Tag Archives: Mohun Bagan

Mohun Bagan: আইএসএল ফাইনালে প্রথমার্ধে কামিন্সের গোলে এগিয়ে মোহনবাগান, চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে ৪৫ মিনিট দূরে সবুজ-মেরুণ

কলকাতা: আইএসএল ফাইনালের প্রথমার্ধেই দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াপ গন্ধ পাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে দর্শকের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে ফাইনালের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। গোল করে মোহনবাগানকে লিড এনে দিয়েছেন জেসন কামিংস। ফের একবার মরশুমে ত্রিমুকুট জিতে ইতিহাস গড়ার দোরগোড়ায় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।

এদিন যুবভারতীতে টানটানভাবে শুরু হয় আইএসএল ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে খেলা। দু দলই একাধিকবার গোল করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। বেশি আক্রমণ করে মুম্বই। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারছিল না কোনও দলই। তবে বল পজিশন ও গোলমুখী শট মোহনবাগানের থেকে বেশি ছিল মুম্বই সিটি এফসির। কাজের কাজটা করে ফেলে মোহনবাগান।

আরও পড়ুনঃ KKR News: মিচেল স্টার্কের ভাগ্য ফেরালেন অন্য একজন! কেকেআর ফ্যানেরা বলছেন ‘লাকি চার্ম’

ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের শেষ মুহূর্তে মোহনবাগানেপ হয়ে গোলের মুখ খোলেন জেসন কামিন্স। দুরন্ত গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ইনজুরি টাইমে গল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা করে মুম্বই সিটি এফসি। তবে গোলের মুখ আর খোলেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালে বিরতিতে গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আর ৪৫ মিনিট লিড ধরে রাখতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।

ISL Final 2024: আজ আইএসএলের ফাইনালে মুখোমুখি দুই যুযুধান-Mohun Bagan ও Mumbai City FC

ISL Final 2024 : আজ আইএসএলের ফাইনাল। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। ঘরের মাঠে ফাইনালে নামবে Mohun Bagan। মুখোমুখি দুই যুযুধান-মোহনবাগান ও মুম্বই সিটি এফসি। ২৩ বছর পর ত্রিমুকুট জেতার সামনে দাঁড়িয়ে মেরিনার্স। দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch bangla news video)৷

Mohun Bagan vs Odisha FC: আইএসএল সেমির প্রথম পর্বে হার মোহনবাগানের, ঘরের মাঠে মরণ-বাঁচন ম্যাচ সবুজ-মেরুণের

কলিঙ্গ: আইএসএল সেমিফানালের প্রথম পর্বটা ভাল গেল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। অ্যাওয়ে ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়াতে হল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের দলের। ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়ে সেই লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বাগান। প্রথমার্ধেই ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল না হলেও একটি করে লাল কার্ড দেখল উভয় দল। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে জিতে মাঠ ছাড়ল সার্জিও লোবেরোর ওড়িশা এফসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। গোলের মুখ খোলার জন্য বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। তিন মিনিটের মাথায় মনবীরের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। কর্নার থেকে পেত্রাতসের ভাসানো বল হেডে ওড়িশা এফসির জালে জড়িয়ে দেন মনবীর। যদিও লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান।

গোল খাওয়ার পরে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে বাগানের ডিফেন্সে। ১১ মিনিটের মাথায় ডেলগাডোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি। ১০ মিনিটের মাথায় ওড়িশার একটি দুরন্ত আক্রমণ প্রতিহত করে মোহনবাগান। গোললাইন সেভ হয় সেক্ষেত্রে। তবে ঠিক পরক্ষণেই জাহউয়ের পাস থেকে গোল করেন ডেলগাডো।

ম্যাচে সমতা ফেরার পর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কাজের কাজটা করে যান রয় কৃষ্ণা। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল হেডে রিসিভ করেন রয় কৃষ্ণা। তিনি দৌড়ে গিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকেই বাগান গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। পায়ের আলতো টাচে বিশালের পাশ দিয়ে বল বাগানের জালে জড়িয়ে দেন। এরপর আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ওড়িশা এফসি।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লিড ধরে রাখার জন্য অনেক বেশি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে ওড়িশা। মোহনবাগান গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও ওড়িশার ডিফেন্সের প্রাচীর ভাঙতে পারেনি। উল্টে মাথা গরম করে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মোহন স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুকে। এরপর বক্সের মধ্যে হ্যান্ড বল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বাইরে যান ডেলগাডো।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই ভারতের পরবর্তী অধিনায়কের নাম ঘোষণা? মহাচমক ভারতীয় তারকার

ম্যাচের শেষের দিকে সমকা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। অনিরুদ্ধ থাপার শট পোস্টে গেলে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে ফাইনালে ওঠার লড়াই পিছিয়ে থাকল মোহনবাগান। ২৮ তারিখ রবিবার কলকাতায় দ্বিতীয় লেগের খেলা। ঘরের মাঠে জয় ছড়া গতি নেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের।

Mohun Bagan vs Odisha FC: শুরুতে গোল করেও লিড রাখতে পারল না মোহনবাগান, প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড

কলিঙ্গ: আইএসএলের সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মোহনবাগান ও ওড়িশা এফসির। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচে তুল্যমূল্য লড়াই দিলেও পিছিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলার ফল ২-১। মনবীর সিংয়ের গোলে প্রথমে লিড নেয় হাবাসের দল। সেই গোল শোধ করে ওড়িশাকে ঘরের মাঠে সমতায় ফেরান ডেলগাডো। রয় কৃষ্ণার গোলে লিড নেয় সার্জিও লোবেরোর দল।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। গোলের মুখ খোলার জন্য বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। তিন মিনিটের মাথায় মনবীরের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। কর্নার থেকে পেত্রাতসের ভাসানো বল হেডে ওড়িশা এফসির জালে জড়িয়ে দেন মনবীর। যদিও লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান।

গোল খাওয়ার পরে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে বাগানের ডিফেন্সে। ১১ মিনিটের মাথায় ডেলগাডোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি। ১০ মিনিটের মাথায় ওড়িশার একটি দুরন্ত আক্রমণ প্রতিহত করে মোহনবাগান। গোললাইন সেভ হয় সেক্ষেত্রে। তবে ঠিক পরক্ষণেই জাহউয়ের পাস থেকে গোল করেন ডেলগাডো।

ম্যাচে সমতা ফেরার পর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কাজের কাজটা করে যান রয় কৃষ্ণা। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল হেডে রিসিভ করেন রয় কৃষ্ণা। তিনি দৌড়ে গিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকেই বাগান গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। পায়ের আলতো টাচে বিশালের পাশ দিয়ে বল বাগানের জালে জড়িয়ে দেন। এরপর আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ওড়িশা এফসি।

ISL Champion Mohun Bagan: ভারতসেরা বাংলার ফুটবল, এল মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা, খুশি দলের কর্ণধারও

কলকাতা: স্বপ্ন বোনা চলছিল, আর সোমবার রাতে সেই স্বপ্নকেই বাস্তব করল হাবাসের ছেলেরা৷ এর আগে অ্যান্তেনিও লোপেজ হাবাসের হাত ধরে এটিকে আইএস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷  আইএসএল জেতার সৌভাগ্য আগেই হয়ে গিয়েছিল  মোহনবাগানের,  তবে এতদিন অধরা ছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড খেতাব জয়। অবশেষে সেই ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল মোহনবাগান।

এদিনের মোহনবাগানের জয়ে ফের একবার ভারতের মানচিত্রে নিজেদের জয়ডঙ্কা বাজাল বাংলা ফুটবল৷ বাংলার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের এই সাফল্যে সকলেই উচ্ছ্বসিত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগানের জয়ের পরে সকলকে শুভেচ্ছা জানান৷

 

নিজের ট্যুইটবার্তায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিষ্ঠা, একাগ্রতা, এবং কঠিন পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য৷ দলের জয়ের এই কৃতিত্ব তিনি দলের সদস্য, স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট ও সমর্থকদের জানিয়েছেন৷

এদিকে দলের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও নিজের  দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত৷ তিনিও সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় নিজের আবেগ শেয়ার করেছেন৷

 

 

এদিকে সোমবার কলকাতায় ডু অর ডাই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে পৌছাল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। একইসঙ্গে লিগ শিল্ড জিতল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে গোল জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও জেসন কামিংস।

আরও পড়ুন- ISL 2024: আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান, তৈরি হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড, কুর্নিশ

লিগ শিল্ড জিততে হলে মুম্বইকে হারাতেই হত মোহনবাগানকে। অপরদিকে, ড্র হলেই খেতাব জয় হয়ে যেত মুম্বই সিটি এফসির। আর শুরুর দিকে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। বাগান কোচ হাবাস ডাগআউটে ফেরার আত্মবিশ্বাস প্রভাব ফেলে দলের খেলাতেও। যার ফল মেলে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। পেত্রাতোসের পাস থেকে মুম্বইয়ের বিপিনকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসে। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চললেও আর গোল আসেনি। ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। কিন্তু ডিফেন্সিভ না হয়ে আক্রমণ জারি রাখে মোহনবাগানও। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সময় দুই দলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই হয়। কিন্তু ম্যাচের ৮০ মিনিটে পের গোলের মুখ খুলে ফেলে মোহনবাগান। কামিন্স ও পেত্রাতোস এক-অপরের মধ্যে পাস খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। আর সেখান থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জেসন কামিন্স।

২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়েই গিয়েছিল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ছাংতে একটি গোল করে মুম্বইয়ের হয়ে ব্যবধান কমায়। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না মুম্বইকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। ম্যাচ শেষে সেলিব্রেশনে মাতেন বাগান খেলোয়াররা। লিগ-শিল্ড জেতার ফলে পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও পেয়ে গেল মোহনবাগান।

ISL 2024: লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান, তৈরি হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড, কুর্নিশ

: পয়লা বৈশাখের পর যা লক্ষ লক্ষ মোহনবাগান সমর্থক যা আশা করেছিল তাই স্বপ্নপূরণ হল৷  একক লিগ অভিযানে সবচেয়ে বেশি জয়ের ক্লাব রেকর্ড করেছে মোহনবাগান। Photo Credit: FSDL/ISL Media
: পয়লা বৈশাখের পর যা লক্ষ লক্ষ মোহনবাগান সমর্থক যা আশা করেছিল তাই স্বপ্নপূরণ হল৷  একক লিগ অভিযানে সবচেয়ে বেশি জয়ের ক্লাব রেকর্ড করেছে মোহনবাগান। Photo Credit: FSDL/ISL Media
এদিন মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে  জয়ের সঙ্গে মোহনবাগান আইএসএলের লিগ পর্বে রেকর্ড ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এটি এক মরশুম ক্লাবের রেকর্ড পয়েন্টও। মোহনবাগানের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ট্যালি পূর্বে ন্যাশানাল ফুটবল লিগে  ১৯৯৯-০০ মরসুমে ৪৭ পয়েন্ট ছিল।
এদিন মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে  জয়ের সঙ্গে মোহনবাগান আইএসএলের লিগ পর্বে রেকর্ড ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এটি এক মরশুম ক্লাবের রেকর্ড পয়েন্টও। মোহনবাগানের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ট্যালি পূর্বে ন্যাশানাল ফুটবল লিগে  ১৯৯৯-০০ মরসুমে ৪৭ পয়েন্ট ছিল।
মোহনবাগান ৬টি লিগ শিরোপা জিতেছে, ভারতীয় ফুটবলে একটি নতুন রেকর্ড।
মোহনবাগান ৬টি লিগ শিরোপা জিতেছে, ভারতীয় ফুটবলে একটি নতুন রেকর্ড।
মোহনবাগান মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়ের রেকর্ড করে আইএসএল শিল্ড তুলল।
মোহনবাগান মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়ের রেকর্ড করে আইএসএল শিল্ড তুলল।
মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম এনএফএল এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল
মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম এনএফএল এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল, মোহনবাগান হয়ে বাংলায় প্রথম আই লিগ এসেছিল

Mohun Bagan: ফের ভারত সেরা মোহনবাগান! মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জিতল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড

কলকাতা: আইএসএল জেতার সৌভাগ্য আগেই হয়ে গিয়েছিল। তবে এতদিন অধরা ছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড খেতাব জয়। অবশেষে সেই ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল মোহনবাগান। কলকাতায় ডু অর ডাই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে পৌছাল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। একইসঙ্গে লিগ শিল্ড জিতল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে গোল জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও জেসন কামিংস।

লিগ শিল্ড জিততে হলে মুম্বইকে হারাতেই হত মোহনবাগানকে। অপরদিকে, ড্র হলেই খেতাব জয় হয়ে যেত মুম্বই সিটি এফসির। আর শুরুর দিকে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। বাগান কোচ হাবাস ডাগআউটে ফেরার আত্মবিশ্বাস প্রভাব ফেলে দলের খেলাতেও। যার ফল মেলে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। পেত্রাতোসের পাস থেকে মুম্বইয়ের বিপিনকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসে। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চললেও আর গোল আসেনি। ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি। কিন্তু ডিফেন্সিভ না হয়ে আক্রমণ জারি রাখে মোহনবাগানও। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সময় দুই দলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই হয়। কিন্তু ম্যাচের ৮০ মিনিটে পের গোলের মুখ খুলে ফেলে মোহনবাগান। কামিন্স ও পেত্রাতোস এক-অপরের মধ্যে পাস খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। আর সেখান থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জেসন কামিন্স।

আরও পড়ুনঃ KKR vs RR: রাজস্থান ম্যাচের আগে বড় ভুল করল কেকেআর? খেসারত দিতে হবে না তো! জানুন বিস্তারিত

২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়েই গিয়েছিল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ছাংতে একটি গোল করে মুম্বইয়ের হয়ে ব্যবধান কমায়। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না মুম্বইকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। ম্যাচ শেষে সেলিব্রেশনে মাতেন বাগান খেলোয়াররা। লিগ-শিল্ড জেতার ফলে পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও পেয়ে গেল মোহনবাগান।

Nadia News: শান্তিপুরে ‘লাল-হলুদ’ ব্যানার উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবুজ-মেরুনের সঙ্গে!

মৈনাক দেবনাথ, শান্তিপুর: নদিয়ার শান্তিপুরে লাল হলুদ ব্যানার উদ্বোধন নিয়েও চাপানউতর, বিতর্ক চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে । শান্তিপুরে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের গড়ে তোলা সংস্থা ‘গর্ব আমার লাল হলুদ’-এর পক্ষ থেকে ২০ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওড়ার এক বিশাল ডিজিটাল প্রিন্টের ব্যানার উদ্বোধন করা হয়। শান্তিপুরের আবেগকে গায়ে জড়িয়ে নিতে শান্তিপুর পুরসভার সামনে অজয় দে স্মৃতি পার্কের সামনে, ‘‘ভালবাসার শহর শান্তিপুর’’ লেখা আলোর সামনে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যায় এই উদ্বোধন করেন সংস্থার সদস্য এবং সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে তারা জানান, এতদিন তারা যখন খেলা দেখতে যেতেন তখন ছোট ফ্ল্যাগ নিয়ে যেতেন, কিন্তু দর্শকাসনে তা টাঙ্গানোর উপযুক্ত ছিল না তবে এবার থেকে খেলা দেখা আরও সুসজ্জিত এবং আবেগময় হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন-বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল

খেলার মাঠে চিরাচরিত প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের ব্যানার প্রকাশ নিয়ে মোহনবাগান বলবে না এমন তো আর হয় না! শান্তিপুরের মোহনবাগান সমর্থকদের সংস্থা ‘শান্তিপুর মেরিনার্স’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘ওরা নতুন করেছে তাই লাফাচ্ছে শান্তিপুরের মোহনবাগানের ব্যানার আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগেই বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে এসেছে। যদিও ছোট সাইজের এবং সে সময়কার মতো বলে ডিজিটাল প্রিন্ট হয়নি। খেলাটাই হল আসল,ব্যানার ছোট কিংবা বড়-সেটা ঘটনা না। বিগত দু’বছরের খেলার নিরিখে আমাদের টিম এখনও ২ নম্বরে ওদের খুঁজতে হচ্ছে দূরবীন দিয়ে। সম্প্রতি দ্বিতীয় শ্রেণীর একটি টুর্নামেন্টে ১২ বছর বাদে প্রত্যেক দল তার দ্বিতীয়টির নামালেও ইস্টবেঙ্গল পূর্ণশক্তির নিয়ে নেমেছে তাও পিছনের দরজা দিয়ে। ২০১৯-২০-তে আই লিগ জয়ী হয়ে মোহনবাগান আইএসএল পেয়েছিল যা ইস্টবেঙ্গলের সারা জীবনের তপস্যা ।’’

East Bengal vs Mohun Bagan: ছোটদের বড় জয়! ইস্টবেঙ্গলকে ৫-১ গোলে হারাল মোহনবাগান

কলকাতা: বড়দের দেখানো পথেই হাঁটছেন মোহনবাগানের ছোটরা। বলা চলে এককদম এগিয়ে রয়েছেন জুনিয়ররা। দিন কয়েক আগেই আইএসএলের ডার্বিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। এবার ছোটদের ডার্বিতেও ইস্টবেঙ্গলকে লজ্জার হারের স্বাদ দিল মোহনবাগান। ৫-১ গোলে বড় ব্যবধানে জয় পেল বাগান।

চলছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে। সোমবার প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ম্যাচে লাল-হলুদের জুনিয়র দলকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল মোহনবাগান। গোটা ম্যাচে বাগানের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি লাল-হলুদের ছোটরা। ১টি গোল করে কোনওমতে ৫-০ ব্যবধানে হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল।

ছোটদের খেলা হলেও দুই দলেই একাধিক আইএসএল খেলা জুনিয়র প্লেয়ার ছিল। ইস্টবেঙ্গলে যেমন ছিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গুরনাজ সিংহ গ্রেওয়ালরা, তেমনই মোহনবাগানে ছিলেন রাজ বাসফোর, সুহেল ভাট, ফারদিন আলি মোল্লা, দীপেন্দু বিশ্বাসেরা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু মাঠে একাধিপত্ব দেখিয়ে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান।

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো, বিশ্বের কোন দেশের কোনও জাতীয় পশু নেই? উত্তর অজানা ৯৯ শতাংশের

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের লিড নেয় মোহনবাগান। গোল করেন শিবাজিৎ ও টাইসন সিং। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৩টি গোলের মধ্যে জোড়া গোল করেন সুহেল। অপর একটি গোল করেন দীপেন্দু। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আমন সিকের। এত বড় ব্যবধানে জয়ের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাগান অফিসিয়ালরা। খুশিফ্যানেরাও।

ইস্টবেঙ্গলের ডু অর ডাই ম্যাচ, ডার্বি থেকেই কী ঘুড়ে দাঁড়াবে দল, কী বলছেন লাল-হলুদ কোচ

কলকাতা:  সুপার কাপ জয়ের পর অনেকেরই মনে হয়েছিল ফের জ্বলতে শুরু করল লাল-হলুদ মশাল। নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল ফ্যানেরা। কিন্তু বিগত দেড় মাসে ছবিটা বদলে গিয়েছে অনেকটাই। সুপার কাপ জয় এখন অতীত। আইএসএলে পয়েন্ট নষ্ট করতে-করতে এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। রবিবার ফিরতি লিগের ডার্বিতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত স্বীকার করে নিলেন অনেকটা পিছিয়ে থেকেই ডার্বিতে নামবে তাঁর দল।

ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক মোহনবাগানকে শুধু সমীহ করাই নয়, তাদেj থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, “সত্যি কথাটা স্বীকার তো করতেই হবে। এই ডার্বিতে নামার আগে মোহনবাগান আমাদের থেকে অনেকটা এগিয়ে। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে আমি আমার দলের প্লেয়ারদের উপর বিশ্বাস করি। জানি ওরা প্রতিটা ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে। এদিনও সেরাটা দিয়ে জেতার চেষ্টাই করবে।”

নিজের পরিকল্পনা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু না বললেও, জেতার লড়াই যে চালিয়ে যাবে দল, সেই কথা জানিয়েছেন কুয়াদ্রাত। লাল-হলুদ কোচ বলেছেন,”এই মরসুমে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে যা যা পরিকল্পনা করেছি সবই কাজে লেগেছে। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হারলেও আমরা অনেক ভালো খেলেছি। এখনও পর্যন্ত এই মরসুমে বড় ম্যাচে আমরা এগিয়ে। তবু রবিবারের ম্যাচে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”

আরও পড়ুনঃ East Bengal vs Mohun Bagan: ডার্বির আগে হুঙ্কার মোহনবাগান কোচের, লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন হাবাস

সুপার সিক্সের ওঠার আশা লাল-হলুদের টিকে রয়েছে অনেক জটিল অঙ্কের হিসেবে। শেষ ৪টি ম্যাচেই জয় দরকার ইস্টবেঙ্গলের। তারপরও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে। তবে সবার আগে ডার্বি জেতা যায় কীভাবে সেই রণনীতি তৈরি করতেই ব্যস্ত লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। চলতি মরশুমে ৪টি ডার্বিতে ২টিতে জিতেছেন কুয়াদ্রাত। ১টি হার ও একটি ড্র। তবে আইএসএলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথম জয় এখনও আসেনি ইস্টবেঙ্গলের। কঠিন পরিস্থিতিতে ফের একবার কুয়াদ্রাত স্যারের দিকেই তাকিয়ে লাল-হলুদ ফ্যানেরা।