ধর্ষণ রুখতে কঠোরতম আইনের পক্ষে ফের সওয়াল করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সমাজমাধ্যমেই স্বর তুললেন মঙ্গলবার।

Abhishek Banerjee on Anti Rape Bill: পশ্চিমবঙ্গ সরকার পথ দেখাল, ধর্ষণ রুখতে কেন্দ্রও এগিয়ে আসুক! লিখলেন অভিষেক

কলকাতা: ধর্ষণ রুখতে কঠোরতম আইনের পক্ষে ফের সওয়াল করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সমাজমাধ্যমেই স্বর তুললেন মঙ্গলবার। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ পাসের আগে ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁর ঠিক আগে অভিষেক এক্স হ্যান্ডলে লিখলেন, ‘৫০ দিনের মধ্যে বিচার করে দোষীর শাস্তি হোক’। ধর্ষণ-বিরোধী কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করার দাবি জানান তৃণমূলের সেনাপতি। সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি টানেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রসঙ্গও।

অভিষেক বলেন, ‘‘প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যানই সময় বেঁধে ধর্ষণ-বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি আরও জোরদার করছে।’’ ধর্ষণ-বিরোধী আইন কার্যকর করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পথ দেখাচ্ছে, দাবি অভিষেকের। তিনি আরও জানান, ধর্ষণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই কঠোর এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সংসদে আসন্ন অধিবেশনে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা আইন সংশোধনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দ্রুত করতে হবে।’’

ইতিমধ্যেই বড় পদক্ষেপ করে ‘অপরাজিতা’ বিল আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণ রুখতে মঙ্গলবার বিধানসভায় পাস হল ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’। অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা! উনি মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। ’’

আরও পড়ুন- বিল পাসেই কি ধরা পড়বে ধর্ষক? কতটা সুরক্ষিত হল মেয়েরা? জানুন ‘অপরাজিতা’ ইতিবৃত্ত

রাজ্যের আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা সম্পর্কে বিভিন্ন স্তরেই প্রশ্ন উঠছিল, সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ কেউ বলছে আমরা আইন করতে পারি না। আমি তাদের বলছি, সংবিধান আমাদের অধিকার দিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র আইন আনছে। রাজ্যপাল বিলে সই করবেন আশা রাখছি। হাত জোড় করে বলছি নারীদের কথা, মা-বোনদের কথা শুনুন। ভারতীয় সংবিধানের যুগ্ম তালিকা অনুযায়ী এই ধরনের সংশোধন আমরা আনতেই পারি”।

এর আগে আরজি কর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুটি চিঠি লেখেন মুখ‍্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভায় ফের এই প্রসঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে আমি দুটো চিঠি দিয়েছি। তিনি কোনও রিপ্লাই দেননি। তবে একজন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর মন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন। আমি ন্যায় সংহিতা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করেছিলাম। আমি একাধিকবার স্বরাষ্ট্র দফতরকে বলেছি। বলেছিলাম নতুন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে। আমি চেয়েছিলাম এই আইন কেন্দ্রীয় সরকার করুক। কিন্তু আইনে ফাঁক রাখা হয়েছিল। ধর্ষণের ঘটনায় সাত মাসে জামিন পেয়ে যায়। আর তাদের ফুল মালা পরানো হয়। ভিনেশ দেশের জন্য একটা পদক আনতে পারত। সিপিএম এখন বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।’’