উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) দুটি দ্বৈতকরণ প্রকল্প অর্থাৎ নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি ভায়া রঙিয়া প্রকল্প এবং নিউ বঙাইগাঁও-কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়া প্রকল্পের নির্মাণকার্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই দ্বৈতকরণ প্রকল্পগুলি জোনের জন্য রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং ট্রেন পরিচালন দ্রুত ও আরও অধিক বিশ্বস্ত করে তুলবে।
নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি ভায়া রঙিয়া প্রকল্পটি মোট ১৪২.৯৭ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। নিউ বঙাইগাঁও-সরভোগ, বরপেটা রোড-নলবাড়ি এবং বাইহাটা-আগিয়াঠুরি সেকশনের আওতাভুক্ত মোট ১০২.৭৭ কিলোমিটার, যা সফলভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং ট্রেন পরিষেবার জন্য চালু করা হয়েছে। সরভোগ-বরপেটা রোডের মধ্যে এবং নলবাড়ি-বাইহাটার মধ্যে অবশিষ্ট সেকশনের দৈর্ঘ্য মোট ৪০.২০ কিলোমিটার, যা বর্তমানে সম্পূর্ণ হওয়ার অগ্রিম পর্যায়ে রয়েছে। এমনকী, সরভোগ-বরপেটা রোড সেকশনের সিআরএস পরিদর্শনও খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেকশনগুলি চলতি আর্থিকবর্ষের মধ্যে চালু করা হবে, যা এই অঞ্চলের মধ্যে রেল সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হবে।
অতিরিক্তভাবে, নিউ বঙাইগাঁও-কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়া ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজেও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে, যা মোট ১৭৬ কিলোমিটার প্রশস্ত। নিউ বঙাইগাঁও-আজারা সেকশনটিতে মোট ১৬২.৮০ কিলোমিটার দূরত্ব আওতাভুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং এই অংশে ট্রেন পরিষেবাও চালু হয়ে গেছে। ১৩.২০ কিলোমিটারেরও অধিক সম্প্রসারিত আজারা-কামাখ্যার মধ্যে সেকশনটির চূড়ান্ত পরিকল্পনা এবং সম্প্রসারণ কার্যও অগ্রগতির পথে রয়েছে, যা ২০২৭-এর মধ্যে সম্পূর্ণ করার আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো গুরুত্বপূর্ণ কামাখ্যা জংশনের রেল পরিষেবার দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের রেলওয়ে পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সংযোগ বৃদ্ধি করা এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে তার পরিকাঠামো সম্প্রসারণ ও উন্নত করতে একাধিক মুখ্য পরিকাঠামোমূলক প্রকল্পের কাজ গ্রহণ করেছে, যার লক্ষ্য হলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা ও অর্থনৈতিক বিকাশে সাহায্য করা।