কলকাতা: পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে দশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে রাজ্যে আসছেন জাতীয় স্তরের পর্যবেক্ষকেরা। কেন্দ্রীয় এই দল দশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে। রূপায়ণে কোনও জটিলতা আছে কিনা, তা-ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা দেখবেন।
জানা গিয়েছে, এই দশ প্রকল্পের মধ্যে সংসদ আদৰ্শ গ্রাম যোজনা, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, দিনদয়াল উপধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনা, গ্রামীণ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পের প্রশিক্ষণ রয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চায়েতে আনন্দধারা প্রকল্পের কাজ দেখতে চায় কেন্দ্রীয় দল।
কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতিটি জেলার অন্তত তিন ব্লকের ১০ গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে এই দশ কেন্দ্রীয় প্রকল্প পর্যালোচনা করবেন। কাজ শুরুর আগে ও পরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সিইও-র সঙ্গে কথা বলতেই হবে। ভাল কাজের প্রশংসা ও ত্রুটি বা সমস্যা থাকলে তা সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা করবে।
কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক আসার খবর পাওয়া মাত্রই জেলাশাসকদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তবে কবে ঠিক তাঁরা আসছেন, তার দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের টাকা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে রেখেছে রাজ্যকে বলেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে নবান্ন।
শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি টাকা বন্ধ নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও একের পর এক আন্দোলন করেছে। আন্দোলনে শামিল হয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর আগেও একাধিক কেন্দ্রীয় দল এসেছে রাজ্যের এই প্রকল্পগুলির কাজ খতিয়ে দেখতে। তারপরে ফের কেন্দ্রীয় দল প্রশাসনিকভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।