Back Pain Remedy: কোমর যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? এই ৬টি ব্যায়ামে আরাম পাবেন সহজেই

ঝাড়গ্রাম : বর্ষার মরশুমে শুরু হয়েছে কৃষিকাজ। মাঠে মাঠে চলছে ধান রোপন। বিভিন্ন কর্মস্থলে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কৃষি ক্ষেত্রে এখনও সেই পুরানো কর্মপদ্ধতিই অবলম্বন করা হয়। মহিলারা হাতে করে জমিতে ধানের চারা গাছ রোপন করে। সারাদিন ধরে চলে বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান রোপন। আর এই ধান রোপন করার সময় মহিলাদের ঝুঁকে জমিতে ধান রোপন করতে হয়। ফলস্বরূপ দিনের শেষে সারা শরীরে ব্যথার পাশাপাশি শুরু হয় তীব্র কোমর যন্ত্রণা। গাদাগাদা পেইনকিলার নয়, এই সহজ ৬ উপায়েই কমবে কোমরের যন্ত্রণা।

ঝাড়গ্রামের বিনপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শান্তনু ভৌমিক জানান, এই বর্ষার মরশুমে সকলেরই কমবেশি গা-হাত-পা ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। যাঁরা জমিতে কাজ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি বেশি হয়। সারাদিন জমিতে ঝুঁকে ধান রোপন করার ফলে তীব্র কোমরের যন্ত্রণা শুরু হয় অনেকের। কারও যদি এই সমস্যা হয় তাহলে প্রথমত তাঁর বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। মুভ বা ভোলেনি স্প্রে দিয়ে মালিশ করার পাশাপাশি নিতে হবে গরম সেঁক। তিনি আরও জানান, কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে করতে হবে প্রতিনিয়ত ছ’টি ব্যায়াম।

খাটের উপর বা নীচে উপুড় হয়ে শুয়ে দুটো হাতের ভরে কোমর নীচে রেখেই মাথাটাকে উঁচু করে রেখে গুনতে হবে এক থেকে দশ পর্যন্ত। এটা হয়ে গেলে উপুড় হয়ে শুয়ে থেকেই দুটো হাত পেটের কাছে নিয়ে প্রথমে বা পা উপর দিকে তুলে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনতে হবে তারপর ডান পা উপর দিকে তুলে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনতে হবে। এটা হয়ে যাওয়ার পর চিত হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর তুলতে হবে, এক থেকে ১০ বার পর্যন্ত। এর পর চিৎহয়ে শুয়ে থেকেই দুটো হাঁটুকে একসঙ্গে করে একবার বা-দিকে তারপর ডান দিকে ঝুঁকোতে হবে এক থেকে দশ বার পর্যন্ত।

হাঁটু ভাঁজ করে দুটো হাতে ধরে বুকের কাছ পর্যন্ত নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। একইভাবে দুই পায়ে করতে হবে, এক থেকে দশ বার পর্যন্ত। তারপর দুটো পা একসঙ্গে ভাঁজ করে দু’টি হাতে ধরে বুকের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে দশবার। এটা হয়ে গেলে চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে প্রথমে বাঁ পা তারপর ডান পা তুলতে হবে দশবার । এই ছ’টি ব্যায়াম নিয়মিত দু’বার সকাল ও বিকেলে করলেই দূর হয়ে যেতে পারে কোমরের ব্যথা। ডাঃ শান্তনু ভৌমিক বলেন, ” নিয়মিত এই ব্যায়াম করার পরেও কারও যদি ব্যথা না ঠিক হয়, তাহলে অবশ্যই নিকটবর্তী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে দেখানো এবং চিকিৎসকের কথা মতো চিকিৎসা করতে হবে।”

বুদ্ধদেব বেরা