রক্তিম মুখোপাধ্যায়

Shiksha Ratna Awards 2024: খুশির খবর! শিক্ষারত্নে ভূষিত বাঁকুড়া স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক, খুশি গোটা জেলা

প্রিয়ব্রত গোস্বামী, বাঁকুড়া: রাজ্য সরকারের ‘শিক্ষা রত্ন’ সম্মানে সম্মানিত হতে চলেছেন ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত জেলা-সহ রাজ্যের অন্যতম প্রথমসারীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ইংরাজী বিভাগের শিক্ষক রক্তিম মুখোপাধ‍্যায়কে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় শিক্ষক দিবসে’র দিন কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন।

আরও পড়ুনঃ ঋতুপর্ণার পাশে সুদীপ্তা! ‘আপনারা কি ভুলে গেছেন…’ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ অভিনেত্রীর

রক্তিম মুখোপাধ‍্যায়ের আদিবাড়ি বর্ধমানের গুসকরায় হলেও ঝাড়খণ্ডের মাইথনে জন্ম তাঁর। বাবা ডিভিসি-র পাঞ্চেতের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করতেন। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী রক্তিম মুখোপাধ‍্যায়। মাইথনের আই.সি.এস.সি-র ইংরাজী মাধ্যম ডি.নোবিলি স্কুল থেকে পড়াশুনার পাঠ শেষ করে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হন। পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি করেন তিনি। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে বাঁকুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ‘ছাত্র দরদী’ হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরী হয়।

গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা থাকলেও বর্তমানে কর্মসূত্রে বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানের সরকারী কোয়ার্টারে স্ত্রী ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়া একমাত্র সন্তানকে নিয়ে থাকেন রক্তিমবাবু। তাঁদের স্কুলের শিক্ষক রক্তিম স্যারের ‘শিক্ষারত্ন’ প্রাপ্তির খবরে খুশী স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারাও সকলেই। ভালবেসে মজা করে পড়ানোর পাশাপাশি পাঠ্যবই তিনি খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন সব পড়া রক্তিম স্যার। শিক্ষারত্ন প্রাপ্তি অত্যন্ত আনন্দের গর্বের খবর গর্বিত গোট স্কুল-সহ জেলা দাবি প্রধান শিক্ষকের।

আরও পড়ুনঃ মোমো, থুকপা বাদ দিন! পাহাড়ে গিয়ে ‘এই’ খাবার না খেলেই বড় মিস! পুরো ‘অমৃত’

শিক্ষকতার পাশাপাশি ছাত্রদের নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও শিক্ষক রক্তিম মুখার্জী প্রতিনিয়ত যুক্ত থেকে অবদান রাখেন। ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানের জন্য মনোনীত বাঁকুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষক রক্তিম মুখার্জী অত্যন্ত খুশি এই খবরে। সম্মান পেয়ে ছাত্র সমাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মানুষ গড়ার কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করার সুযোগ পেয়ে বাবা, মা, পরিবার-সহ সহকর্মীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি ‘জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিক্ষকতার সঙ্গেই যুক্ত থাকতে চাই’। বর্তমান ছাত্র সমাজ জাতীর ভবিষ্যৎ, তাঁদের দেখানও পথেই সামাজিক অবক্ষয়কে দূরে সরিয়ে প্রত্যেকেই এগিয়ে যাক দাবি রক্তিম বাবুর।