Tag Archives: Assembly Election

Assembly Bye Elections: ১০ আসনে একসঙ্গেই হোক বিধানসভা উপনির্বাচন! দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

কলকাতা: রাজ্যের আরও ছয় বিধানসভা আসনে এক সঙ্গে উপনির্বাচন করানো হোক। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে সাত দফায় ভোট হয়েছে। এভাবে বারবার নির্বাচন হলে অসুবিধা তৈরি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত গতকাল সোমবার, রাজ্যের চার আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে বাকি আসনের মধ্যে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যে সব শাসক দলের বিধায়করা দিল্লি যাচ্ছেন সাংসদ হয়ে সেই সিতাই, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটির বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘এইদিন’ থেকেই রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি…! সুখবর দিল IMD! অতিভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর! কলকাতা ভিজবে কবে? আবহাওয়ার ‘নতুন’ আপডেট

তাই তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি একসঙ্গেই ১০ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন করে দেওয়া হোক। তৃণমূলের অধিকাংশই দারুণ মার্কস নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন। সংসদে বাংলার মানুষের হয়ে লড়তে গেলে বিধায়ক পদ ছাড়তে হবে। কেউ কেউ মনোনয়ন পত্র দেওয়ার সময়ই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কেউ কেউ ভোটে জেতার পর পদ ছাড়ছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার অরূপ চক্রবর্তী, মেদিনীপুরের জুন মালিয়া, কোচবিহারের জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।

পার্থ ভৌমিককে সেচমন্ত্রী করেছিলেন মমতা। তাঁর উপর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। আপাতত সেই দায়িত্ব সামলাবেন তিনিই। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, রাজ্য বিধানসভায় ভোটে না জিতেও মন্ত্রী হতে পারেন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হয়। সুতরাং আগামী ৬ মাস সময় রয়েছে পার্থর হাতে। এর মধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে পার্থ এবং দেবের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন মমতা।

Prashant Kishor: বিরাট খবর! নিজের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ না মিলতেই বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের! তোলপাড় পড়ল দেশে

লখনউ: এতদিন নির্বাচন কৌশলী হিসেবে রাজনীতির আঙিনায় পরিচিত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অনেক রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী কৌশল তৈরি করে ক্ষমতায় আনলেও এখন এই নির্বাচনী কৌশলী নিজেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা করেছেন এবার। জন সুরজ পদযাত্রার স্থপতি এবং দেশের বিখ্যাত নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে প্রশান্ত কিশোর যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা প্রায় মেলেইনি।

প্রশান্ত কিশোর আগেই জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যখন করব, তখন আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব এবং জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমারের মতো নেতাদের দাঁতে ব্যথা হবে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমাকে ধাক্কা দেওয়া তাদের ক্ষমতায় নেই। বিহারে পদযাত্রা করা কিশোর বলেন, ”জন সুরজ সমাজের মানুষের কথা বলবে। নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদব আমাকে ধাক্কা দিতে পারবেন না।”

আরও পড়ুন: ভোটের ‘সাফল্য’ আসতেই বড় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! ১১ জুন সব নজর নবান্নে

তিনি বলেন, ”আমি যদি বিহারে লড়ি, তাহলে এত শক্তি দিয়ে লড়ব যে এই সব নেতার দাঁত ভেঙে যাবে। আপনারা নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গে আমার কাজ দেখেছেন। সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা শুধু লড়াই করার জন্য লড়াই করে। আমি তাদের মধ্যে নই।” কিশোর আরও বলেন, ”আমি বিহারের ছেলে। সারা দেশের নেতারা যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় আমার কাছে পরামর্শ চান, তখন এই নেতারা আমাকে নিয়ে কী করবেন? সমাজের মানুষ একবার উঠে দাঁড়ালে জনশক্তির সামনে কোনও শক্তিই দাঁড়াতে পারবে না।”

পিকে-র কথায়, ”আপনি যদি যুদ্ধ করতে আসেন, তাহলে ধরে নিন আপনিও আপনার মনে বিজয়ের নীলনকশা নিয়ে এসেছেন। আমরা চিন্তা করে এখানে এসেছি, এটি একটি কঠিন কাজ। এটি করতে কতটা শক্তি প্রয়োগ করতে হবে, কত ঘাম ঝরাতে হবে, কত ব্যবস্থা করতে হবে, তা আমি জানি। সবকিছু চিন্তা করেই আমরা বিহারে এসেছি।” প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, ”এই সব নেতারা ভাবছেন আমরা রাজনৈতিক ভাবে ধাক্কাধাক্কি করব। কিন্তু তা যারা ভাবছেন, তারা ভুল ভাবছেন।”