বাহরাইচ: মানুষের প্রস্রাবে চোবানো পুতুল৷ উত্তরপ্রদেশের নরখাদক নেকড়েদের ধরতে এই টোপই ব্যবহার করেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা৷ যদিও সেই ফাঁদও কাজে দেয়নি৷ এখনও উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচ জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নরখাদক নেকড়েরা৷ যার মধ্যে কয়েকটি ধরা পড়লেও দলের সবকটিকে এখনও ধরতে পারেনি বন দফতর৷
উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে নরখাদক নেকড়েদের শিকার হয়েছেন দশজন৷ তাদের মধ্যে ৯টি শিশু এবং একজন মহিলা রয়েছেন৷ বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যেখানে নেকড়েদের ধরতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল তার আশেপাশেই মানুষের প্রস্রাবে চোবানো পুতুল রেখে দেওয়া হয়েছিল৷ যাতে শিশুদের প্রস্রাবের গন্ধে ফাঁদ হিসেবে পেতে রাখা খাঁচার কাছাকাছি আসে নেকড়েরা৷ যদিও সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেকড়েরা খুবই বুদ্ধিমান এবং ধূর্ত প্রকৃতির প্রাণী হয়৷ ফলে তাদের ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হলেও নেকড়েরা সহজেই ধরে ফেলে৷ এমন কি, বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় নেকড়েরা কুকুরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে, এমন নজিরও রয়েছে৷
আরও পড়ুন: শোওয়ার ঘরে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! ওখানে ওটা কী? ভাইরাল ভিডিও দেখে গা শিউরে উঠবে
বাহরাইচ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা গত প্রায় দেড় মাস ধরে ধরে নেকড়ের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছেন৷ বিশেষত, নেকড়ের আক্রমণের শিকার হচ্ছে শিশুরা৷ বাড়িতে হানা দিয়ে নেকড়ের দল শিশুদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে৷ উত্তরপ্রদেশের বন দফতরের প্রায় তিনশো কর্মী নেকড়ে ধরার অভিযানে নেমেছেন৷ তাদের মধ্যে রয়েছে শার্প শ্যুটারও৷ মানুষখেকো নেকড়েদের জীবিত হোক বা মৃত, যেভাবেই হোক ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু নেকড়ের নাগাল পেতেই ব্যর্থ বন দফতর৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, তাঁরা প্রায়শই নেকড়েগুলিকে দেখতে পেলেও নেকড়েদের হদিশ পাচ্ছে না বন দফতর৷ নেকড়ে যতক্ষণ না ধরা পড়ছে, রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতেও পারছেন না গ্রামবাসীরা৷