Tag Archives: Mamata Banerjee

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জন্ম ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি৷ ১৯৭০ সালে দেশবন্ধু শিশু শিক্ষালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি৷ এর পর যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে ইতিহাস নিয়ে পড়ে স্নাতক হন তিনি৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক হিস্ট্রি-তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন৷ যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

১৫ বছর বয়স থেকে রাজনীতিতে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ যোগমায়া দেবী কলেজে পড়ার সময় সেখানে ছাত্র পরিষদেরর ইউনিয়ন স্থাপন করেন তিনি৷ সেই সময় যোগেশচন্দ্র কলেজে ছাত্র সংসদ ছিল ডিএসও-র দখলে৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাদের পরাজিত করে ছাত্র পরিষদ৷ এর পর থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ইন্দিরা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময়ই সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিদের চোখে পড়ে যান মমতা৷ ১৯৮৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমবার প্রার্থী হয়েই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও ১৯৮৯ সালে সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে পরাজিত হন তিনি৷ ১৯৯১ সালে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন মমতা৷ এর পর টানা ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই কেন্দ্র থেকেই সংসদে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

১৯৯১ সালে পি ভি নরসিমা রাও মন্ত্রিসভায় মানব সম্পদ, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী হন মমতা৷ ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সচিত্র ভোটার কার্ড দিয়ে নির্বাচনের দাবিতে তাঁর নেতৃত্বেই আন্দোলন করতে গিয়ে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী নিহত হন৷

কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ১৯৯৭ সালে দল ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ১৯৯৯ সালে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০০৪ সালে সালে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি৷

২০০৬ সালে প্রথমে সিঙ্গুর এবং ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ২০০৯ সালে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারে যোগ দেন মমতা৷ ফের রেলমন্ত্রী হন তিনি৷ ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য কলকাতা পুরসভা দখল করে তৃণমূল৷

২০১১ সালে বিরোধী নেত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে রাজ্যে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি৷ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন মমতা৷ ২০১৬ সালেও নির্বাচনে সহজেই জয়ী হয় তৃণমূল৷ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়ে তৃণমূল৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে পরাজিত হন৷ এর পর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন তিনি৷

Mamata Banerjee-Abhishek Banerjee: বদলেছে রাজনৈতিক নানা সমীকরণ! ২৫ মে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের ৫ আসনে ভোট, প্রচারে ঝড় তুলবেন মমতা-অভিষেক

কলকাতাঃ তৃণমূল কংগ্রেসের নজরে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার ৫টি লোকসভা আসন। এই ৫ সংসদীয় আসনের মধ্যে তৃণমূলের হাতে রয়েছে ৩টি লোকসভা। বিজেপির হাতে রয়েছে ২টি। এই ৫ লোকসভা আসন রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে তৃণমূল।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে ভাল ফল করে তৃণমূল। বাম আমলে সেই ফল গোটা রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরে তখন রাজনৈতিক মহলের নজরে তৃণমূল। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম আসন হারলেও দুই মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের মতো এলাকায় ভাল ফল করে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক বৈঠকে এই সব জেলাকে আগে ভাগেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল শাসক দল।

আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ার প্রচারে সব নজর সন্তোষে, কে তিনি? যার সঙ্গে দেখা করলেন সুজাতা মণ্ডল

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের দুই সাংসদ সদস্যই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের। দু’জনেই অধিকারী পরিবারের সদস্য। যে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব দীর্ঘতর হয়েছে জোড়া ফুল শিবিরের। বিরোধী দলনেতার জেলার এই দুই আসন নিয়ে চর্চা আছে বিজেপির অন্দরেও৷ ইতিমধ্যেই এই দুই লোকসভা আসনের বুথ স্তরীয় সংগঠনে একাধিক বদল এসেছে। যদিও নন্দীগ্রামের বুথ স্তরীয় বদল নিয়ে নানা অনুযোগ উঠে এসেছে তৃণমূলের অন্দরে ৷ কাঁথিতেও বুথ স্তরীয় ক্ষেত্রে একাধিক বদল এসেছে। প্রকাশ্যে না বললেও দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা হয়েছে।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনাতেও গুরুত্ব পেয়েছিল বুথ স্তরীয় সংগঠনে জোর দেওয়ার বিষয়।রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের প্রেস্টিজ ফাইট। তাই রাজনৈতিক ভাবে এখন থেকেই জমি শক্ত করতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানে লোকসভা ভোটের ফলের হিসাবে ম্যাচ ১-১। মেদিনীপুর আসন বিজেপির দিলীপ ঘোষের থাকলেও ঘাটাল আসন তৃণমূলের হয়ে ধরে রেখেছেন সাংসদ দেব।

জঙ্গলমহলের জেলা হিসাবে পরিচিত মেদিনীপুর লোকসভা আসনের জন্যেও এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় জোড়া ফুল। যে কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজিত মাইতি সকলকে নিয়ে বসে আলোচনার কথা বলেছিলেন। ঝাড়গ্রাম নিয়েও জনপ্রতিনিধিরা যে উদাসীন থাকছেন, সেটাও বিশেষ অধিবেশন থেকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলের এই আসনের দখল বিজেপি নিয়েছিল। যদিও বিধানসভায় বদলে যায় সেই ফলাফল। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রচারে আগামী কয়েকদিনের এই সফর রাজনৈতিক ভাবেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সকলে।

Abir Ghoshal

Lok Sabha Election 2024: শ্রীরামপুরের সভায় নিজের লেখা গান গেয়ে, ধামসা বাজিয়ে মঞ্চ মাতালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হুগলি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের লেখা গান যাতে সুর দিয়েছেন তিনি নিজেই, শ্রীরামপুরের সভা মঞ্চে সেই গান গাইলেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। কখনও গান কখনও  ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী নৃত্য। আবার কখনও হাতে কাঠি নিয়ে নিজেই বাজাতে শুরু করে দিলেন ধামসা। শ্রীরামপুর সভামঞ্চে সভার শেষে এক অন্যরকম রূপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার দুপুর তিনটের সময় শ্রীরামপুর স্টেডিয়াম মাঠে শ্রীরামপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রথম থেকেই অলআউট অ্যাটাক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শ্রীরামপুর লোকসভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও বিজয়ী করে দিল্লির সংসদে পাঠানোর আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০ টাকা বাড়বে!’ আমতার সভায় ঘোষণা শাহের, বিড়ম্বনায় বিজেপি

সভা যখন শেষের দিকে তখনই মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ করেন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের। কারণটাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এবার পালা একটু অন্য মেজাজের।মঞ্চের মধ্যেই ইন্দ্রনীল সেন শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান গাওয়া। গানের লাইন হল,” জাগো রে জাগো রে জাগো রে ,হৃদয়টা খোলা রাখো রে , জাগোরে জাগো রে জাগো রে, জয়ী হয় জয়ী হও জয়ী হও।”

গানের শেষে মুখ্যমন্ত্রী আবার মজার সুরে বলেন, ইন্দ্রনীলের এই দুই লাইনে মনে রয়েছে তাই ও দুই লাইন গাইতে পেরেছে। পরবর্তীতে মঞ্চের ধামসা, মাদল ও আদিবাসী নৃত্য নিয়ে এসে আবারও গান ধরেন ইন্দ্রনীল সেন৷ সেখানে কখনও আদিবাসীদের সঙ্গে নৃত্যের তালে পা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কখনও হাতে কাঠি তুলে নিয়ে বাদ্যযন্ত্রের উপর নিজেই বাজাতে থাকেন মমতা ব্যানার্জি।

শ্রীরামপুরের সভামঞ্চে আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় বার বার শানা গেছে কখনও রবি ঠাকুরের কবিতা কখনও বা নজরুলের কবিতা। সবশেষে নিজের লেখা গান গেয়ে কর্মী সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শ্রীরামপুর লোকসভার নির্বাচনের ফল কী হবে তা জানা যাবে আগামী ৪ তারিখ। তবে তার আগে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীরামপুর সফর শ্রীরামপুরের তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অক্সিজেন প্রদান করেছে৷

রাহী হালদার

‘১৯৫-২০০ এর মধ্যে থাকবে BJP’, আর ইন্ডিয়া জোট…? ‘রেজাল্ট’ নিয়ে বিরাট ভবিষ্যৎবাণী মমতার

কল্যাণী : চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের এবার ভোট নিয়ে বড় দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কল্যাণীতে নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে চতুর্থ দফা ভোট নিজের মুখ খোলার পাশাপাশি এবার আগামী ৪ জুন ফলাফল নিয়েও বড় ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে নিশানা করলেন মোদি-অমিত শাহ্দের।

বিস্ফোরক দাবি জানিয়ে মমতা বললেন, “৪ দফা ভোট হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব আসছে তাতে ১৯৫থেকে ২০০-র মধ্যে থাকতে পারে বিজেপি। আর ইন্ডিয়া জোট পাবে ২৯৫ থেকে ৩১৫ এর মধ্যে।”

সোমবারের চতুর্থ দফা ভোট নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। তাঁর কথায়, “মহুয়ার উপর কী রাগ। মহুয়াকে ভোট দিলে বিজেপির কাছে ভোট চলে যাচ্ছে। তারপর রুখে দাঁড়ানো হয়েছে। ইভিএম চেঞ্জ হয়েছে। এই বিষয়গুলো পুলিশকে দেখতে হবে।”

“সোমবারও আমি শুনেছি রানাঘাটে দত্তফুলিয়াতে টোটো করে বিএসএফ ভোটারদের নিয়ে যাচ্ছিল। আমি টোটো ভাইদের বলব চিরকাল বিজেপি থাকবে না। আপনারা বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না। এইগুলি নিয়ে তো পুলিশ কেস করবে।”

Lok Sabha Elections 2024: ফোকাস জঙ্গলমহল…! সভা, রোড শো, প্রচার, পঞ্চম-ষষ্ঠ দফার আগে ঝোড়ো সফর মমতার

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে এবার পূর্ব মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহল। আগামী ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে ভোট হতে চলেছে জঙ্গলমহলে। আর সেই ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই এবার প্রচারে নামছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোটের আগে টানা নির্বাচনী প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, কাঁথি, খড়গপুর ও মেদিনীপুর শহরে রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬মে থেকে ২০মে পর্যন্ত টানা নির্বাচনী প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, এগরাতে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতেও রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পাঁচ দিনে ১২টিরও বেশি জনসভা ও রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই সূত্রের খবর।

১৬মে কাঁথিতে রোড শো, ১৭ মে খড়গপুরে রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই সূত্রের খবর। ১৬ ও ১৭ মে তিনটি করে নির্বাচনী প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই সূত্র এর খবর।

Lok Sabha Election 2024: মতুয়া মন জয় করতে ডঙ্কা, কাসর নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নাগরিকত্বের নামে অসমের মতো বাংলার মানুষকে বে-নাগরিক হতে তিনি দেবেন না। পাশাপাশি বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ আনেন এদিনের সভা থেকে। মমতা বলেন, শান্তনু ঠাকুর নাগরিকত্বের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা তুলেছে
নাগরিকত্বের নামে অসমের মতো বাংলার মানুষকে বে-নাগরিক হতে তিনি দেবেন না। পাশাপাশি বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ আনেন এদিনের সভা থেকে। মমতা বলেন, শান্তনু ঠাকুর নাগরিকত্বের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা তুলেছে
মতুয়া ভোটকে পাখির চোখ করে এদিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের হয়ে প্রচারে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মতুয়া ভোটকে পাখির চোখ করে এ দিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের হয়ে প্রচারে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এ দিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মতুয়াদের জন্য সরকার কী কী সুবিধা দিয়েছে। পাশাপাশি বক্তব্যের বেশিরভাগ সময়ই নাগরিকত্ব নিয়েও উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই
এ দিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মতুয়াদের জন্য সরকার কী কী সুবিধা দিয়েছে। পাশাপাশি বক্তব্যের বেশিরভাগ সময়ই নাগরিকত্ব নিয়েও উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই
অভিযান সংঘের ময়দানে এদিন জনসভা থেকে মতুয়াদের মন জয় করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখ যায় সভা শেষে মঞ্চের উপর মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে নিশান উড়িয়ে ডঙ্কা, কাশি বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে শামিল হতে
অভিযান সংঘের ময়দানে এ দিন জনসভা থেকে মতুয়াদের মন জয় করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখ যায় সভা শেষে মঞ্চের উপর মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে নিশান উড়িয়ে, ডঙ্কা-কাশি বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে শামিল হতে
শান্তনু ঠাকুর যেন সবার আগে সিএএ-র ফর্ম ফিলাপ করেন। তিনি কেন ফর্ম ফিলাপ করছেন না! এ প্রশ্ন তুলেও মমতা বলেন, কারণ তিনি জানেন ফর্ম ফিলাপ করলে শান্তনু ঠাকুর বিদেশি হয়ে যাবেন
শান্তনু ঠাকুর যেন সবার আগে সিএএ-র ফর্ম ফিলাপ করেন। তিনি কেন ফর্ম ফিলাপ করছেন না! এ প্রশ্ন তুলেও মমতা বলেন, কারণ তিনি জানেন ফর্ম ফিলাপ করলে শান্তনু ঠাকুর বিদেশি হয়ে যাবেন
এ দিনের সভার শেষে মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন ডঙ্কা বাজালেন পাশাপাশি দু’হাত তুলে হরিনাম সংকীর্তন করেন মাদলেও তাল দেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সভায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো
এ দিনের সভার শেষে মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন ডঙ্কা বাজালেন, পাশাপাশি দু’হাত তুলে হরিনাম সংকীর্তন করেন মাদলেও তাল দেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সভায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো

Adhir Ranjan Chowdhury: বহরমপুরে ডবল হ্যাটট্রিক হবে? ভোটের দিন সকালেই হুঙ্কার অধীরের

বহরমপুর: অনেকেই বলছেন, এবার বহরমপুরে তাঁর লড়াইটা অন্যবারের তুলনায় কঠিন৷ পাঁচ বার বহরমপুর থেকে ভোটে জেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য এই সমস্ত রাজনৈতিক ব্যাখ্যা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন৷ বরং ভোটের দিন সকালেও নিজের মেজাজেই পাওয়া গেল বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থীকে৷ বরং ভোটের দিন সকালেও তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানালেন অধীর৷

এ দিন সকাল থেকেই বহরমপুরের বিভিন্ন বুথে বুথে ঘোরেন অধীর৷ ভোটও দেন তিনি৷ তারই ফাঁকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে হারাতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা হচ্ছে। আপনাদের মূল উদ্যেশ্য অধীর চৌধুরীকে হারানো।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিতু মহিলা। উনি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন না। ২০২৬- এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না, এইটুকু আমি জানি।’

আরও পড়ুন: তিন দলের তিন তারকা! চতুর্থ দফায় নিজেদেরই প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অধীর-দিলীপ-মহুয়ার সামনে

বহরমপুরে এবার অধীররঞ্জন চৌধুরীর মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান৷ আত্মবিশ্বাসী অধীর অবশ্য দাবি করেছেন, ইউসুফ পাঠানকে বলির পাঁঠা করেছে তৃণমূল৷ এ ছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী পেশায় চিকিৎসক নির্মল সাহা৷

অধীর যাই বলুন না কেন, পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেও বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে প্রচার করতে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, অধীরের জন্যই বাংলায় ইন্ডিয়া জোট সফল হয়নি৷ ভোটের দিনও অধীর বনাম তৃণমূল কথার লড়াই থামল না৷

Anubrata Mondal: উধাও নকুলদানা, নেই গুড়-বাতাসা! বাজছে না চড়াম চড়াম ভোটের ঢাকও, নির্বাচনের দিনে শ্মশান অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়ি

দক্ষিণবঙ্গ: বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকা৷ নীল রঙের এক দোতলা বাড়ি৷ এই ক’দিন আগে পর্যন্তও যে কোনও নির্বাচনের আগে তিল ধারণের জায়গা থাকত না এই বাড়ির সামনে৷ আর আজ সব শুনশান৷ দরজা জানলা বন্ধ৷ ডাকলেও বোধহয় সাড়া মেলে না কারও৷ লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার দিন যখন বোলপুরের বুথে বুথে ভোট দিতে জড়ো হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ তখন অনুব্রত মণ্ডলের নীল রঙা বাড়ির সামনে চেয়ারে বসে রইলেন ২-৩ জন পুলিশকর্মী৷ আর কেউ নেই৷ সব ফাঁকা৷

তাঁর ভয়ে নাকি বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত বোলপুরে৷ গোটা এলাকা চিনতেন হাতের তালুর মতো৷ নকুলদানা, গুর-বাতাসা থেকে চড়াম চড়াম৷ প্রত্যেক ভোটের আগেই ‘খেলা’ দেখিয়ে দিতেন অনুব্রত মণ্ডল৷ উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো একুশের নির্বাচনেও অনুব্রতকে তাঁর এই বাড়িতেই নজরবন্দি রেখেছিল কমিশন৷ কিন্তু, তাতে কী? এখানে বসেই বীরভূম তো বটেই বর্ধমানের একাংশেও ভোট নিয়ন্ত্রণ করতেন কেষ্ট৷ কিন্তু, কেষ্টর সেই গমগমে বাড়ি আজ শ্মশান৷

গরু পাচার কাণ্ডে তাঁর এই বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই দিনও উপচে পড়েছিল ভিড়। এক বছর পরে সেই নিচুপট্টির সেই বাড়ি খাঁ খাঁ করছে! অনুব্রত মণ্ডল নেই। তিনি তিহাড়ে বন্দি৷ নেই তাঁর মেয়ে সুকন্যাও।

আরও পড়ুন: ভোটের প্রথম বলি! রাতের অন্ধকারে বোমা মেরে কুপিয়ে খুন তৃণমূলকর্মী…গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বামফ্রন্ট, নেপথ্যে কে?

প্রশ্ন উঠেছে, বীরভূমের রাজনীতিতে কি এখনও প্রাসঙ্গিক আছেন অনুব্রত? বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয়ের পরে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে, ৫৯ আসনের জেলা পরিষদে বিরোধী জয়ী সদস্য কেবল এক জন। এবং এই সবই হয়েছে কেষ্টর অনুপস্থিতিতে। এই বিপুল নির্বাচনী ‘সাফল্য’ অনুব্রতকে জেলার রাজনীতিতে আরও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ করে দেবে বলে মনে করেছিলেন রাজনীতিবিদদের একাংশের। কিন্তু বীরভূম ভোট প্রচারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় বারবার উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডল বা কেষ্টর কথা৷

সম্প্রতি বীরভূমে ভোট প্রচারে গিয়ে তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) মঞ্চেই স্মরণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সবচেয়ে বড় গুণ কী, তা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেছিলেন, ‘‘কেষ্টর কেসে কী আছে, আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে গরিব কেউ ওঁর কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসত না। ও জেলাটাকে হাতের তালুর মতো চিনত।”

আরও পড়ুন :‘বলির পাঠা করা হচ্ছে ইউসুফ পাঠানকে,’ ভোটের দিনও মমতাকে তুমুল তোপ অধীরের! কেন এলেন না রাহুল? দিলেন উত্তর

মঙ্গলবার মমতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করে অনুব্রত ও তাঁর মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কেষ্ট আজ এলাকায় নেই। ওকে আর ওর মেয়েকে পরিকল্পনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এর পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন কবে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। মমতা বলেন, ‘‘আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোট মিটলেই ওদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ অনুব্রত যাতে ভোট কাজ না করতে পারে সেই জন্য তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। আর বুধবার অনুব্রতর গুণ নিয়ে মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন তিনি।

“রাজভবনে ঢুকতে ভয় পাচ্ছি”, রাজ্যপালকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজভবনে শ্লীলতাহানি কাণ্ডে তোলপার রাজ্য রাজনীতি। এবার ব্যারাকপুরের নির্বাচনের সভা থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata Banerjee: ‘চোর বলছেন, সার্টিফিকেট নিয়ে আসব’? অর্জুনের ব‍্যারাকপুরেই মোদিকে তোপ দাগলেন মমতা

ব‍্যারাকপুর: রবিবারেই পারদ চড়েছে বাংলার রাজনীতির। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়ায় সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই একই লোকসভা কেন্দ্রের আমডাঙাতে সভা মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব‍্যারাকপুরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ‍্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেগঙ্গাতে প্রতিবার ইলেকশনের আগে একটা করে মিটিং করার সুযোগ মেলে। আমি ভুলি কম, মনে থাকে। আমি যখন এখানে মিটিং করেছি তখন আমাদের দেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বারাকপুরে মিটিং করেছি। তিনি নাকি গ্যারান্টি দিয়েছেন। মতুয়াদের সিএএ করতেই হবে। আমি বলছি মতুয়ারা নাগরিক। ওরা আপনাকে ভোট দিয়েছেন। ওরা নাগরিক। আমার মতুয়া ভাই বোনদের গায়ে হাত দিলে আমার গায়ে হাত দেবেন।’’

আরও পড়ুন: বিয়ের পর জানা গেল স্ত্রী আসলে…কলকাতার হোটেলে তুলকালাম! সবটা জেনে তাজ্জব পুলিশও

মুখ‍্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। এদিন তিনি বলেন, ‘‘আজ ও সন্দেশ খালি নিয়ে বলেছেন। আপনার জন্যই সন্দেশ অপেক্ষা করছে। মোদি যা রা হে। আপনারা যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলেন না আমার গায়ে ফোস্কা পড়বে না। ওটা আপনারা ভয়ে বলছেন।’’

প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ আজ আপনি চোর বলছেন। সার্টিফিকেট গুলো নিয়ে আসব? ১০০ দিনের কাজে কে প্রথম হয়েছে পাঁচ বার? বাংলা। ভাষার কি কদর্য? আজ মোদি দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। জাতি বিক্রি করে দিয়েছে। মায়ের সন্মান বিক্রি করে দিয়েছে। রাস্তা বিক্রি করে দিয়েছে।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায় উঠে এল শেয়ার মার্কেটের কথাও। তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশের শেয়ার মার্কেট ক্র্যাশ করছে। যারা ভারতে লগ্নি করছে তারা সব টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’’

এদিন ব‍্যারাকপুরের সভায় মমতা বন্দোপাধ‍্যায় বলেন, ‘‘অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন সিএএ করব না। তোমার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিল। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিল না।এখন দেখুন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছে।’’

মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তোমরা রেশন দেও না।তুমি শুধু ভাষণ দাও।এখন থেকে কি ভয় ? এখন থেকেই বলছে এই সরকার নাকি পাল্টানোর চেষ্টা করবে। তুমি কেন বলবে? তোমার কিসের ভয়? মানুষ ঠিক করবে। সব থেকে বড় কয়লা চোর কে? কেন্দ্র সরকার। কারণ কয়লা কেন্দ্রের অধীনে।- সব থেকে বড় গরু চোর কে? ওটা কেন্দ্রের অধীনে। হোম মিনিস্টারের অধীনে।’’

আরও পড়ুন: ২ বছর পিছিয়ে গেল বিয়ে, কিশোরী প্রেমিকার মাথা কেটে নিয়ে গেল যুবক! তারপর নিজেই…বীভত্‍স ঘটনা

ব‍্যারাকপুরে দাঁড়িয়ে মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আগে জুটের শ্রমিকরা জানতে চান কেন জুট নেওয়া বন্ধ করে দিল? ব্যারাকপুরে অনেক জুট কারখানা আছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আগে জুটের শ্রমিকরা জানতে চান কেন জুট নেওয়া বন্ধ করে দিল? ব্যারাকপুরে অনেক জুট কারখানা আছে। মোদির রাগ তো এটাই মেয়েদের জন্য কিছুই করতে পারেনি। মাঝে মধ্যেই আইটিদের দিয়ে পাঠায়। বাংলা পিছিয়ে গিয়েছে নাকি এগিয়ে গেছে সমীক্ষা করে দেখতে বলুন। ইন্ডিয়া যেখানে ৮ আমরা সেখানে ১১।’’

নরেন্দ্র মোদিকে ‘নিষ্ঠুর’ বলেন মুখ‍্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘একটা করে ভোট আসছে বিজেপি কাদঁছে। একটা করে ভোট আসছে আর রেগে যাচ্ছে। কুৎসার রাজনীতি দেখিনি। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি কিন্তু এইরকম নিষ্ঠুর প্রধানমন্ত্রী দেখেনি। আমি কেন সারা পৃথিবী দেখেনি।’’

CM Mamata Banerjee: মোদি বনাম মমতা! একইদিনে প্রধানমন্ত্রীর চার সভা, মুখ্যমন্ত্রীর দুই… রবিবাসরীয় উত্তাপ বাংলায়?

হাওড়া: রবিবার একই জেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। এই নিয়ে মোট তিনবার একই জেলায় একই দিনে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী  ও প্রধানমন্ত্রী। এদিন রাজ্যে পরপর চারটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ সভা হাওড়ায়। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর শেষ সভা হাওড়াতেই করবেন। উলুবেড়িয়া লোকসভায় মমতা এদিন তাঁর দ্বিতীয় নির্বাচনী সভা করতে চলেছেন।

মূলত উলুবেড়িয়া লোকসভার অধীনে আমতায় এই সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী সভা বিকেল চারটের পরে হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা অবশ্য দুপুর তিনটে নাগাদ। এর আগে কোচবিহার ও বর্ধমান জেলায় একই দিনে সভা করেছেন মোদি- মমতা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ব্যারাকপুর লোকসভার অধীনে আমডাঙায় সভা করবেন। দুপুর ১টার পর এই সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন: ভোটে দাঁড়াতে বলায় কী বলেছিলেন রচনা, কীভাবে রাজি করালেন? ফাঁস করলেন মমতা

তারপর সেখান থেকে সরাসরি যাবেন হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে। দুই হেভিওয়েটের লড়াইতে রবিবারের রাজনৈতিক উত্তাপ যে যথেষ্ট বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর নবম বারের জন্য রাজ্যে প্রচার কর্মসূচিতে এসেছেন মোদি। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার রাতে রাজভবনে থেকে টানা পরপর চারটি সভা করবেন  মোদি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা। সম্প্রতি একই দিনে পরপর চারটি সভা মোদি করেননি। এদিন সকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে ব্যারাকপুরের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে সভা করবেন প্রথমে। প্রধানমন্ত্রী আজ যে চার কেন্দ্রে প্রচার করবেন, তার সব ক’টিতেই আগামী ২০ মে ভোটগ্রহণ।