পুষ্পাঞ্জলি লোহার

কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে চা বাগানের তরুণী! তবে হট সিটে বসা হল না!

আলিপুরদুয়ার: দারিদ্রতা জ্ঞানের পরিধিকে আটকে দিতে পারেনি পুষ্পাঞ্জলির। কলেজে পড়া বন্ধ হলেও জ্ঞানের পরিসর তিনি বাড়িয়ে চলেছিলেন প্রতিনিয়ত।

এই জ্ঞান তাঁকে সুযোগ করে দিয়েছিল দেশের অন্যতম শো কৌন বানেগা করোরপতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ। কালচিনির ছোট গ্রাম গাঙ্গুটিয়াতে বসবাস পুষ্পাঞ্জলি লোহারের।

ছোট থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ তার। তবুও পড়াশুনো চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স যখন ৭ বছর তখন তার বাবা মারা যান। সংসারের চাপ এসে পরে তাঁর মায়ের উপর। কোনও কাজ ছিল না। বাধ্য হয়ে ঘাস কেটে তা বিক্রি করতেন তাঁর মা।

আরও পড়ুন- জিওর ৪৪৮-৪৪৯ টাকার প্ল্যানে মাত্র ১ টাকার পার্থক্য, তাতেই ফিচারে অবিশ্বাস্য বদল!

সেই টাকা দিয়ে চলত পুষ্পাঞ্জলির পড়াশুনা। তবে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে এসে পড়াশুনো থমকে গেল তাঁর। কারণ তাঁর ছোট বোন পড়াশোনা করছিল। তাঁর মায়ের পক্ষে দুজনের পড়াশুনোর খরচ ওঠানো সম্ভব হচ্ছিল না।

মায়ের সঙ্গে সংসার সামলাতে এগিয়ে আসেন পুষ্পাঞ্জলি। টিউশন পড়ানো শুরু করেন তিনি। সেখান থেকেও সাধারণ জ্ঞান বাড়তে শুরু করে তাঁর।টিভিতে অমিতাভ বচ্চনের শো রোজ দেখতেন এই জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য।

এরপর চ্যালেঞ্জার উইক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তবে মুম্বই থেকে ডাক চলে আসবে তা তিনি ভাবতেই পারেননি। এই বিষয়ে তিনি জানান, “ছোট থেকেই কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। সাধারণ জ্ঞান সংগ্রহ করতে ভাল লাগত। পেপার পড়ি, সাধারণ জ্ঞানের বই নিয়ে পড়ি এখনও। টিভিতে ওই শো দেখতাম। তার পর ওই শো-এর এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। মুম্বই গিয়ে অমিতাভ বচ্চনকে সামনে থেকে দেখেছি, সেটা এখনও স্বপ্নের মতো।”

তবে হট সিটে বসে খেলা হয়নি পুষ্পাঞ্জলির। সেই আক্ষেপ তাঁর রয়ে গিয়েছে। কৌন বানেগা করোরপতি-তে আবারও অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন তিনি।

Annanya Dey