সব ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট চালুই করেনি রাজ‍্য! মোদিকে লেখা মমতার চিঠি জবাবে রাজ‍্যকেই দুষল কেন্দ্র

Mamata Banerjee: সব ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট চালুই করেনি রাজ‍্য! মোদিকে লেখা মমতার চিঠি জবাবে রাজ‍্যকেই দুষল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আইন আরও কড়াকড়ি করা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা সেই চিঠির জবাব এল এবার। চিঠিতে জানান হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এদের মধ‍্যে বেশিরভাগেরই কাজ শুরু হয়নি।

গত ২২ অগাস্ট কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। যেখানে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আইন আরও কড়াকড়ি কড়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী। সোমবার নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রীকে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু হয়েছে।’’ ন‍্যায় সংহিতা অনুযায়ী, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি প্রদানের বিধি রয়েছে।

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠিতে দাবি করেছেন,‘‘পশ্চিমবঙ্গে ১২৩ টি ফাস্ট ট্র‍্যাক আদালতের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ‍্যে ১০৩ টি আদালত পকসো আইন এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে। এবং ২০ টি কোর্ট কেবলমাত্র পকসো আইনের সংক্রান্ত মামলার জন‍্য অনুমোদিত। যদিও ২০২৩ সালের জুনের মাঝামাঝি পর্যন্তও কোনও আদালতই কার্যকর হয়নি।’’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ৮.০৬.২০২৩ তারিখে চিঠির মাধ‍্যমে FTSC চালু করার কথা জানিয়ে ছিল রাজ‍্য। পশ্চিমবঙ্গকে ১৭ টি ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট অনুমোদন করা হয়েছে। যার মধ‍্যে ৩০.০৬.২০২৪ পর্যন্ত কেবলমাত্র ৬ টি পকসো আদালত চালু হয়েছে।’’

চিঠিতে লেখা, ‘‘ পশ্চিমবঙ্গে ৪৮,৬০০টি ধর্ষণ এবং পকসো আইন সংক্রান্ত মামলা ঝুলে থাকা সত্ত্বেও, অবশিষ্ট ১১টি ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট শুরু করার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রাজ‍্য সরকারই কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।’’

আরও পড়ুন: জারি ১৬৩ ধারা! নাকা চেকিং’, নিরাপত্তার কড়া বলয়ে নবান্ন চত্বর

প্রসঙ্গত, গত ২২ অগাস্ট দীর্ঘ এক পাতার চিঠিতে মুখ‍্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। ৯০টি কেস প্রতিদিন হচ্ছে ধর্ষণের। এটার একটা শেষ হওয়া দরকার। এর জন্য একটা বিশেষ আইন আনা প্রয়োজন। ১৫ দিনে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ১৫ দিনের মধ্যে যাতে বিচার হয়ে শাস্তি নিশ্চিত হয়।’’