মোহনবাগানের ভরসা গ্রেগ স্টুয়ার্ট৷

Durand Cup final: ডুরান্ড জিততে মোহনবাগানের ভরসা গ্রেগ স্টুয়ার্টের পা আর বিশাল কাইথের হাত!

কলকাতা: কোয়ার্টার ফাইনাল হোক কিংবা সেমিফাইনাল। ডুরান্ড কাপের নক আউটের দুটি ম্যাচেই টাইব্রেকারে বাজিমাত করেছে মোহন বাগান। বিশাল কাইথের জোড়া হাতে দুটো ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করেছে সবুজ মেরুন। তাই বাগান সমর্থকদের আশা ভরসার নাম বিশাল কাইথ। ১৮ তম ডুরান্ড জিততে ডিফেন্সের শেষ প্রহরী বিশালের উপরেই আস্থা রাখছেন বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে বিশাল ছাড়াও মোহনবাগানে ভরসা জোগাচ্ছেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। স্কটিশ ফুটবলারটি নতুন মরসুমে সবুজ মেরুন জার্সিতে শুরু থেকেই বেশি উজ্বল। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে দলের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর স্টুয়ার্টের মাঠে অন্তর্ভুক্তি খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। নিজে গোল না করলেও দলের আক্রমণের ঝাঁঝ স্কটিশ ফুটবলারের পা থেকেই তৈরি হয়েছিল। তাই আরও একবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ফের জ্বলে উঠতে চান স্টুয়ার্ট। তবে পরিবর্ত হিসেবে নয়, শুরু থেকেই মাঠে নামতে চান এই স্কটিশ ফুটবলার।

আরও পড়ুন: নিজেদের রেকর্ড ভেঙেই নতুন ইতিহাস তৈরির হাতছানি মোহনবাগানের, প্রথমবার ফাইনালে ওঠা নর্থ ইস্টের ভাবনায় শুধুই জয়

নতুন দলে এসে মরসুমের প্রথম ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। কোচ হোসে মোলিনার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে স্কটিশ মিডফিল্ডর জানান,“আমরা জানি ফাইনাল ম্যাচের গুরুত্ব। আমরা সবাই লড়াই করব ট্রফি জেতার জন্য। আমার, দিমিত্রিয়াস এবং কামিিংসের রসায়ন খাতায় কলমে খুব ভাল। কিন্তু আমরা সর্বপ্রথম একটা দল হিসেবেই খেলতে চাই।”

ডুরান্ড কাপকে সব দলই প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হিসেবে দেখে থাকে। আইএসএলের আগে গুছিয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতা বলে কোনও দলকেই প্রত্যাশিত ছন্দে পাওয়া যায় না। সেকথা মাথায় রেখেই গ্রেগ স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন,“আমাদের দলটা নতুন এবং কোচও নতুন। আমরা সবে মাত্র ৩, ৪ সপ্তাহ একসঙ্গে অনুশীলন করছি। আমরা এখনও শিখছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুই স্ট্রাইকারের পিছনের পজিশনেই খেলতে চাই। কিন্তু কোচ যেখানে চাইবেন আমি সেখানেই খেলব। ”

এখনও পর্যন্ত বারোটি গোল করলেও মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট গোল হজম করেছে প্রতিটি ম্যাচে। স্টুয়ার্ট বলছেন,“ গোল খাওয়ার মানে এই নয় যে আমাদের ডিফেন্স খারাপ।সেক্ষেত্রে সবারই ভুল রয়েছে। আমরা একটা দল হিসেবেই খেলছি।” কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে গোলরক্ষক বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত হাত জয়ের আলো ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে সবুজ মেরুনের ঘরে। গোলরক্ষকের প্রশংসা স্টুয়ার্টের মুখে। বলছেন, “বিশাল দারুন খেলছে। কিন্তু কালকের ম্যাচ আমরা ৯০ মিনিটেই শেষ করতে চাই।”