Bangla Bandh: বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ্! বিক্ষিপ্ত অশান্তি জেলায় জেলায়, ধর্মঘটের ছবির এক ঝলক…

আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে ডাকা নবান্ন অভিযানে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে।পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। এরপরেই ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি।

কোচবিহার: রাজ্য সড়কের বেলতলা সংলগ্ন এলাকায় সরকারি বাসে হামলার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সরকারি বাস ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে শোনা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। ভাঙচুর হওয়া বাসের যাত্রীদের অপর একটি বাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

বহরমপুর: রেল অবরোধ বিজেপি কর্মীদের। লালগোলা-রানাঘাট ইএমইউ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। মিনিট দশেক অবরোধ থাকার পর রেল পুলিশ বিজেপি কর্মীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে অবরোধ উঠে যায়।

নামখানা: ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে নামখানা থানার পুলিশ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ। এই মুহূর্তে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সড়কের উপর বসে বিক্ষোভ দেখাছেন।

পুরুলিয়া: পুরুলিয়া – আদ্রা শাখার রেল লাইনে দাঁড়িয়ে রেল অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ ও পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ ।

নদীয়া:  শিয়ালদা- শান্তিপুর শাখার শান্তিপুর রেলস্টেশনে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ। নেতৃত্বে রাণাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

আরও পড়ুন- তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে আজ এক মঞ্চে মমতা-অভিষেক, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কী বার্তা দেবেন ?

বাঁকুড়া: বিরোধিতা করে পথে নামল তৃণমূল। বাঁকুড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বাস বের করা হল রাস্তায়।

বারাসত: বারাসত স্টেশনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রেল অবরোধ করে।  তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অবরোধ তুলতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়

বাসন্তী: বাসন্তী হাইওয়ের পালবাড়ি বাজারের কাছে বিজেপির পথ অবরোধ।  পুলিশ বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দারকে আটক করার পরে অবরোধ উঠে যায়।

জামুরিয়া: বাজারে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জামুরিয়া সিনেমা মোড়ের কাছে দু’টি মিছিল মুখোমুখি হয়ে গেলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

গঙ্গারামপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের তেমন ভাবে প্রভাব পড়ল না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে।সকাল থেকে সবজি বাজার ,মাছ বাজার ফল ,সহ মুদিখানার বাজার সহ বেশ কিছু দোকান খোলা রয়েছে। বেসরকারি বাস চলাচল না করলেও সরকারি বাস ,পণ্যবাহী লড়ি-সহ ছোট গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর: যানবাহন আটক করায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পথ অবরোধ তুলতে চাইলে পুলিশের বিজেপি কর্মীদের সাথে ধস্তা ধস্তি লেগে যায়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজেপির ডাকা বনধের প্রভাব ঘাটালে সেভাবে না পড়লেও বাস চলাচল কম থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। বাসের অপেক্ষায় ঘাটালের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড, ঘড়ি মোড় সহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে জমায়েত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের।

জলপাইগুড়ি: কাদোবাড়ি স্টেশানের কাছে হলদিবাড়ি, নিউ জলপাইগুড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেন আটকে দিলেন বনধ সমর্থকেরা। ট্রেন আটকাতে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ব্যাহত জলপাইগুড়ি, হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন পরিষেবা।

ইসলামপুর: শহরের বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে সামনে বন্ধ সফল করতে রাজ্য সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ।  পাল্টা দোকান খোলার রাখতে পুলিশের অনুরোধ।

উলুবেড়িয়া: বনধে উলুবেড়িয়া শিল্পাঞ্চলে প্রভাব পড়ল না। রাজ্যের অন্যতম জুট মিল বাউড়িয়া গ্লস্টার জুটমিল-সহ সব মিলেই কাজকর্ম স্বাভাবিক। শ্রমিকদের উপস্থিতির হার অন্য দিনের মত।

হাবড়া: ১২ ঘন্টা বনধের সমর্থনে সকাল থেকেই হাবড়ার বিজেপির কর্মী সমর্থকরা পথে নেমেছেন এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির ডাকা বন্ধ যাতে সফল না হয় তার জন্য পথে নামলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একসময় বিজেপি এবং তৃণমূল মুখোমুখি হয়ে যায়।পুলিশ রীতিমতো দুই মিছিলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

বেলঘরিয়া: শিয়ালদহ উত্তর শাখার আগরপাড়া ও বেলঘরিয়া স্টেশনের মাঝখানে ৪ নং রেলগেটে প্রথমে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা দলীয় পতাকা হাতে হঠাৎই সকাল আটটা নাগাদ রেল লাইনের মাঝখানে বসে পড়ে এই বনধ কে সমর্থন করে , শিয়ালদহ উত্তর শাখার ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়