এখনও দুটি নেকড়ে ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Uttarpradesh: নেকড়ের দাপটে ত্রস্ত উত্তরপ্রদেশ, ভোররাতে শ্বাপদ হানায় জখম আরও দুই

লখনউ: উত্তরপ্রদেশে নেকড়ের হানায় সন্ত্রস্ত এলাকার মানুষ। এখনও পর্যন্ত ৯ বছরের এক শিশু-সহ দুই জন জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নেকড়ে ধরতে  ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ শুরু করেছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর গত শনিবার, উত্তরপ্রদেশের দিলদারসিং গ্রামে প্রথম নেকড়ে হানার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় জখম হয় পরশ নামে ৯ বছরের এক বালক।
আরও একটি নেকড়ে হামলার ঘটনা ঘটে ভোর চারটের সময়, মাইকপুর গ্রামসভার দারিয়াকুট্টিতে। বছর ৫৫-এর পুন্নিলাল ঘরের বাইরে শুয়েছিলেন, সেই সময়েই অতর্কিতে নেকড়ে তাঁর উপর হামলা চালায়।

এই ঘটনার পরেই জেলাশাসকের পক্ষ থেকে নেকড়ের হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করা হলেও বন দফতর থেকে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে ডিভিশনাল কমিশনার শশিভূষণ লাল সুশীল জানিয়েছেন, বন দফতর এখনও পর্যন্ত চারটি নেকড়েকে ধরতে পেরেছে। এটি মোট ছয়টি নেকড়ের দল।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রশাসনের তরফ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নেকড়েদের খোঁজা হয়েছে। নেকড়েদের গুহার কাছে আমরা ফাঁদ পেতে তাঁদের ধরতে সক্ষম হয়েছে। দুটি নেকড়েকে শনিবার থার্মাল সেন্সারের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। কিন্তু গভীর রাত হয়ে যাওয়ার জন্য টিমের সদস্যরা তাঁদের ধরতে পারেনি। দুই এক দিনের মধ্যেই আমরা তাঁদের ধরতে সক্ষম হব বলে আশা করছি। ”

আরও পড়ুন: বন্দে ভারত স্লিপার-এর প্রথম ছবি! ভিতরটা কেমন দেখতে? দেখলে হা হয়ে যাবেন
বন দফতরের আধিকারিক অজিত প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নেকড়েরা দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে তাই তাঁদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের ধরতে সক্ষম হবে।

গত ১৭ জুলাই থেকে মোট ৩০ জন এই নেকড়ে হামলায় আহত হন। এই নেকড়ে হামলায় মারা যান ছয় শিশু-সহ মোট সাত জন। মৃত পাঁচ জনের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বাকি দুই জনের পরিবারকে তদন্ত শেষে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আশ্বাস দেওয়া হয়।