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ১৬টি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তার মধ্যে মালদা শীর্ষে। ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সাধারণ মানুষজন। নবান্ন বুধবারই তাই জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

West Bengal News: বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রী! নবান্নের বড় ‘নির্দেশ’ গেল দফতরে দফতরে

কলকাতা: বিদ্যুতের অপব্যবহার নিয়ে আরও কড়া নবান্ন। একাধিক দফতরের বিদ্যুতের বিল বকেয়া। বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট দফতরের বাজেট কমানোর নির্দেশ। অর্থ সচিবকে বিদ্যুৎ নিয়ে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিদ্যুতের বিল বকেয়া দেখে বাজেটে কাটছাঁট করতে হবে এবার অর্থ দফতরের নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রীর এমনই নির্দেশ বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

গত বৃহস্পতিবারের বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক দফতর ও স্কুলগুলি বিদ্যুতের অপচয় করছে বলে প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সরকারি অফিসে বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে এই অভিযোগ কিছুই নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ই দেখা যায়, সরকারি দফতরে কোনও একটি রুমে কোনও আধিকারিকই নেই, অথচ আলো জ্বলছে, ফ্যানও চলছে! কোথাও কোথাও এসিও!

এবার এই পরিস্থিতির বদল ঘটতে চলেছে বলেই জানাচ্ছে সূত্র। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ সমস্ত পুরনিগমের মেয়র, কমিশনার এবং সব দফতরের সচিব ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

Kolkata: কে এলেন কলকাতায়! বৈঠক মমতার সঙ্গে! চমকের পরই কি বদলে যাবে সমীকরণ?

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পি চিদম্বরমের বৈঠক হল নবান্নে। প্রায় ৪০ মিনিট নবান্নে বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। কলকাতায় এসেই নবান্নে আসেন পি চিদম্বরম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর।

সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আলোচনা করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলেন তিনি। সনিয়া গান্ধির দূত হিসেবেই এসেছিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিরাট খবর! রাজ্যের সব শিক্ষককে বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট! আর ‘গোপন’ থাকবে না কিছু

বিস্তারিত আসছে…

Mamata Banerjee: ‘কোনওভাবেই মানবো না’! বিদ‍্যুতের অপচয় থেকে সরকারি জমি অধিগ্রহণ, প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা মমতার

কলকাতা: হঠাত্‍ই প্রশাসনিক বৈঠক ডাকলেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে বিদ‍্যুতের অপচয় থেকে সরকারি জমি অধিগ্রহণ, একাধিক বিষয় নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী।

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্কুল,সরকারি অফিসে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। এইরকম অভিযোগ আমার কাছে আসছে। অকারণে বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে। এতে সরকারেরও খরচ বাড়ছে। এগুলো আপনারা কেন নজর দেন না?’’ বৈঠকে সচিব ও জেলাশাসকদের উপস্থিতিতে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন: কীভাবে হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অ‍্যাকসিডেন্ট? তদন্তে নয়া মোড়! রাঙাপানি স্টেশন মাস্টার দিলেন বড় ত‍থ‍্য

বিদ‍্যুতের অপচয়ের পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ‍্যায় সরব সরকারি জমি অধিগ্রহণ নিয়েও। সরকারি জমি দখল আমি কোনওভাবেই মানবো না। কোথায় কত জমি আছে আমার সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট চাই।’’ জেলাশাসক,সচিবদের উপস্থিতিতে কার্যত ডেড লাইন দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘প্রার্থনা করুন’, অসুস্থ অলকা ইয়াগনিক! বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত গায়িকা, শোনার ক্ষমতা হারালেন

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে একাধিক উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যরা। হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, দীঘা-শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।” অনেকেই এমনি বোর্ডের সদস্য হয়ে বসে আছেন। এইগুলো এবার দেখতে হবে।” বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

Nabanna: কড়া হাতে মোকাবিলা! আচমকাই প্রশাসনিক বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী, ১১ জুনের পরে ফের কোন বার্তা?

কলকাতা: কড়া হাতে প্রশাসনের রাশ! আচমকাই প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। ১১ জুনের বৈঠকের ফল জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণেই আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ দুপুর আড়াইটে থেকে বৈঠক৷

সরকারি জমি জবরদখল করার অভিযোগ উঠলে আর রেয়াত করা হবে না। গত সপ্তাহে নবান্নে জরুরি বৈঠক করে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোন এলাকায় জমি দখল হয়েছে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্টও চেয়েছিলেন তিনি। নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এবং শিলিগুড়ি অঞ্চল থেকে এই ব্যাপারে বিস্তর অভিযোগ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তার জেরেই জিরো টলারেন্স নীতি রাজ্যের।

আরও পড়ুন: রাঙাপানি দুর্ঘটনার জের! এবার সিগনালিং ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল

নবান্নে এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ নির্দেশ, সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠলে কোনও রকম রেয়াত করা হবে না। বরং জমি দখলকারীদের যাতে কড়া শাস্তি পায় সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

ভোট মিটতেই নবান্নে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাবতীয় বাধা দূর করে সাধারণ মানুষকে ফের পরিষেবা ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর তাঁর সরকার। তাই বর্ষা আসার আগেই তৎপর এখন নবান্ন।

আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরেই জেলাপ্রশাসকদের তাঁদের এলাকার জমি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সংক্রান্ত রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা৷

Nabanna: মমতার হুঁশিয়ারির পরেই জমি নিয়ে তৎপর নবান্ন! জেলাশাসকদের কাছে গেল বিশেষ নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবস্থা

কলকাতা: রাজ্য সরকারি জমির পরিমাণ কত? এবার সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চায় নবান্ন। প্রত্যেকটি দফতর ও প্রত্যেকটি জেলাশাসকের অধীনে কত সরকারি জমি রয়েছে? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা জানতে চাইল নবান্ন। জেলাশাসক ও প্রত্যেকটি দফতরের সচিবদের কাছে তাঁদের অধীনে কত জমি রয়েছে, তার পরিমাণ লিখিত আকারে দিতে বলা হল।

সম্প্রতি সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসনিক বৈঠকে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে জমি দখলকারীদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার গোটা রাজ্যেই রাজ্য সরকারি জমি কত রয়েছে, তা নিয়েও নির্দিষ্ট তথ্য চাইল নবান্ন।

আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?

মুখ্য সচিব বি পি গোপালিকা প্রতিটি দফতরের সচিব ও প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসককে তাঁদের অধীনে কত সরকারি জমিয়ে রয়েছে তার খতিয়ান জমা দিতে বললেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে।

আরও পড়ুন: ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা বন্ধ করল কেন্দ্র! রাজ্যকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক

রাজ্যের ভূমি দফতরের অধীনে যে জমির পরিমাণ বর্তমানে রয়েছে, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে জেলাশাসক ও দফতরের সচিবদের পাঠানো নথি।

সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। তার জন্যই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

Nabanna: ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা বন্ধ করল কেন্দ্র! রাজ্যকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক

কলকাতা: ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা বন্ধ করল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযানে’ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক টাকা দেওয়া বন্ধ করল রাজ্যকে।‘পিএম শ্রী’ চুক্তি না করলে এই টাকা দেওয়া যাবে না বলে নাকি রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে সম্প্রতি এই কথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ ও রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ টাকা। কেন্দ্রের যুক্তি অসংবিধানিক, এই কারণ দেখিয়ে ফের কেন্দ্রের থেকে টাকা চেয়ে চিঠি দিল রাজ্য।

আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?

গত জানুয়ারি মাসের পর থেকে সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে ২০০০ কোটি টাকা পায় রাজ্য। চলতি অর্থ বর্ষের টাকাও এখনো সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র রাজ্যকে। যা নিয়েও চিঠি দিল নবান্ন।

আরও পড়ুন:  দাউ দাউ আগুনে জ্বলে উঠল জলদাপাড়ার গর্ব, পুড়ে ছাই হলং বন বাংলো! দেখুন ভিডিও

সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের মধ্যে স্কুলের পরিকাঠামো নির্মাণ, স্কুল বিল্ডিং তৈরি সহ একাধিক কাজ হয়। রাজ্যের দাবি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক টাকা দেওয়ার ছাড়পত্র দিলেও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সেই টাকা আটকে রেখেছে।