ভারতীয় রেলে ট্রেন লেট হওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু তাই বলে সাড়ে তিন বছর লেট! এমনটাও হয় নাকি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!

Indian Railway: গ্রাহক সংযোগে জোর… পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অভিনব পদক্ষেপ

কাছার: জোনের মধ্যে পণ্য সামগ্রী পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং উন্নত গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ধরনের প্রচেষ্টাগুলির অংশ হিসেবে গ্রাহকদের দ্বারা বিভিন্ন বিভিন্ন সামগ্রীর সুগম ও সহজ পরিবহণের লক্ষ্যে ২০২৪-এর জুলাই মাসে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী পণ্য ট্রাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য আরও কিছু স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং পণ্য রাজস্ব বৃদ্ধি করতে অসমের কাছার জেলার অন্তর্গত বরাক উপত্যকার পাঁচগ্রাম স্টেশনটি ০২ জুলাই, ২০২৪ তারিখ থেকে সম্পূর্ণ রেক পরিবহণের সুবিধার মাধ্যমে বর্হির্মুখী লাইমস্টোন ট্র্যাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য খোলা হয়েছে। একইভাবে, বাঁশ পরিবহণের ক্ষেত্রে এই জোনটি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

তিনসুকিয়া ডিভিশনের ধেমাজি স্টেশন থেকে ২০টি পণ্যবাহী ওয়াগনে ব্যাম্বু চিপস লোড করা হয়েছিল এবং রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত বিশ্বনাথ চারিআলি স্টেশন থেকে ৪০টি মিনি ওয়াগনে ব্যাম্বু কাট লোড করা হয়েছিল। একইভাবে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্যান্য ডিভিশনও বিডিইউ উদ্যোগ উন্নত করতে একনিষ্ঠভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভুট্টা, চাল, ব্যাম্বু কাট, ব্যাম্বু চিপস, স্টোন চিপস, আলু ইত্যাদির মতো সামগ্রী পরিবহণের সুবিধার জন্য ফুল ও মিনি উভয় রেকের ওয়াগন বুক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ধেমাজি, বিশ্বনাথ চারিআলি, ফালাকাটা, নিউ কোচবিহার, বিন্নাগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জংশনের মতো স্টেশনগুলিতে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী পরিবহণ করে সংশ্লিষ্ট মাসে ২.৩১ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব উপার্জন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৮ অগাস্ট: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সংশ্লিষ্ট মাসে এই স্টেশনগুলি থেকে মোট ১৭৫টি পণ্যবাহী ওয়াগন এবং ০৩টি পার্সেল ভ্যান লোড করা হয়েছিল। এমনকি, জোনের ভেতরে বিন্নাগুড়ি থেকে ভৈরবীতে এবং আলিপুরদুয়ার থেকে শিলঘাট টাউন ও আগরতলায় যথাক্রমে স্টোন চিপস এবং আলু পরিবহণ করা হয়েছে।পণ্যবাহী পরিবহণের ক্ষেত্রে গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যবসায়িক ইউনিট ও রেলওয়ের মধ্যে পারস্পরিক বার্তালাপের পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে, যার ফলে রেলওয়ে দ্বারা অতুলনীয় সুবিধা, দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা প্রদান করা হবে।

ডিজিটাইলেজশনকে গ্রহণ করার মাধ্যমে যোগাযোগ এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক নীতিগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, এর ফলে দেশের লজিস্টিক পরিষেবার জন্য রেলওয়ে হয়ে উঠেছে পছন্দের পরিবহণ ব্যবস্থা।