Tag Archives: Manik Saha

Tripura: কিডনির চিকিৎসা এবার হবে ত্রিপুরাতেই! স্বাস্থ‍্য পরিষেবায় বড় উদ‍্যোগ

ত্রিপুরা: খুব শিগগিরই ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিতে শুরু হতে যাচ্ছে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা।

খুব শীঘ্রই সে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিতে শুরু হতে যাচ্ছে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। জিবি হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ১৮০ কোটি টাকা আর্থিক ব্যয়ে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

আগামীদিনে এই সুপার স্পেশালিটি ব্লকটি চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারে।  জিবি হাসপাতালের বিভিন্ন ব্লক সরেজমিনে ঘুরে দেখে এই তথ্য জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মাণিক সাহা।

আরও পড়ুন: আপনার খুব হাঁচি হয়? জানেন এই হাঁচির শুরু কবে, কেন? সামনে এল এক আশ্চর্য সত্য!

জিবির সুপার স্পেশালিটি ব্লক, নেফ্রলজি বিভাগ, জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টার, কার্ডিওলজি বিভাগ-সহ হাসপাতালের বিভিন্ন পরিকাঠামো পরিদর্শন করে যাবতীয় খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা।  রাজ্যের সকল অংশের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার।

এই দিশায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিতে বিভিন্ন অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ক্রমান্বয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জিবির এই সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দে বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। এই জায়গায় জিবির মেডিকেল সুপার ও ডেপুটি সুপারের অফিস স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৭টি সুপার স্পেশালিটির ওয়ার্ড ও আউটডোর এখানে করা হবে।

এই প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে করার কাজ চলছে। নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারি বিভাগও ঘুরে দেখেছি। বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিই। পরিষেবা ও পরিকাঠামো যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়েও হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়।

স্বাস্থ্য কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কথা হয়। পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়ে পূর্ত দপ্তরের কাজকর্ম নিয়েও অবগত হই। হাসপাতালে আয়রন মুক্ত পানীয়জল যাতে সরবরাহ করা যায় সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। মোট কথায়, চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা যা কাজ করতে হয় সেটা করা হবে।

Blood Crisis: রক্তের কোনও বিকল্প নেই, তীব্র গরমে পড়শি রাজ্যে বাড়ছে চাহিদা! পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর?

আগরতলা: রাজ্যে স্বেচ্ছা রক্তদানের রেনেসাঁসের ধারাকে আগামীতেও অব্যাহত রাখতে হবে। মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষায় রক্তদানে সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। রক্তের কোনও বিকল্প হয় না। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন হার্ট, কিডনি ইত্যাদির বিকল্প প্রতিস্থাপন করা যায়। কিন্তু রক্তের ক্ষেত্রে এসব করা সম্ভব নয়। একমাত্র একজন মানুষই রক্তদানের মাধ্যমে অন্যজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। তাই রক্তদানের মতো মহৎ দান অন্যকিছু হয় না। রাজ্যে রক্তদানের যে রেনেসাঁস তৈরি হয়েছে সেই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে হবে।

আগরতলার কৃষ্ণনগরস্থিত ম্যাগনেট ক্লাব সংলগ্ন বিজেপি রামনগর নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে বর্তমানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে। তাই এই সময়ে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে এই ধরনের রক্তদান শিবির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিভ পরিস্থিতির সময়েও রক্তদানের ক্ষেত্রে সারা দেশের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই রাজ্যের মানুষ। একজন রক্তদাতা চারজন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে পারেন। এখন অত্যাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রক্তের বিভাজন করে সেটা ভাগ করে দেওয়া যায়। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে এখন সেধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ৬টির মতো ব্লাড সেপারেশন সেন্টার রয়েছে।’

আরও পড়ুন: সন্তানকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে চান? KVS-এ পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন

তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যে বর্তমানে ১৪টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এরমধ্যে ১২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি। সব মিলিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রক্ত তো তৈরি করা যায় না। সেটা মানুষকেই এক অপরের জন্য দান করতে হয়। কারণ একই পরিবারের ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তের গ্রুপের মিল থাকে না। আবার দেখা যায় অন্য পরিবারের কারোর সঙ্গে রক্তের গ্রুপ মিলে যাচ্ছে। তাই রক্তের কোন ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গ হয় না। এখান থেকেই অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে যে, আমরা সবাই এক।’

আরও পড়ুন: কালো কুচকুচে লম্বা চুলের সৌন্দর্যই আলাদা, দামি প্রোডাক্ট নয়; ঘরোয়া এই ৫ উপকরণে ‘হাতেগরম’ সমাধান

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের বসবাস। তাই জনসংখ্যার দিক দিয়ে রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে এক শতাংশ রক্ত মজুত রাখতে হলে অন্তত ৪০ হাজার ইউনিট রক্ত থাকা প্রয়োজন। আর এটা সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় রক্তদানের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে স্বেচ্ছা রক্তদানে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ রক্তের কোনও বিকল্প নেই। মানুষের শরীরেই রক্ত তৈরি হয়। রক্তদানের মধ্যেই মানুষের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ও অনুভূতি তৈরি হয়। এর কোনও ধর্ম বর্ণ হয় না। জীবনের শ্রেষ্ঠ দান ও মহৎ দান হচ্ছে রক্তদান।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি বিশ্বাস করে সেবাই আমাদের ধর্ম। আর সেবার জন্যই আমাদের সংগঠন। ভারতীয় জনতা পার্টি রাজনৈতিক সংগঠন হলেও সবসময় সামাজিক কাজ করে থাকে। বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের জন্য কাজ করি আমরা।’ স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরে যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসেন এবং যারা রক্ত সংগ্রহ করতে আসেন তাদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আবীর ঘোষাল

Manik Saha: তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা 

ত্রিপুরাঃ দেশের সুরক্ষা এবং দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৩৭০ এর টার্গেট একাই পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি, প্রচার শেষে বক্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। দেশের সুরক্ষা এবং দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন এই নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলে আগামী ১ হাজার বছরে দেশ কোন দিশায় এগিয়ে যাবে তার মার্গ দর্শন দেখাবেন তিনি। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যে ৩৭০ এর টার্গেট দিয়েছেন সেটা ভারতীয় জনতা পার্টি একাই পাবে। আর সহযোগী দলগুলিকে নিয়ে ৪০০’র অধিক আসনে জয়লাভ করবে।

আরও পড়ুনঃ সুখবর! রেলপথে কামাখ্যা-সহ অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বাড়ছে

 পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উনকোটি জেলার কুমারঘাটে আয়োজিত মেগা রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সরব প্রচারের অন্তিম দিনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজ্যের দুটি লোকসভা আসনে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনকে ঘিরে আজ ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে সুবিশাল পদযাত্রা হয়েছে। মানুষ আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যে খুবই ভালবাসেন আজ সেটা আবার প্রকট হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল পশ্চিম আসনের নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যায় ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়। যা ৮১ শতাংশেরও বেশি। আর পূর্ব ত্রিপুরা আসনের নির্বাচনেও ৮১ শতাংশ কিংবা এর অধিক ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী যে বিকাশ যাত্রা শুরু করেছেন তার সুফল পাবেন মানুষ।’

প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ’এই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ১ হাজার বছরে দেশ কোনদিকে যাবে তার রূপরেখা নির্ধারিত হবে। যার মার্গ দর্শন দেখাবেন মোদি নিজেই।’ প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সম্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘বিগত ১০ বছরে দেশের উন্নয়নে তিনি যে কাজ করেছেন সেটা ছবির ট্রেলার মাত্র। পুরো পিকচার এখনো বাকি। ভারত এখন জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিতে চলেছে। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে।’

Tripura News: লক্ষ্য আদিবাসী-জনজাতি ভোট, প্রচারে জোর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনকালে জনজাতিরা পেয়েছেন সম্মান ও গৌরবময় জীবনের গ্যারান্টি। ভোটকে সামনে রেখে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইন্ডি জোট গঠন করেছে বিরোধীরা ৷ প্রচারে বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে জনজাতিরা পেয়েছেন সম্মান ও গৌরবময় জীবনের গ্যারান্টি। তাই আরও একবার মোদি সরকারকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। একমাত্র মোদির নেতৃত্বেই জনজাতিদের উন্নয়ন হবে। কংগ্রেস কিংবা ইউপিএ সরকার জনজাতি উন্নয়নে কিছুই করেনি। আর এখন ভোটকে সামনে রেখে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইন্ডি জোট গঠন করেছে তারা।’’ লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত এবং আইপিএফটি তিপ্রা মথা সমর্থিত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উত্তর জেলার কাঞ্চনপুরে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা ! আরও বাড়বে গরম, আগামী ৩ দিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা !

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে ব্রু রিয়াংদের শরণার্থী বলে আখ্যায়িত করা হত। কিন্তু তারা এখন আর শরণার্থী নয়। তারাও ত্রিপুরায় বসবাসকারী মানুষ। তাদের সঠিক পুনর্বাসনের জন্য যা যা করার দরকার সেটা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের ১২টি জায়গায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের জন্য এই এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ অনেকেই আমার সাথে দেখা করেছেন। আমিও দিল্লি গিয়ে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি।’’

ডাঃ সাহা এদিন বলেন, ‘‘সমস্যা থাকবে। আর সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বতন কমিউনিস্ট সরকার শুধু সমস্যা জিইয়ে রাখতো। যে কারণে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ব্রু রিয়াংদের সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয় নি তারা। এতদিন ধরে তারা শুধু কুম্ভীরাশ্রু ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন জনজাতিদের অবশ্যই উন্নয়ন করতে হবে। অন্যথায় দেশ উন্নত হবে না। সেই দিশায় কাজ করছেন তিনি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্রু রিয়াংদের দ্রুত পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষ এখন খুব খুশি। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীও তাদের সমস্যা নিরসনে খুবই আন্তরিক।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৪ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই করতে পারেন। কেন্দ্রে দীর্ঘ বছর কংগ্রেস কিংবা ইউপিএ সরকার থাকলেও কোনও সরকার জনজাতিদের উন্নয়নে নজর দেয়নি। এমনকী, জনজাতিদের উন্নয়নে আলাদা করে কিছু করে নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী থাকার সময়ে ট্রাইব্যাল মিনিস্ট্রি গঠন করা হয়। অটলজি ছিলেন একজন সর্বজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতিও ছিলেন। তাঁর চিন্তাভাবনাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উন্নয়নের গ্যারান্টি দিচ্ছেন মোদি। সকল অংশের মানুষের সমস্যা সমাধানের গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। আর সেই গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যে গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি দিচ্ছেন এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের নির্বাচন। দেশ শক্তিশালী হলেই তবে রাজ্যও শক্তিশালী হবে এবং উন্নতি হবে। তবেই মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।’’

Lok Sabha Elections 2024: প্রচারে বেরিয়ে INDIA জোটকে তীব্র আক্রমণ মানিক সাহার, দ্বিতীয় দফায় ফুল ফর্মে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, মোদির সপক্ষে সওয়ালে চড়া সুর

আগরতলা: দুর্নীতিমুক্ত দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করুন। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতি নিছক নাটক ছাড়া কিছুই নয় প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছেন নির্বাচনের মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য এবং প্রতিশ্রুতি নিছক নাটক ছাড়া কিছুই নয়। মানুষ এখন আর তাদের কথায় বিশ্বাস করে না। তাদের কাছে মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য কোন ইস্যু নেই। এই লোকসভা নির্বাচন দেশের উন্নয়নের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করার নির্বাচন।”

ধলাই জেলার সুরমায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে নির্বাচনকে ঘিরে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আগরতলা এসে বলেছেন ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’

মানিক সাহা তাঁর ভাষণে বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় ছিল। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতির সাক্ষী হয়েছে দেশ। সেসময় সীমান্তে আমাদের সৈন্যদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। সংসদ ভবন আক্রমণের শিকার হয়েছিল। একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করেছিল তখন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয়। অতীতে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কিভাবে ইউপিএ সরকারের আমলে চিন আমাদের ভূখণ্ড দখলের প্রয়াস করেছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন কেউ এই সাহস দেখায়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়েছেন উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি হিরা মডেল এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি চালু করেছেন। “

আরও পড়ুন: ফ্যানের স্পিড কমালে কি ইলেকট্রিক বিল কম আসে? কোন ‘নম্বরে’ ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ খরচ কমে? জেনে নিন বিল বাঁচানোর সুপারহিট ফর্মুলা

 এর পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কী ভাবে জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন সেবিষয়ে আলোচনা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোট দাবি করে যে এখানে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু এখন তাদের সমাবেশে যোগ দিতে কিংবা বক্তৃতা শুনতে কেউ আর আসে না। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে তাদের প্রতিশ্রুতিগুলি নিছক নাটকীয়।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের নির্বাচনে মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। ত্রিপুরায় সর্বোচ্চ ভোটের রেকর্ডও হয়েছে এবং মানুষ পূর্ব লোকসভা আসনের জন্যও বিপুল সংখ্যক ভোট দেবেন। সিপিএম ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জনজাতি সম্প্রদায়কে এতদিন শোষণ করে এসেছে। কমিউনিষ্ট ও কংগ্রেস জমানায় ত্রিপুরার মানুষ হিংসা ও অস্থিরতা প্রত্যক্ষ করেছে। তাই এখন তারা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছেন। তাই উন্নত এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে, আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”

Manik Saha BJP Campaign: মানুষ মোদিকেই তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়’ দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে মাণিক সাহা

আগরতলা : রাজ্যে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে লংতরাইভ্যালি মহকুমার ছৈলেংটায় আয়োজিত রোড শোয়ে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি নিয়ে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

তিনি প্রচারের সভায় বললেন, “মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং দেশ শক্তিশালী হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে সকলের উন্নয়ন। জাতি-জনজাতি সকল অংশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের আরেক নাম প্রধানমন্ত্রী মোদি।”

আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত লোকসভা আসনের নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে চলছে জোর প্রচার। তবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে প্রচারের ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। যার নেতৃত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। নির্বাচন ঘোষণা হতেই ধর্মনগর থেকে আগরতলা, আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ। আর সেই আসনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ছামনু বিধানসভা কেন্দ্রের ছৈলেংটা এলাকায় সুবিশাল রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই যাই সেখানেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দেশ ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থনে সারা রাজ্যেই জনস্রোত হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনেও মানুষ আমাদের প্রবল সমর্থন করেছে। পূর্ব ত্রিপুরা আসনেও একইভাবে মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এই নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, ছামনু এলাকার বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, যুব নেতা নবাদল বনিক সহ জেলা ও মণ্ডল স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন এই সুবিশাল পদযাত্রা এলাকার বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে।

Lok Sabha Election 2024: হিংসামুক্ত নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের করলেন মানিক সাহা!

ত্রিপুরা: প্রচারে বেরিয়ে সরব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।  তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের কোন ভিত্তি নেই, তারা শুধু বিভ্রান্তি তৈরি করে৷’ ২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচনের আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা, বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ  মুখ্যমন্ত্রীর।  তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচন করে আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা। কীভাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা যায় সেটা এই সরকার করে দেখিয়েছে। কমিউনিষ্ট – কংগ্রেসের কুশাসন, রাজনৈতিক হিংসা এবং নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হয়ে এখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরাবাসী। এর ফলে উন্নত হচ্ছে জনজাতিদের জীবনমান। সুশাসনের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে মোদি সরকারই একমাত্র ভরসা।’

আরও পড়ুনঃ ‘টুম্পা সোনা’-র পর জামাল কুদু! ফের প্যারোডি গানে বিজেপি-তৃণমূলকে কটাক্ষ বামেদের

লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে ধলাই জেলার করমছড়ায় আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে  একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃমানিক সাহা।

সমাবেশে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য বিরোধী দলগুলির প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। কারণ তাঁরা এই ইন্ডিয়া জোট সঠিকভাবে গঠন করতে পারেনি। কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর ত্রিপুরায় তাঁরা একসঙ্গে লড়ছে। তাই এই জোটের কোন ভিত্তি নেই।’

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে পড়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আসার পর সবকিছু বদলে গেছে। আগে গোটা দেশ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু এখন সর্বত্র শান্তি সুস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে অন্যান্য দেশের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মিস্টার বস বলে সম্মান করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় মহিলা, যুবক, কৃষক এবং দরিদ্রদের জন্য কাজ করেন। তিনি বলছেন যে এই চারটি শ্রেণীর বিকাশ হলে দেশ উন্নত হবে না। আগে অনেক মানুষ উত্তর-পূর্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন এবং আমাদের হিরা মডেল, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি দেন। এগুলির কারণেই আমরা ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছি।’

সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলগুলির কাজই হচ্ছে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সিপিএমের শাসনামলে এই রাজ্যে কীভাবে হিংসার ঘটনা হতো। তখন বিরোধী দলের নেতাদের রাজ্য পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে শান্তির পরিবেশ কায়েম রেখেছে। একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য এই লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে, দুর্নীতিমুক্ত ভারত গঠন করতে এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধীরা দাবি করছে যে ত্রিপুরায় নাকি গণতন্ত্র নেই। কিন্তু তাদের সময়ে বহু মানুষ খুন হয়েছে। এমনকি তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত খুন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদেরও খুন করা হয়েছে। এই নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক খুনের মামলাগুলি পুন:তদন্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ডাঃ সাহা বলেন, ‘এই সরকার সর্বদা জনগণের সমস্যা সমাধানে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হিংসা মুক্ত নির্বাচনের আরো একটি ইতিহাস তৈরি করেছে। ২০২৩ সালের পরে গতকাল আবারও ইতিহাস তৈরি হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নির্বাচনে সহিংসতার একটি ঘটনাও ঘটেনি। আমাদের দল হিংসার তীব্র বিরোধিতা করে। বিজেপি, আইপিএফটি ও তিপ্রা মথা মিলে ঐক্যবদ্ধ ত্রিপুরা ও উন্নত ত্রিপুরা গড়তে কাজ করবে।’

Tripura News: নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা মিথ্যা কথা বলছেন, অভিযোগ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: ‘‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীদের পায়ের তলায় জমি নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য ৷’’ দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। তাদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে বিগত ১০ বছর ধরেই তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

আরও পড়ুন- কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গেল পারদ ! সাত জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে আরও কতদিন?

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উত্তর জেলার পানিসাগরে আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিজেপির পানিসাগর মন্ডলের উদ্যোগে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পানিসাগরে ইতিমধ্যেই জুডিশিয়াল কোর্ট, নতুন ব্লক ভবন এবং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের জন্য আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। আসন্ন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্যান্য নির্বাচনের মতো ভাবলে হয়তো ভুল হবে। আমাদের সকলকে এই নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সম্বোধন করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন মানুষের কাছে গিয়ে বলতে যে, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমাদের পাঠিয়েছেন। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কী করেন নি তিনি।’’

আরও পড়ুন– বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামে রাজ কুন্দ্রা জড়িয়ে গেলেন কীভাবে? শিল্পা শেঠির স্বামীর বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?       

মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমরা বামেদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ-সহ অজস্র অভিযোগ ছিল। সেই অপশাসন থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কোটি কোটি প্রণাম। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচন করতে হয় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচন কোন ধরণের অঘটন ছাড়াই একেবারে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার নেতৃত্ব কখনো অশান্তিকে সমর্থন করে না। আজকে প্রথম দফার নির্বাচনেও মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। চারদিকেই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। অথচ এই ভোট নিয়ে বিরোধী দলের কিছু নেতা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। কারণ তাদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই পরিকল্পনা মাফিক বিভ্রান্তি তৈরি করতে এসব অভিযোগ তুলছেন তারা। আর এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’’

Tripura News: ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর জন্য লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রচারে বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা: ‘‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের গ্যারান্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যা ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলার সঙ্কল্পকে সফল করতে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আরও শক্তিশালী করবে।’’ উনকোটি জেলার কুমারঘাটে পূর্ত দফতরের মাঠে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের যে আস্থা ও সমর্থন, তাতে আগামী ৪ জুন কি ফলাফল হতে চলেছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন- ৪২ ডিগ্রির ঘরে দক্ষিণবঙ্গের পারদ! সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?

সভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘গত ২৮ মার্চ পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিজেপি, আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথার কর্মী সমর্থকদের বিশাল সমাবেশ ও সমর্থন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এত মানুষের আস্থা ও সমর্থন থেকে নির্বাচনের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে সেটা একপ্রকার পরিষ্কার। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও একই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের গ্যারান্টিকে সামনে রেখে এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের সঙ্কল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য আসন্ন এই নির্বাচনের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৬ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা         

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। মনে রাখতে হবে, আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যাতে আমরা আরও উন্নয়নের সাক্ষী হতে পারি। আসন্ন নির্বাচনে আমাদের জয় নিশ্চিত।’’ দেশ ও রাজ্যকে আরও বিকাশের দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান ড. সাহা।

Lok Sabha Election 2024: ‘বাম আমলের রাজনৈতিক খুনের মামলা গুলি পুনরায় খোলা হবে’, নির্বাচনের প্রচারে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহার

ত্রিপুরা:  ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা ভোট প্রচারে বলেন যে তিনি সিপিআইএম-এর শাসনকালে ঘটে যাওয়া সমস্ত রাজনৈতিক হত্যা মামলা পুনরায় খোলার বিষয়ে বিবেচনা করছেন এবং লোকসভা নির্বাচনের সমাপ্ত হবার পরেই আইন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তিনি এই বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন।

প্রসঙ্গত  আগরতলার শান্তিপাড়ায় আয়োজিত একটি নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ডঃ সাহা বলেন যে “বিজেপি কার্যকর্তাদের একটি পার্টি এবং আসন্ন নির্বাচনে সবাই একত্রিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য জনগণের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য কাজ করছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বিজেপি সবসময়ই নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়।  আমরা আমাদের বিজয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং ভোটের হার বাড়াতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানেই গ্যারান্টি কারণ তিনি সবসময় বিকাশের জন্য কাজ করেন।  প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করেন।”

আরও পড়ুন: ৩১-এর সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী! হয়ে গেলেন ‘কল গার্ল’? মন খুলে বললেন,‘আমি খুব খুশি’, আসল ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

তিনি আরোও বলেন “২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর  কংগ্রেস আমলের একাধিক দুর্নীতির কবল থেকে ভারত বেরিয়ে এসেছে। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই INDI জোট গঠন করেছে।এই ইন্ডি জোট শীঘ্রই ভেঙে পড়বে।  তাদের নিজেদের মধ্যেই বোঝাপড়া নেই।

ডঃ সাহা আরও জানান  “আমরা দেখেছি সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের শাসনামলে কীভাবে হিংসার বাতাবরন ছিলো।  তারা এখন একত্রিত হয়েছে। তারা সিপিআইএম-কংগ্রেস জোট বলতে লজ্জা বোধ করেন।  তারা জনগণকে বোকা বানাচ্ছে।

সিপিআইএম-এর বিরোধিতা করায় বহু লোককে হত্যা করা হয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরায় যারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে, সিপিআইএমের লোকেরা তাদের মেরেছে। শুধু তাই নয় দুই দলেরই বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ অনেক লোকেকেই তারা খুন করেছে, এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের ৩৫ বছরের শাসনে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর, আমি ত্রিপুরায় সমস্ত রাজনৈতিক হত্যা মামলা খোলার ব্যাপারে ভাবছি এবং আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব।

তিনি শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং শিল্প ধ্বংস করার জন্য সিপিআইএম-এর তীব্র সমালোচনা করেন। “আমরা যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে হবে,” বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।