মানিক সাহা

Tripura Flood: বন্যায় বিপন্ন ত্রিপুরাবাসী, মানিক সাহার আহ্বানে সাড়া কোন কোন রাজ্যের?

আগরতলা: বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বন্যায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিত্যদিন এগিয়ে আসছেন সমাজের বিভিন্ন পেশার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার আহ্বানে সাড়া দিয়ে একেবারে মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, নেতা, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ কার্যে সামিল হয়েছেন।

এবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিরসনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তিনি ৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এজন্য অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও সেই রাজ্যের সরকারকে ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা হলে কীভাবে মোকাবিলা? শিয়ালদহ ডিভিশনে যা হল না দেখলে বিশ্বাস হবে না!

 সম্প্রতি পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরা এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সামনে পড়ে। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলা। যদিও বন্যার ভয়াবহতা ব্যাপক আকার ধারণ করে গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায়। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে দুর্গত মানুষকে উদ্ধারে বায়ু সেনার হেলিকপ্টার-সহ লাইফ বোট, অতিরিক্ত এনডিআরএফ টিম-সহ সমস্ত ধরণের অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জাম পাঠানোর ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুন: ছোট্ট শরীরজুড়ে কাটা দাগ, বিপাশার মেয়ের জন্মের ৩ দিন পর জানা যায় মারাত্মক রোগের কথা! তারপর?

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় সেই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে রাজ্যের মানুষ। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখন রাজ্যের পুনর্গঠনে ও ত্রাণ কাজে গতি আনতে সমাজের সুশীল অংশ আর্থিক সহায়তা নিয়ে সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বুধবারও অব্যাহত থাকে বন্যা ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া। এদিন বন্যা ত্রাণে আর্থিক সহায়তা করেছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ও বিধায়ক দীপক মজুমদার – ১,০০,০০০ টাকা, শিবনগর মডার্ন ক্লাব ও আমরা তরুণ দল – ২৫,০০০ টাকা, রিক্রিয়েশন ক্লাব – ৫০,০০০ টাকা, নেতাজি প্লে সেন্টার – ২৫,০০০ টাকা, বড়দোয়ালি মন্ডল – ২০,০০০ টাকা, বড়দোয়ালি যুব মোর্চা – ৬,০০০ টাকা, ধর্মনগরের মৃণাল কান্তি দাস – ৫,০০০ টাকা, ডিডরাইটার্স এসোসিয়েশন – ১০,০০১ টাকা ও মুক্তি সংঘ – ১০,০০০ টাকা।

এর পাশাপাশি মেসার্স মুন্না ইন্ডাস্ট্রিজ – ১,০০১,০০০ টাকা, অল ত্রিপুরা রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন – ১,০০,০০০ টাকা, ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন অফ ফিজিওথেরাপিস্ট – ৫১,০০০ টাকা, স্মল ভেজিটেবল সমিতি – ৫০,০০০ টাকা, নব অঙ্গিকার সামাজিক সংস্থা – ২৫,০০০ টাকা, সুভাষ সংঘ ক্লাব (ভগবান দাস) – ৩০,০০০ টাকা, ভবনস ত্রিপুরা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ – ৪০,০০০ টাকা, অল ত্রিপুরা গভ: ডক্টর্স এসোসিয়েশন – ১,০০,০০০ টাকা এবং ত্রিপুরা তহশীল ফিল্ড স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন – ১,০০,০০১ টাকা বন্যা ত্রাণের জন্য আর্থিক সহায়তা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে তুলে দিয়েছে।

সেই সঙ্গে বিশালগড় বার  অ্যাসোসিয়েশন – ৫০,০০০ টাকা, রাম প্রসাদ ভূইয়া – ২৫,০০০ টাকা, বাদল চন্দ্র পোদ্দার – ২৫,০০০ টাকা, সৌমিত্র গোপ – ৫,০০০ টাকা, অল ত্রিপুরা টিচার্স এসোসিয়েশন – ১৫,০০০ টাকা,  হিরন্ময় পুরকায়স্থ – ১০,০০০ টাকা, দুলাল সাহা ও রাজেশ বণিক – ২৫,৫০০ টাকা, বিক্রম দত্ত – ২৫,০০০ টাকা, ভিকি প্রসাদ – ২৫,০০০ টাকা, কুলদীপ বণিক – ১০,০০০ টাকা, বিমল দাস – ১৫,০০০ টাকা, সমরেশ দে – ২০,০০০ টাকা, সুব্রত সরকার (হাইকোর্ট বার) – ২৫,০০০ টাকা, পদ্ম লোচন ত্রিপুরা – ১০,০০০ টাকা, মনীশ চন্দ্র রায়, ত্রিপুরা খবর – ১০,০০০ টাকা, সৈকত সাহা – ১০,০০০ টাকা, হীরক দ্যুতি নাথ – ১০,০০০ টাকা, সব্যসাচী দেব – ১১,০০০ টাকা, সুজিত সেন – ১০,০০০ টাকা, অর্ঘ্যদ্যুতি ক্লাব – ১১,১৫২ টাকা, বাদল ভৌমিক – ১৫,০০০ টাকা ও সুস্মিতা দেব – ৫,০০০, মন্ত্রী সান্তনা চাকমা টাকা আর্থিক সহায়তা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিয়েছেন।  বন্যা ত্রাণে মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য সকল দাতাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

আবীর ঘোষাল