কলকাতা: বিশেষ অধিবেশন ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি বিধানসভায়৷ হট্টগোল দিয়েই শুরু৷ মাঝে শোকপ্রস্তাব পাঠ নিয়ে অধ্যক্ষ-বিরোধী দলনেতা বিতণ্ডা৷ আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় বক্তৃতাও করেন শুভেন্দু অঘিকারী৷ হয় নীরবতা পালনও৷ তা-ও অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে৷ শেষে মোমবাতি নিয়ে নজিরবিহীন মৌন মিছিল বিজেপি বিধায়কদের৷ সবই দেখল বিধানসভা৷
আজ, সোমবার থেকে শুরু হল বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন৷ এই অধিবেশনে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নয়া বিল আনতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ আগামিকাল, মঙ্গলবার বিধানসভায় বিল নিয়ে আলোচনার পর তা পাশ করানো হবে। আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি পরিষদীয় দলও।
এদিন পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, সেখানে বাংলার ক্ষেত্রে তার কিছু সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যে বিলটি আনা হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপরাজিতা উইমেন চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। সূত্রের খবর, বিলটি বিধানসভায় পেশ করবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
এদিন বিধানসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণ নিয়েও শোকপ্রস্তাব পাঠ করা হয়৷ কিন্তু, শোকপ্রস্তাবে শুধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথা উল্লেখ করায় আপত্তি জানান বিরোধী দলনেতা। তা নিয়েও অধ্যক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় শুভেন্দুর। শোকপ্রস্তাবে আরজি কর কাণ্ডে মৃতার প্রসঙ্গ যোগ করার দাবি তোলেন তিনি।
কিন্তু অধ্যক্ষ বলে দেন, “শোকপ্রস্তাবে নাম নিতে হয়। আইন অনুযায়ী নির্যাতিতার নাম নেওয়া যায় না। আইনে বাধা আছে। শোকপ্রস্তাব করতে গেলে তাঁর নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এটা কী করে করব?”
অধ্যক্ষ শোকপ্রস্তাব পাঠের পরে অধিবেশন মুলতবি করে দিলেও অধিবেশন কক্ষে শোকপ্রস্তাব পাঠ করে বিজেপি৷ বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তারপরে নীরবতা পালন করে হাতে মোমবাতি নিয়ে স্পিকারের ঘরের দিকে এগিয়ে যান বিজেপি বিধায়কেরা৷ নজিরবিহীন ভাবে বিধানসভার অন্দরে মৌন মিছিল করলেন বিধায়কেরা৷