কিডনিতে পাথর মানে ব্যথা, যন্ত্রণায় জেরবার অবস্থা। ইদানীং এই রোগ খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। পাথর অপসারণে কাঁড়ি কাঁড়ি ট্যাবলেট খান অনেকেই। কেউ কেউ আবার আয়ুর্বেদের শরণাপন্ন হন। কারও উপশম হয়, কারও হয় না।
কিডনিতে অনেক রকমের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে কিডনিতে পাথর সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। চিকিৎসকরা বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে একবার কিংবা দু’বার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের বিভিন্ন ওষুধও রয়েছে। এতে কাজ না হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।
পাথরের চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ বলে মানা হয় সঙ্গেশ্বর মাহি-কে। এটা সহজেই শরীর থেকে যে কোনও ধরণের পাথর বের করে দেয়। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। মাছের মাথা থেকে সংগ্রহ করা হয় এই ওষুধ। মূলত ইউনানি চিকিৎসাতেই এর প্রচলন রয়েছে। পাথর দূর করার পাশাপাশি এই ওষুধ কিডনিকেও শক্তিশালী রাখে।
খেকরার রঞ্জিত সিং মেমোরিয়াল ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ রাঘবেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ইউনানি ওষুধ তৈরিতে সঙ্গেশ্বর মাহি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল আকারে বাজারেও পাওয়া যায়। মাছের মাথা থেকে সংগ্রহ করা হয় এই দ্রব্য। দেখতে পাথরের মতোই। বাজারেও সহজলভ্য। যে কোনও ধরণের পাথর অপসারণে এই ওষুধ ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
আরও পড়ুন : শিঙাড়ায় নেই আলু! তবুও উপচে পড়ছে ক্রেতাদের ভিড়! কীসের টানে? জানলে চমকে যাবেন
সঙ্গেশ্বর মাহি প্রথমে শরীরের পাথরকে ভাঙে। তারপর প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। ছোট পাথরের ক্ষেত্রে একটা বা দুটো ডোজেই চমৎকার কাজ হয়। এই ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। বড় পাথর অপসারণেও এটা সমান কার্যকর। তবে সেক্ষেত্রে একাধিক ডোজের প্রয়োজন হত পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ রাঘবেন্দ্র চৌধুরী বলছেন, এই ওষুধ ব্যবহার করাও খুব সহজ। ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। বিক্রি হয় মুদির দোকানেও। দেখতে অনেকটা সাদা রঙের পাথরের মতো। ভাল করে পিষে এর রস ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দই এবং বাটার মিল্কের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।